leadT1ad

অনলাইনে ৫৯ শতাংশ নারী হয়রানির শিকার

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৫৩
শারমীন এস মুরশিদ। সংগৃহীত ছবি

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫৯ শতাংশ নারীই অনলাইনে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ও সাইবার জগতে নারীদের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থান নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাইবার সহিংসতা বা অন্য কোনো অনিরাপদ পরিস্থিতির শিকার হলে মন্ত্রণালয়কে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিমের কাছে পৌঁছে যাবে এবং আইনি সহায়তা দেবে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘১৬ দিনব্যাপী লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ পক্ষ’ (সিক্সটিন ডেজ অব অ্যাকটিভিজম অ্যাগেইনস্ট জেন্ডার–বেসড ভায়োলেন্স) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের অংশীদারিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নারী ও কন্যাদের প্রতি ডিজিটাল সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই’।

উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, সাইবার জগতে নারী অনিরাপদ এবং পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার বুলিংয়ের জগতও ব্যাপক হয়েছে, যেখানে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ অন্যের মর্যাদার ওপর আঘাত হানতে পারে। তিনি বলেন, দেশে সাইবার অপরাধ দমনে অনেক ভালো আইন থাকা সত্ত্বেও সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। তবে রাষ্ট্র এ সমস্যা মোকাবিলায় উদ্যোগী হয়েছে এবং নারীরা যাতে নির্ভয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ টিম কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ আরও শক্তিশালী আইন, সমন্বিত প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ এবং জনসচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। সমাজকল্যাণ সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ ডিজিটাল সহিংসতাকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে তা মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের আহ্বান জানান।

অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল বলেন, ডিজিটাল সহিংসতা কেবল নারীর সমস্যা নয়, এটি সবার সমস্যা। সরকার, সংগঠন এবং নারীদের একসঙ্গে লড়াই করে এমন একটি পৃথিবী গড়তে হবে যেখানে প্রযুক্তি সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইক্স লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকারদের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং যৌন হয়রানি প্রতিরোধ অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ইউএন উইমেন প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিংহ বলেন, ডিজিটাল সহিংসতার কোনো সীমানা নেই। অনলাইন হয়রানি প্রায়ই অফলাইনে ছড়িয়ে পড়ে এবং নারীর কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ‘বাংলাদেশে প্রযুক্তি-নির্ভর সহিংসতা প্রতিরোধ: ঘাটতি, চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশ’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা নীতি নির্ধারণে ঘাটতি, আইন প্রয়োগের দুর্বলতা এবং নারীদের ডিজিটাল সক্ষমতার সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে ধরেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত