কয়েক দিন ধরে ফেসবুকে ঘুরছে একটা শব্দ— ‘প্রস্তর যুগ’। ঢাকার মিটফোর্ডে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘প্রস্তর যুগে স্বাগতম’। এরপর থেকেই এই শব্দ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা। আসলে কেমন ছিল প্রস্তর যুগ?
স্ট্রিম ডেস্ক
কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি শব্দবন্ধ ঘুরপাক খাচ্ছে আলোচনা-সমালোচনায়। তা হলো—প্রস্তর যুগ। ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ‘প্রস্তর যুগে স্বাগতম’ লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এরপর ফেসবুক জুড়ে দেখা যাচ্ছে, প্রস্তর যুগের আলোচনা।
‘প্রস্তর’ অর্থ পাথর। সোজা কথায়, প্রস্তর যুগ মানে পাথরের যুগ। অর্থাৎ মানব বিবর্তনের সেই পর্যায়, যখন মানুষের কাছে হাতিয়ার তৈরির প্রধান উপকরণ ছিল পাথর। প্রস্তর যুগ ছিল মানব ইতিহাসের দীর্ঘতম অধ্যায়। গোটা মানব ইতিহাসের টাইমলাইনে যা প্রায় ৯৯ শতাংশ সময়। এই যুগ আনুমানিক ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন বছর আগে শুরু হয়ে, অঞ্চলভেদে ৩৩০০–২০০০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এই সময়েই মানুষ আগুন আবিষ্কার করে আর ভাষার বিকাশ ঘটায়। শিল্পচর্চাও শুরু হয় এই যুগেই।
প্রস্তর যুগেই কৃষির মতো বৈপ্লবিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে সভ্যতার পথে প্রথম পা রাখে মানুষ। প্রাগৈতিহাসিক এই যুগটি লিখিত ইতিহাসের আগের সময় হওয়ায়, এর সম্পর্কে আমাদের যা কিছু জানাশোনা, তা মূলত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। যেমন–পাথরের হাতিয়ার, গুহাচিত্র ও জীবাশ্ম।
প্রস্তর যুগকে মূলত তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়—প্রাচীন প্রস্তর যুগ বা প্যালিওলিথিক, মধ্য প্রস্তর যুগ বা মেসোলিথিক এবং নব্য প্রস্তর যুগ বা নিওলিথিক। এই প্রত্যেকটি ভাগের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য মানুষের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছিল।
আনুমানিক ৩০ লাখ বছর আগে শুরু হয়ে প্রস্তর যুগের প্রথম ভাগ চলেছিল খ্রিস্টপূর্ব ১০ হাজার অব্দ পর্যন্ত। এই দীর্ঘ সময়ে মানুষ ছিল মূলত শিকারি ও সংগ্রাহক। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে তাঁরা খাবারের সন্ধানে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন। এই যুগের হাতিয়ারগুলো ছিল খুবই সাধারণ এবং অমসৃণ। পাথর ভেঙে বা ঘষে তাঁরা ছুরি, বর্শা, কুঠার ইত্যাদি তৈরি করতেন। আগুনের আবিষ্কার ছিল এই যুগের যুগান্তকারী ঘটনা। আগুন তাঁদের প্রচণ্ড শীত থেকে রক্ষা করত, হিংস্র পশুর আক্রমণ থেকে বাঁচাত এবং খাবার পুড়িয়ে খেতে সাহায্য করত। স্পেনের আলতামিরা আর ফ্রান্সের লাসকক্স গুহার দেয়ালের চিত্রগুলো এই যুগের মানুষের শিল্পবোধের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
ধারণা করা হয়, প্রাচীন প্রস্তর যুগেই ভাষার মৌলিক বিকাশ ঘটে। তবে মানুষের ভাষা বিকাশের সময় নির্দিষ্ট করে জানা যায় না। ভাষার বিকাশ ঘটেছে মূলত ধাপে ধাপে।
