
.png)

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয়েছিল, সেটি গালফস্ট্রিম জি-১০০ সিরিজের একটি প্রাইভেট জেট। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কী কী সুবিধা থাকে?

গারো সম্প্রদায়ের সেই তিন অকুতোভয় নারী—ভেরেনিকা সিসংমা, সন্ধ্যারানী সাংমা এবং তুশি হাগিদক। তাদের হাতে কোনো স্টেনগান ছিল না, কিন্তু তারা একটি ফুলকে বাঁচানোর জন্যে যে যুদ্ধে শামিল হয়েছিলেন, সেটিও কোনো অংশে কম ছিল না।

নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে জর্জ হ্যারিসন ও পণ্ডিত রবিশঙ্কর আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর কথা আমরা সবাই জানি; কিন্তু লন্ডনের ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ‘গুডবাই সামার’ কনসার্টের কথা অনেকেরই অজানা।

১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল। লন্ডনের বিখ্যাত হাইড পার্কে ঘটে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। পাকিস্তানি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিলাতের নিশ্চিত ও নিরাপদ জীবনের হাতছানি উপেক্ষা করে দুই বাঙালি তরুণ চিকিৎসক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. এম এ মবিন নিজেদের পাকিস্তানি পাসপোর্ট ছিড়ে আগুনে পুড়িয়ে দেন।

আজ ১৫ ডিসেম্বর। ১৯২৯ সালের এই দিনে কলকাতার অ্যালবার্ট হলে (বর্তমান কফি হাউস) কলকাতায় বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ থেকে কাজী নজরুল ইসলামকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। আর সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ব রাজনীতির পরাশক্তিগুলোর ভূমিকা ছিল স্পষ্ট ও বিভাজিত। একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল, অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারত দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের পাশে।

১৯৭১ সালে বিশ্ব ছিল স্নায়ু যুদ্ধের টানাপোড়েনে ঝুঁকিপূর্ণ এক অবস্থায়। বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলো তখন পৃথিবীজুড়ে ভূরাজনৈতিক কৌশলগত দাবা খেলায় লিপ্ত ছিল। সেই প্রেক্ষাপটে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশ এক গভীর সংকটের দিকে এগোচ্ছিল।

‘আজান হয়েছে, আমাকে দুই রাকাত ফজরের নামাজ পড়তে দাও।’ একাত্তরের রমজান মাসে পাকিস্তানিদের কাছে শেষবারের মতো মিনতি করেছিলেন পীর বেলায়েত হোসেন। কিন্তু পাকিস্তানিরা তাঁকে সেই সুযোগ দেয়নি। ব্রাশফায়ারে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁর দেহ। সঙ্গে তাঁর পরিবারের আরও ১০ সদস্যের।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ইতিহাসের ভুল দিকে অবস্থান নিয়েছিল। ধর্মীয় সংহতি, রাজনৈতিক স্বার্থ ও পরাশক্তিগুলোর ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে তারা ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা পালন করে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল সুপরিকল্পিত কৌশলগত স্বার্থরক্ষার এক নির্মম উদাহরণ। সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চেয়ে স্নায়ুযুদ্ধের ভূরাজনৈতিক স্বার্থ বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল।

বন্ধুত্বের সম্পর্ক হওয়া উচিত পানির মতো স্বচ্ছ। কিন্তু অনেক সময় আমরা আবেগের বশে ভালো ও মন্দের পার্থক্য করতে পারি না। কীভাবে বুঝবেন আপনার পাশের মানুষটি আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী নাকি শুধুই সুসময়ের বন্ধু? চলুন মিলিয়ে নিই সমীকরণ।

ক্ষুধা কিভাবে মানুষের অস্তিত্বকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে নেয়, সেলুলয়েডের ফিতায় তার সবচেয়ে নির্মম দলিল আমজাদ হোসেনের ‘ভাত দে’। ১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া আমজাদ হোসেনের কালজয়ী সিনেমা ‘ভাত দে’ তৎকালীন সমাজব্যবস্থা, দারিদ্র্য এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি এক চপেটাঘাত।

ডব্লিউডব্লিউই-এর ইতিহাসের অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় সুপারস্টার জন সিনা অবশেষে রেসলিং রিংকে বিদায় জানালেন। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে দর্শকদের মাতানো এই তারকাকে শেষবারের মতো রিংয়ে দেখা গেছে ‘স্যাটারডে নাইটস মেইন ইভেন্ট’–এ।

আজ দশ বছর হতে চললো জহির নেই। দীর্ঘ দশটি বছর, অথচ মনে হয় এইতো সেদিনের কথা। এ. জে. করদারের সহকারী হিশেবে কাজ করছে জহির রায়হান। প্রথমে পরিচয়। তারপর ঘনিষ্ঠতা। পঞ্চাশের শেষের দিকেই হবে সম্ভবত। জহির তুমুল উৎসাহে স্ক্রিপ্ট করছে, ‘‘কখনো আসেনি’’-র স্ক্রিপ্ট। ছবি হবে।

তাঁর লেখা প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল কলকাতার ‘নতুন সাহিত্য’ পত্রিকায় ১৯৪৯ সালে। পরে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘সচিত্র সন্ধানী’ পত্রিকায় ১৯৮২ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় কবিতাটি পুনর্মুদ্রিত হয়।

‘ঠক ঠক, ঠক ঠক! স্যার একটু বাইরে আসবেন?’—এই কথাটি কানে এলেই আমাদের মনে পড়ে একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বরের কথা। বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি দুঃখজনক অধ্যায়। এই দিনেই আলবদর বাহিনী বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে হত্যা করেছিল। কারণ, তারা চেয়েছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করে দিতে।