স্ট্রিম ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের আংশিক মেনে নিয়েছে হামাস। তবে তারা বলেছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে ট্রাম্প ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজা বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, হামাস ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত।’ অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারের নির্দেশে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় সামরিক কার্যক্রম কমাতে শুরু করেছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, হামাসের প্রতিক্রিয়ার পরপরই এই প্রস্তুতির ঘোষণা এসেছে।
গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, বোমাবর্ষণ বন্ধ হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকে গাজায় অস্বাভাবিক নীরবতা নেমে আসে। এ সময় ট্রাম্প ওয়াশিংটনে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল।
মাহমুদ জানান, গাজার উত্তরাঞ্চলে এখনো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। গুলির শব্দ ও সামরিক যানবাহনের চলাচল শোনা যাচ্ছে। তবুও সাম্প্রতিক দিনের তুলনায় হামলার মাত্রা অনেকটা কমেছে। ড্রোনের শব্দও শোনা যায়নি। তিনি বলেন, এটি হয়তো যুদ্ধবিরতির সূচনা হতে পারে, তবে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে হামাস শুক্রবার তাদের আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছে। ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় ছিল যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময়, আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণ। হামাসের জবাবে নিরস্ত্রীকরণের প্রসঙ্গ নেই। তবে তারা জানিয়েছে, তারা সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি আছে। তারা বন্দি বিনিময় নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
এছাড়াও হামাস জানিয়েছে, তারা গাজার প্রশাসন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকারকে হস্তান্তরে রাজি। তবে তারা চায় এই প্রশাসন ফিলিস্তিনিদের ঐকমত্যে এবং আরব ও ইসলামি বিশ্বের সমর্থনে গঠিত হোক। এটি ট্রাম্প প্রস্তাবিত ‘বোর্ড অব পিস’ এর বিকল্প ইঙ্গিত দেয়।
হামাস আরও বলেছে, গাজার ভবিষ্যৎ ও ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে জাতীয় ঐকমত্য ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী।
এর আগে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, হামাস রোববারের মধ্যে সমঝোতা না করলে তাদের ওপর ‘জাহান্নামের মতো ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হবে, যা এর আগে পৃথিবীর আর কেউ দেখেনি।’
আল জাজিরার হামদাহ সালহুত জর্ডানের আম্মান থেকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি গণমাধ্যগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হামাসের প্রতিক্রিয়াকে ইতিবাচক বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সালহুত বলেন, ‘নেতানিয়াহু চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বিত একটি প্রতিক্রিয়া দিতে, যাতে হামাসের অবস্থান ইতিবাচক হিসেবে প্রকাশ না পায়। তবে তাকে এখনো নিজের সরকার ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে ভোটাভুটি হতে পারে।’
সালহুত আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, তাদের দিক থেকে নেতানিয়াহুর জন্য একটি ‘রাজনৈতিক সুরক্ষা জাল’ থাকবে। অর্থাৎ, নেতানিয়াহুর উগ্র-ডানপন্থী জোটের সদস্যরা যদি এই চুক্তিতে সমর্থন না দেন, তবে বিরোধী দল এক ধরনের জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে এগিয়ে আসতে পারে। যাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন করা যায়।’
সালহুত জানান, এদিকে ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা প্রকাশ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। তারা মনে করেন, গাজায় বোমাবর্ষণ চলতে থাকলে বন্দিদের জীবন আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে। ইসরায়েলের ভেতরে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলজুড়ে এই চুক্তির পক্ষে বিক্ষোভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আল জাজিরার আলি হাশেম জানিয়েছেন, হামাসের সাম্প্রতিক বিবৃতি আলোচনার জন্য একটি ‘জানালা’ খুলে দিয়েছে। তার মতে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অনেক বিনিময়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
হাশেম বলেন, প্রস্তাবিত ‘বোর্ড অব পিস’ নিয়ে হামাসের আপত্তির কারণ এতে গাজাকে সামগ্রিক ফিলিস্তিনি ইস্যু থেকে আলাদা করে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় পশ্চিম তীরের সঙ্গে ভবিষ্যৎ একীভূত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কোনো পথ নেই।
