বাংলাদেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ২৭ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন যে তিনি গাজা মিডিয়া ফ্লোটিলায় যোগ দেবেন। এ লক্ষ্যে তিনি ইতিমধ্যেই ইতালির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
ফিলিস্তিন প্রশ্ন আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে দীর্ঘদিনের এক অমীমাংসিত ইস্যু। একদিকে রয়েছে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষার জবাবে গণহত্যা, অন্যদিকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি।
জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ঔদ্ধত্য
গাজায় চলমান গণহত্যা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের বারবার হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণ চলাকালে বহু কূটনীতিক ওয়াকআউট (সভা ত্যাগ) করেন।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজায় যাচ্ছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শহীদুল আলম বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে আগামীকাল রোববার ইতালি যাচ্ছেন। সেখানে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনে
শুধু বোমা পড়া বন্ধ হলেই গাজায় যুদ্ধ থেমে যাবে না। এই যুদ্ধ আমাদের ভেতরে ভেতরে আঘাত করতে থাকবে। রেখে যাবে এমন ক্ষত, যা কোনো হতাহতের তালিকায় লেখা থাকে না, উঠে আসে না খবরের শিরোনামেও।
গাজায় প্রায় দুই বছরের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রাণহানির দৃশ্য যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে নতুন সচেতনতা তৈরি করেছে। একের পর এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলকে ঘিরে মার্কিন জনমত বদলাচ্ছে এবং ইসরায়েলের প্রতি অনুকূল মনোভাব কমছে।
ইউরোপীয় দেশগুলোর স্বীকৃতির এই ঘোষণা এসেছে গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার প্রেক্ষাপটে। এখন প্রশ্ন হলো, এই স্বীকৃতি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কী অর্থ বহন করবে?
ইসরায়েলি সেনারা দুই দিক থেকে গাজা নগরীর কেন্দ্রে ঢুকছে, স্থানীয়দের মাঝখানে ফেলে উপকূলের দিকে ঠেলে দিচ্ছে—এভাবেই নগরীর সবচেয়ে বড় কেন্দ্র থেকে মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।
ইসরায়েলের সাবেক সেনাপ্রধানের স্বীকারোক্তি
গাজায় চলমান যুদ্ধে প্রাণহানির ভয়াবহ চিত্র স্বীকার করলেন ইসরায়েলর সাবেক সেনাপ্রধান হারজি হালেভি। তাঁর ভাষ্য, প্রায় দুই বছর ধরে চলা অভিযানে গাজার প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনেরও বেশি নিহত বা আহত হয়েছেন। এই সংখ্যা ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়, যা এতদিন ইসরা
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দুটি হাসপাতালের আশপাশে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ফিলিস্তিন ভূখণ্ড বিষয়ক জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান কমিশন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২১ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ কমিশনটি গঠন করে।
২০২৫ সালে কাতার ছিল সপ্তম দেশ যেখানে ইসরায়েল হামলা চালাল। ফলে পরিস্থিতি এক নতুন মাত্রায় পৌঁছায়। এর জবাবে আরব লীগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) যৌথভাবে উদ্যোগ নেয়।
ভোটে প্রস্তাবের পক্ষে ১৪২টি দেশ সমর্থন দেয়। ১০টি দেশ বিরোধিতা করে। ১২টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবে বলা হয়, হামাসমুক্ত একটি স্বাধীন ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের
ফিলিস্তিনের গাজা শহরের ৪০ শতাংশ দখলে নেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের সামরিক এক মুখপাত্রের বরাতে এই খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বহু দেশ, মানবাধিকার সংগঠন ও অন্যান্য সংস্থার গণহত্যার অভিযোগের সঙ্গে এখন তাদের এই প্রস্তাবও যুক্ত হলো। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষক মহলও গাজায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে দেখছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এতে চার শিশুসহ অন্তত ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত ও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।