প্রাচীন এবং নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যবর্তী এই সময়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রাতেও নতুনত্ব আসে। তখন পরিবেশ উষ্ণ হতে শুরু করে। অনেক বড় প্রাণীও বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই যুগে মানুষের হাতিয়ারগুলো ছিল প্রাচীন প্রস্তর যুগের চেয়ে ছোট ও ধারালো। সে সব হাতিয়ারকে মাইক্রোলিথ বলা হয়। মানুষ তখন হাড় ও কাঠ ব্যবহার করে তীর-ধনুক আর মাছ ধরার বড়শি তৈরি করতে শেখে। মজার ব্যাপার হলো, শিকারে সাহায্যের জন্য এই সময়েই কুকুরকে প্রথম পোষ মানানো হয়।
নব্য প্রস্তর যুগকে ‘নবোপলীয় বিপ্লব’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। কারণ, এই সময়েই মানুষ আবিষ্কার করে কৃষি। তখন বীজ থেকে চারা উৎপাদন আর স্থায়ীভাবে খাদ্য উৎপাদন শুরু হয়। যার ফলে, এত দিনের যাযাবর জীবনের অবসান ঘটে। গড়ে ওঠে গ্রাম ও স্থায়ী বসতির ধারণা। এই যুগেই কৃষির পাশাপাশি পশুপালনও শুরু হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে মেহেরগড় সভ্যতায় কৃষি ও পশুপালনের নিদর্শন পাওয়া যায়। নব্য প্রস্তর যুগে চাকা আবিষ্কারের ফলে মৃৎশিল্প আর পরিবহণ ব্যবস্থায় বিরাট অগ্রগতি আসে।
প্রস্তর যুগ মানব প্রযুক্তির প্রথম অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হলেও, এরও আগে আমাদের পূর্বপুরুষদের অস্তিত্ব ছিল। প্রস্তর যুগের আগে কোনো নির্দিষ্ট ‘যুগ’ নামকরণ করা কঠিন। কেন না তখনও প্রযুক্তি বলতে যা বোঝায়, তার প্রাতিষ্ঠানিক বিকাশ ঘটেনি। সেই সময়টিকে প্রাক-প্রস্তর যুগ বলা যেতে পারে। প্রস্তর যুগের সূচনা হয় তখনই, যখন মানুষ একটি পাথর দিয়ে অন্য একটি পাথরকে আঘাত করে ধারালো ও ব্যবহারযোগ্য হাতিয়ার তৈরি করতে শেখে। এই ইচ্ছাকৃত পরিবর্তন আনার ক্ষমতাই ছিল প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রার প্রথম ধাপ। এই ধাপই প্রথমবারের মতো বাহ্যিকভাবে মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করে দেয়।
প্রস্তর যুগ আদতে মানবজাতির শৈশব, যার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। এই যুগ নিয়ে আলোচনা নতুন নয়। পৃথিবীর সমস্ত দেশের সাহিত্যে, শিল্পে ও সামাজিক বাস্তবতায় রূপকের প্রয়োজনে বারবার প্রস্তর যুগ উচ্চারিত হয়েছে। আজ থেকে বহু বছর আগে জীবনানন্দ দাশ তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘ঘোড়া’-তেও রূপক হিসেবে প্রস্তর যুগের উল্লেখ করেছিলেন—
কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি শব্দবন্ধ ঘুরপাক খাচ্ছে আলোচনা-সমালোচনায়। তা হলো—প্রস্তর যুগ। ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ‘প্রস্তর যুগে স্বাগতম’ লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এরপর ফেসবুক জুড়ে দেখা যাচ্ছে, প্রস্তর যুগের আলোচনা।