হামাস তাদের বিবৃতিতে আরব, ইসলামি বিশ্ব, আন্তর্জাতিক মহল এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে। হাশেমের মতে, এতে হামাস দেখাচ্ছে যে তারা আলোচনায় হাত বাড়াতে প্রস্তুত। তবে কিছু বিষয় নিয়ে তাদের দ্বিমত আছে এবং এখন ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া জরুরি।
বিবৃতি প্রকাশের পর হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক স্পষ্ট করে বলেছেন, তারা ‘বোর্ড অব পিস’ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই ফিলিস্তিনিদের ওপর অ-ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণ মেনে নেব না।’ টনি ব্লেয়ারকে তিনি বিশেষভাবে অগ্রহণযোগ্য মনে করেন, কারণ তিনি ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাক আগ্রাসনে ভূমিকা রেখেছিলেন।
যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মজেদ আল-আনসারি জানান, কাতার ইতিমধ্যেই মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে আলোচনার কাজ শুরু করেছে।
মিসর আশা প্রকাশ করেছে, এটি ইতিবাচক অগ্রগতি আনবে এবং আরব দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে মিলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা হবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও বিবৃতিতে উৎসাহিত হয়েছেন। তিনি সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন, গাজার মর্মান্তিক সংঘাতের অবসান ঘটাতে এই সুযোগ কাজে লাগাতে।
এদিকে, ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা রিমোট-কন্ট্রোলড বিস্ফোরকযান ব্যবহার করে গাজা সিটির পুরো মহল্লা ধ্বংস করছে। আগেই সেখানে আটকে থাকা লাখো মানুষকে শহর ছাড়ার ‘শেষ সতর্কবার্তা’ দেওয়া হয়েছিল।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের আংশিক মেনে নিয়েছে হামাস। তবে তারা বলেছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে ট্রাম্প ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজা বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, হামাস ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত।’ অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারের নির্দেশে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় সামরিক কার্যক্রম কমাতে শুরু করেছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, হামাসের প্রতিক্রিয়ার পরপরই এই প্রস্তুতির ঘোষণা এসেছে।
গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, বোমাবর্ষণ বন্ধ হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকে গাজায় অস্বাভাবিক নীরবতা নেমে আসে। এ সময় ট্রাম্প ওয়াশিংটনে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল।
মাহমুদ জানান, গাজার উত্তরাঞ্চলে এখনো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। গুলির শব্দ ও সামরিক যানবাহনের চলাচল শোনা যাচ্ছে। তবুও সাম্প্রতিক দিনের তুলনায় হামলার মাত্রা অনেকটা কমেছে। ড্রোনের শব্দও শোনা যায়নি। তিনি বলেন, এটি হয়তো যুদ্ধবিরতির সূচনা হতে পারে, তবে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে হামাস শুক্রবার তাদের আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছে। ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় ছিল যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময়, আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণ। হামাসের জবাবে নিরস্ত্রীকরণের প্রসঙ্গ নেই। তবে তারা জানিয়েছে, তারা সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি আছে। তারা বন্দি বিনিময় নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
এছাড়াও হামাস জানিয়েছে, তারা গাজার প্রশাসন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকারকে হস্তান্তরে রাজি। তবে তারা চায় এই প্রশাসন ফিলিস্তিনিদের ঐকমত্যে এবং আরব ও ইসলামি বিশ্বের সমর্থনে গঠিত হোক। এটি ট্রাম্প প্রস্তাবিত ‘বোর্ড অব পিস’ এর বিকল্প ইঙ্গিত দেয়।
হামাস আরও বলেছে, গাজার ভবিষ্যৎ ও ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে জাতীয় ঐকমত্য ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী।
এর আগে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, হামাস রোববারের মধ্যে সমঝোতা না করলে তাদের ওপর ‘জাহান্নামের মতো ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হবে, যা এর আগে পৃথিবীর আর কেউ দেখেনি।’
আল জাজিরার হামদাহ সালহুত জর্ডানের আম্মান থেকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি গণমাধ্যগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হামাসের প্রতিক্রিয়াকে ইতিবাচক বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সালহুত বলেন, ‘নেতানিয়াহু চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বিত একটি প্রতিক্রিয়া দিতে, যাতে হামাসের অবস্থান ইতিবাচক হিসেবে প্রকাশ না পায়। তবে তাকে এখনো নিজের সরকার ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে ভোটাভুটি হতে পারে।’
