
.png)

মুক্তি পেয়ে ফিলিস্তিনিদের ভাষ্য
যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের বন্দী বিনিময় হচ্ছে। হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের কারাগার থেকে প্রথম ধাপে মুক্তি পেয়েছেন ৮৮ জন ফিলিস্তিনি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মোট ১,৯০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পাবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়েছে ১১ অক্টোবর থেকে। এতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া টানা ২৪ মাসের সংঘাত আপাতত থেমেছে। এই চুক্তি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার অংশ।

‘তুফান আল-আকসা’ নামে যে অভিযান হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর চালিয়েছিল তারপর দুই বছর কেটে গেছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের চালানো সেই অভিযানের পরে টানা দুই বছর ধরে গাজায় নির্মূল যুদ্ধ চালিয়েছে ইসরায়েল।

প্রায় দুই বছরের ভয়াবহ সংঘাতের পর বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর, ২০২৫) ইসরায়েল ও হামাস যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। একে মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘতম সংঘাতগুলোর একটির গুরুত্বপূর্ণ মোড়বদল হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গাজায় যুদ্ধ অবসানে হামাস ও ইসরায়েলের চলমান সংলাপকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ বলছে, যেকোনো সংঘাত সমাধানের একমাত্র উপায় হলো কূটনীতি ও সংলাপ। গাজায় চলমান এই মর্মান্তিক সংকটের অবসান ঘটাতে যাঁরা এই গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগে ভূমিকা রাখছেন, বাংলাদেশ তাঁদের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানায়।

গাজায় সিজফায়ার ঘটবে, কি ঘটবেনা এ নিয়ে পুরো বিশ্বের চোখ এখন কায়রোর দিকে। হামাস, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি চূড়ান্তের চেষ্টায় কায়রোর উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন। কারা থাকছেন এই আলোচনা অনুষ্ঠানে?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের আংশিক মেনে নিয়েছে হামাস। তবে তারা বলেছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে ট্রাম্প ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজা বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, হামাস ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত।’ অন্যদিকে ইসরায়েল জ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা আদতে কোনো প্রস্তাব নয়, এটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রতি তাঁর ‘আলটিমেটাম’।

ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং হামাসকে সমর্থন করার কারণে ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইসরায়েল কাতারে হামলা করেছে ধারণা করা হয়। এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নাটকীয়ভাবে বদলে দিয়েছে বলে দাবি করা যেতে পারে।

কাতারে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি, আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে ছোট দেশটির প্রতি সংহতি জানিয়েছে ঢাকা। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই হামলাকে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় একটি বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশ্লেকেরা। তাঁদের মতে, এই হামলার ফলে যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভেস্তে যেতে পারে।

হামাসের নেতৃত্ব কাঠামো গোপনীয় ও খণ্ডিত। এর রাজনৈতিক ব্যুরো অবস্থিত কাতার বা তুরস্কে। আর গাজায় রয়েছে সামরিক নেতৃত্ব। সংগঠনটি সাধারণত শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুর বিষয়টি প্রকাশ করতে সময় নেয়। এই বিলম্বের উদ্দেশ্য হলো সমর্থকদের মনোবল অটুট রাখা এবং দুর্বলতা প্রকাশ না করা।

হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম বিগ্রেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। আজ রোববার এক ফিলিস্তিনি সূত্রে আল আরাবিয়া জানিয়েছে, শনিবার পশ্চিম গাজা শহরে এক ইসরায়েলি হামলায় আবু উবায়দা নিহত হন।

মোসাদ-প্রধানের কাতার সফর
সাম্প্রতিক প্রবণতায় এর উত্তর পাওয়া যাবে। তালেবানের সঙ্গে গোপন আলোচনা থেকে শুরু করে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে আড়ালে চলা সমঝোতা—সব জায়গাতেই এই ছোট্ট উপসাগরীয় দেশটি বিশ্বে মধ্যস্থতার অন্যতম নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হয়ে উঠছে। এর পেছনে রয়েছে তাদের বিপুল অর্থনৈতিক সামর্থ্য ও কৌশলগত অস্পষ্ট অবস্থান।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারানো আল জাজিরার গাজা সংবাদদাতা আনাস আল-শরীফ মৃত্যুর আগেই নিজের হত্যার আশঙ্কা লিখে গিয়েছিলেন। শেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে তিনি রেখে গিয়েছিলেন এক আবেগভরা বিদায়বার্তা। সেই বার্তা এখন গাজার রক্তমাখা বাস্তবতার সাক্ষী।