‘প্রস্তর’ অর্থ পাথর। সোজা কথায়, প্রস্তর যুগ মানে পাথরের যুগ। অর্থাৎ মানব বিবর্তনের সেই পর্যায়, যখন মানুষের কাছে হাতিয়ার তৈরির প্রধান উপকরণ ছিল পাথর। প্রস্তর যুগ ছিল মানব ইতিহাসের দীর্ঘতম অধ্যায়। গোটা মানব ইতিহাসের টাইমলাইনে যা প্রায় ৯৯ শতাংশ সময়। এই যুগ আনুমানিক ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন বছর আগে শুরু হয়ে, অঞ্চলভেদে ৩৩০০–২০০০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এই সময়েই মানুষ আগুন আবিষ্কার করে আর ভাষার বিকাশ ঘটায়। শিল্পচর্চাও শুরু হয় এই যুগেই।
প্রস্তর যুগেই কৃষির মতো বৈপ্লবিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে সভ্যতার পথে প্রথম পা রাখে মানুষ। প্রাগৈতিহাসিক এই যুগটি লিখিত ইতিহাসের আগের সময় হওয়ায়, এর সম্পর্কে আমাদের যা কিছু জানাশোনা, তা মূলত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। যেমন–পাথরের হাতিয়ার, গুহাচিত্র ও জীবাশ্ম।
প্রস্তর যুগকে মূলত তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়—প্রাচীন প্রস্তর যুগ বা প্যালিওলিথিক, মধ্য প্রস্তর যুগ বা মেসোলিথিক এবং নব্য প্রস্তর যুগ বা নিওলিথিক। এই প্রত্যেকটি ভাগের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য মানুষের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছিল।
আনুমানিক ৩০ লাখ বছর আগে শুরু হয়ে প্রস্তর যুগের প্রথম ভাগ চলেছিল খ্রিস্টপূর্ব ১০ হাজার অব্দ পর্যন্ত। এই দীর্ঘ সময়ে মানুষ ছিল মূলত শিকারি ও সংগ্রাহক। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে তাঁরা খাবারের সন্ধানে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন। এই যুগের হাতিয়ারগুলো ছিল খুবই সাধারণ এবং অমসৃণ। পাথর ভেঙে বা ঘষে তাঁরা ছুরি, বর্শা, কুঠার ইত্যাদি তৈরি করতেন। আগুনের আবিষ্কার ছিল এই যুগের যুগান্তকারী ঘটনা। আগুন তাঁদের প্রচণ্ড শীত থেকে রক্ষা করত, হিংস্র পশুর আক্রমণ থেকে বাঁচাত এবং খাবার পুড়িয়ে খেতে সাহায্য করত। স্পেনের আলতামিরা আর ফ্রান্সের লাসকক্স গুহার দেয়ালের চিত্রগুলো এই যুগের মানুষের শিল্পবোধের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
ধারণা করা হয়, প্রাচীন প্রস্তর যুগেই ভাষার মৌলিক বিকাশ ঘটে। তবে মানুষের ভাষা বিকাশের সময় নির্দিষ্ট করে জানা যায় না। ভাষার বিকাশ ঘটেছে মূলত ধাপে ধাপে।
প্রাচীন এবং নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যবর্তী এই সময়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রাতেও নতুনত্ব আসে। তখন পরিবেশ উষ্ণ হতে শুরু করে। অনেক বড় প্রাণীও বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই যুগে মানুষের হাতিয়ারগুলো ছিল প্রাচীন প্রস্তর যুগের চেয়ে ছোট ও ধারালো। সে সব হাতিয়ারকে মাইক্রোলিথ বলা হয়। মানুষ তখন হাড় ও কাঠ ব্যবহার করে তীর-ধনুক আর মাছ ধরার বড়শি তৈরি করতে শেখে। মজার ব্যাপার হলো, শিকারে সাহায্যের জন্য এই সময়েই কুকুরকে প্রথম পোষ মানানো হয়।
নব্য প্রস্তর যুগকে ‘নবোপলীয় বিপ্লব’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। কারণ, এই সময়েই মানুষ আবিষ্কার করে কৃষি। তখন বীজ থেকে চারা উৎপাদন আর স্থায়ীভাবে খাদ্য উৎপাদন শুরু হয়। যার ফলে, এত দিনের যাযাবর জীবনের অবসান ঘটে। গড়ে ওঠে গ্রাম ও স্থায়ী বসতির ধারণা। এই যুগেই কৃষির পাশাপাশি পশুপালনও শুরু হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে মেহেরগড় সভ্যতায় কৃষি ও পশুপালনের নিদর্শন পাওয়া যায়। নব্য প্রস্তর যুগে চাকা আবিষ্কারের ফলে মৃৎশিল্প আর পরিবহণ ব্যবস্থায় বিরাট অগ্রগতি আসে।
প্রস্তর যুগ মানব প্রযুক্তির প্রথম অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হলেও, এরও আগে আমাদের পূর্বপুরুষদের অস্তিত্ব ছিল। প্রস্তর যুগের আগে কোনো নির্দিষ্ট ‘যুগ’ নামকরণ করা কঠিন। কেন না তখনও প্রযুক্তি বলতে যা বোঝায়, তার প্রাতিষ্ঠানিক বিকাশ ঘটেনি। সেই সময়টিকে প্রাক-প্রস্তর যুগ বলা যেতে পারে। প্রস্তর যুগের সূচনা হয় তখনই, যখন মানুষ একটি পাথর দিয়ে অন্য একটি পাথরকে আঘাত করে ধারালো ও ব্যবহারযোগ্য হাতিয়ার তৈরি করতে শেখে। এই ইচ্ছাকৃত পরিবর্তন আনার ক্ষমতাই ছিল প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রার প্রথম ধাপ। এই ধাপই প্রথমবারের মতো বাহ্যিকভাবে মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করে দেয়।
প্রস্তর যুগ আদতে মানবজাতির শৈশব, যার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। এই যুগ নিয়ে আলোচনা নতুন নয়। পৃথিবীর সমস্ত দেশের সাহিত্যে, শিল্পে ও সামাজিক বাস্তবতায় রূপকের প্রয়োজনে বারবার প্রস্তর যুগ উচ্চারিত হয়েছে। আজ থেকে বহু বছর আগে জীবনানন্দ দাশ তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘ঘোড়া’-তেও রূপক হিসেবে প্রস্তর যুগের উল্লেখ করেছিলেন—
পেঁয়াজ কীভাবে কাটলে খাবারের স্বাদ বেশি হবে—রান্নাঘরে এ নিয়ে তর্কের শেষ নেই। পেঁয়াজ কেউ পাতলা পাতলা কুচি করেন, কেউবা মোটা টুকরা পছন্দ করেন। কিন্তু এই বিতর্ক আসলে কত বছর পুরোনো? শত বছর, হাজার বছর?
২ দিন আগেজেনেটিক ত্রুটিযুক্ত সাতজন গর্ভবতী নারীর ভ্রূণে আইভিএফ পদ্ধতিতে প্রবেশ করানো হয়েছিল তিনজনের ডিএনএ। ফলে ওই সাত নারী জন্ম দিয়েছেন জেনেটিক ত্রুটিহীন আট শিশুর। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে যা এক যুগান্তকারী ঘটনা।
৪ দিন আগেসোশ্যাল মিডিয়া খুললেই চোখে পড়ছে লাল সুতা নিয়ে রহস্যময় নানান ছবি, আর নানা রকম মিম। সবাই যেন কিছু একটা বোঝাতে চাইছে, কিন্তু সেটা ঠিক কী? এর উত্তর লুকিয়ে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন থ্রিলার সিরিজ ‘এস লাইন’-এ।
৫ দিন আগেচিনির কথা ভাবলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে মিষ্টি, চকলেট, ডেজার্ট বা আইসক্রিমের ছবি। আমরা সচরাচর ভাবি না যে, এই চিনি আমাদের শরীর, মন এবং সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কগুলোর ওপর কতটা গভীর প্রভাব ফেলছে।
৫ দিন আগে