সালহুত আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, তাদের দিক থেকে নেতানিয়াহুর জন্য একটি ‘রাজনৈতিক সুরক্ষা জাল’ থাকবে। অর্থাৎ, নেতানিয়াহুর উগ্র-ডানপন্থী জোটের সদস্যরা যদি এই চুক্তিতে সমর্থন না দেন, তবে বিরোধী দল এক ধরনের জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে এগিয়ে আসতে পারে। যাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন করা যায়।’
সালহুত জানান, এদিকে ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা প্রকাশ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। তারা মনে করেন, গাজায় বোমাবর্ষণ চলতে থাকলে বন্দিদের জীবন আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে। ইসরায়েলের ভেতরে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলজুড়ে এই চুক্তির পক্ষে বিক্ষোভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আল জাজিরার আলি হাশেম জানিয়েছেন, হামাসের সাম্প্রতিক বিবৃতি আলোচনার জন্য একটি ‘জানালা’ খুলে দিয়েছে। তার মতে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অনেক বিনিময়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
হাশেম বলেন, প্রস্তাবিত ‘বোর্ড অব পিস’ নিয়ে হামাসের আপত্তির কারণ এতে গাজাকে সামগ্রিক ফিলিস্তিনি ইস্যু থেকে আলাদা করে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় পশ্চিম তীরের সঙ্গে ভবিষ্যৎ একীভূত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কোনো পথ নেই।
হামাস তাদের বিবৃতিতে আরব, ইসলামি বিশ্ব, আন্তর্জাতিক মহল এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে। হাশেমের মতে, এতে হামাস দেখাচ্ছে যে তারা আলোচনায় হাত বাড়াতে প্রস্তুত। তবে কিছু বিষয় নিয়ে তাদের দ্বিমত আছে এবং এখন ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া জরুরি।
বিবৃতি প্রকাশের পর হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক স্পষ্ট করে বলেছেন, তারা ‘বোর্ড অব পিস’ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই ফিলিস্তিনিদের ওপর অ-ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণ মেনে নেব না।’ টনি ব্লেয়ারকে তিনি বিশেষভাবে অগ্রহণযোগ্য মনে করেন, কারণ তিনি ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাক আগ্রাসনে ভূমিকা রেখেছিলেন।
যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মজেদ আল-আনসারি জানান, কাতার ইতিমধ্যেই মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে আলোচনার কাজ শুরু করেছে।
মিসর আশা প্রকাশ করেছে, এটি ইতিবাচক অগ্রগতি আনবে এবং আরব দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে মিলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা হবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও বিবৃতিতে উৎসাহিত হয়েছেন। তিনি সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন, গাজার মর্মান্তিক সংঘাতের অবসান ঘটাতে এই সুযোগ কাজে লাগাতে।
এদিকে, ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা রিমোট-কন্ট্রোলড বিস্ফোরকযান ব্যবহার করে গাজা সিটির পুরো মহল্লা ধ্বংস করছে। আগেই সেখানে আটকে থাকা লাখো মানুষকে শহর ছাড়ার ‘শেষ সতর্কবার্তা’ দেওয়া হয়েছিল।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশে সশস্ত্র হামলার দায়ে একটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’র ছয় সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগেইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে গাজাগামী জাহাজ ‘কনশানস’ তার সামনে থাকা আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। নৌযানগুলোর মধ্যে ‘কনশানস’ সবচেয়ে বড় এবং দ্রুতগতিতে চলছিল। তবে এখন কনশানসের গতি কমিয়ে ফেলা হয়েছে এবং সব নৌযান একসঙ্গে গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেগাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার সর্বশেষ প্রস্তাবের কিছু শর্ত হামাস মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই তিনি গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান।
৯ ঘণ্টা আগেডেম সারাহ মুলালিকে ক্যান্টারবেরির নতুন আর্চবিশপ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। তিনি চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রায় ৫০০ বছরের ইতিহাসে এই পদে নির্বাচিত প্রথম নারী। আর্যবিশপ পদটির মধ্য দিয়ে তিনি ৮ লাখ অ্যাংকলিক খ্রিষ্টানের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে