স্ট্রিম ডেস্ক
জেনেটিক ত্রুটিযুক্ত সাতজন গর্ভবতী নারীর ভ্রূণে আইভিএফ পদ্ধতিতে প্রবেশ করানো হয়েছিল সুস্থ তিনজনের ডিএনএ। উদ্দ্যেশ্য ছিল, সুস্থ ব্যক্তিদের ডিএনএর প্রভাবে গর্ভবতী ওই নারীরা যেন জেনেটিক ত্রুটিহীন সন্তান জন্ম দিতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই প্রচেষ্টায় সফলতা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওই সাত নারী জন্ম দিয়েছেন জেনেটিক ত্রুটিহীন আট শিশুর। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে যা এক যুগান্তকারী ঘটনা।
যুক্তরাজ্যে এই প্রক্রিয়ায় জন্ম নেওয়া আট শিশুর তথ্য সম্প্রতি ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে।
নতুন উদ্ভাবিত এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো, মা-বাবার জিন থেকে আগত প্রাণঘাতি রোগ থেকে শিশুকে মুক্ত রাখা। উদ্ভাবিত এই প্রক্রিয়ার নাম ‘মাইটোকন্ড্রিয়াল ডোনেশন ট্রিটমেন্ট’ বা এমডিটি।
যেসব মায়েরা এই পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের মাইটোকন্ড্রিয়ায় জিনগত ত্রুটি ছিল। কোষের ভেতরে থাকা মাইটোকন্ড্রিয়ায মূলত মানবদেহকে শক্তি জোগায়। তাই মাইটোকন্ড্রিয়ায় ত্রুটি থাকলে শিশুর শরীরে প্রাণঘাতী রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এই পদ্ধতিতে সাতজন নারীর গর্ভে জন্ম নেয় চার ছেলে ও চার মেয়ে। এই আট শিশুর মধ্যে দুজন জমজও আছে। জন্মের পর এখন পর্যন্ত কারও শরীরে বংশগত রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
যুক্তরাজ্যে ২০১৫ সালে একটি আইনের সংশোধনের ফলে এই চিকিৎসার অনুমতি মেলে। এরপর থেকেই সারা বিশ্বের চিকিৎসকেরা এর ফলাফল জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন। ২০১৭ সালে প্রথম এই চিকিৎসার অনুমতি পায় নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিক।
এই চিকিৎসা উদ্ভাবনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন অধ্যাপক ডগ টার্নবুল। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় আমরা এই চিকিৎসা নিয়ে কাজ করেছি। শিশুদের সুস্থ জন্ম আমাদের ও পরিবারগুলোর জন্য বেশ স্বস্তির বিষয়।’জেনেটিক ত্রুটিযুক্ত সাতজন গর্ভবতী নারীর ভ্রূণে আইভিএফ পদ্ধতিতে প্রবেশ করানো হয়েছিল সুস্থ তিনজনের ডিএনএ। উদ্দ্যেশ্য ছিল, সুস্থ ব্যক্তিদের ডিএনএর প্রভাবে গর্ভবতী ওই নারীরা যেন জেনেটিক ত্রুটিহীন সন্তান জন্মদিতে পারে। শেষপর্যন্ত এই প্রচেষ্টায় সফলতা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওই সাত নারী জন্ম দিয়েছেন জেনেটিক ত্রুটিহীন আট শিশুর। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে যা এক যুগান্তকারী ঘটনা।
মানুষের দেহে প্রায় ২০ হাজার জিন রয়েছে কোষের কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াসের ভেতরে থাকে। কিন্তু নিউক্লিয়াসকে ঘিরে থাকা তরলে অসংখ্য মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে, যেগুলোর প্রত্যেকটিতে নিজস্ব ৩৭টি জিন আছে। এই জিনগুলোতে কোনো ত্রুটি হলে মাইটোকন্ড্রিয়া দুর্বল বা অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে শরীরে গুরুতর জটিলতা দেখা দিতে পারে।
একজন মানুষ তার সমস্ত মাইটোকন্ড্রিয়া মায়ের কাছ থেকে পায়। মায়ের মাইটোকন্ড্রিয়ায় কোনো ত্রুটি থাকলে সেটি তার সব সন্তানের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে।
সাধারণত শৈশবে মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগের লক্ষণ প্রথম ধরা পড়ে। এতে শিশুর মস্তিষ্ক, হৃদ্যন্ত্র ও পেশির কার্যক্ষমতা কমে যেতে থাকে। আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত বিকাশে পিছিয়ে পড়ে, হুইলচেয়ারে জীবন কাটায় এবং অল্প বয়সেই মারা যায়। সারা বিশ্বে প্রতি পাঁচ হাজার শিশুর মধ্যে একজন এই রোগে আক্রান্ত হয়।
‘মাইটোকন্ড্রিয়াল ডোনেশন ট্রিটমেন্ট’ বা এমডিটি এমন একটি চিকিৎসা যার ফলে সন্তানের শরীরে মায়ের ত্রুটিপূর্ণ মাইটোকন্ড্রিয়াগুলো প্রবেশ করতে পারে না। অর্থাৎ প্রকৃত মা-বাবার জীনগত বৈশিষ্ট্য সন্তানের মধ্যে বিদ্যমান রেখেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে মায়ের ডিম্বাণু ও বাবার শুক্রাণুর মধ্যে নিষেক ঘটানো হয়। তারপর এই নিষিক্ত ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসের জিনগত উপাদান নিয়ে আরেকজন সুস্থ ডোনার হতে সংগৃহীত ডিম্বাণুতে বসানো হয়। তবে এই সংগৃহীত ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াস আগে থেকেই সরানো থাকে। এর ফলে সন্তানের দেহে মা-বাবার প্রকৃত নিউক্লিয়াস জায়গা পায়, যা জিনগত বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখে। আবার অন্যদিকে ডোনারের ডিম্বানুর সুস্থ মাইটোকন্ড্রিয়াও সন্তানকে জন্মগত শারীরিক ত্রুটি থেকে মুক্ত রাখে।
যুক্তরাজ্যে এই প্রক্রিয়ায় জন্ম নেওয়া আট শিশুর তথ্য সম্প্রতি ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় জানানো হয়েছে, জন্মগ্রহণের সময় আটজন শিশুই সুস্থ ছিল। পরে একটি শিশুর প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দেয়। যা পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা হয়। আরেকজন শিশুর পেশিতে হালকা খিঁচুনি দেখা দিলেও তা নিজে থেকেই সেরে যায়। এ ছাড়াও একটি শিশুর রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যায় এবং হৃদ্যন্ত্রের স্পন্দনে সমস্যা দেখা দেয়। সেটিও চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। গর্ভাবস্থায় মায়ের শারীরিক সমস্যার ফলে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।
জিন পরীক্ষা করে দেখা যায়, শিশুদের শরীরে ত্রুটিযুক্ত মাইটোকন্ড্রিয়া নেই বললেই চলে। অল্প কিছু পরিমাণ ত্রুটিপূর্ণ মাইটোকন্ড্রিয়া মায়ের শরীর থেকে চলে এলেও তা রোগের আশঙ্কা সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট নয়। এই আট শিশুর মধ্যে পাঁচজনের বয়স এক বছরের কম, দুজনের বয়স এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স আরও বেশি।
এক কন্যা শিশুর মা বলেছেন, ‘ মা-বাবা হিসেবে শুধু চাইছিলাম আমাদের সন্তান সুস্থ জীবন নিয়ে পৃথিবীতে আসুক। অনেক বছর ধরে অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। এই চিকিৎসা প্রথমে আমাদের আশা জাগিয়েছে। আমরা এর মাধ্যমে একটি সুস্থ সন্তান পেয়েছি। বিজ্ঞান আমাদের যে সুযোগটা দিয়েছে তার জন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’
কিছু কিছু নারীর ডিম্বাণুতে ত্রুটিযুক্ত মাইটোকন্ড্রিয়ার মাত্রা কম-বেশি থাকতে পারে। তাঁদের জন্য ‘প্রি-ইমপ্লান্টেশন জেনেটিক টেস্টিং’ বা পিজিটি নামে আরেকটি পদ্ধতি রয়েছে। তবে যেসব নারীর সব ডিম্বাণুতেই ত্রুটি থাকে, তাঁদের জন্য পিজিটি উপযোগী নয়।
নিউক্যাসলের গবেষকেরা জানান, এমডিটি পদ্ধতিতে চিকিৎসা নেওয়া ২২ জন নারীর মধ্যে আটজন গর্ভবতী হয়েছেন। পিজিটিতে চিকিৎসা নেওয়া ৩৯ জনের মধ্যে ১৬ জন গর্ভবতী হয়েছেন। গর্ভধারণের হারে পার্থক্যের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে মাইটোকন্ড্রিয়ার কিছু ত্রুটি নারীর সন্তান ধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা।
লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক রবিন লাভেল-ব্যাজ এক সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, ‘এই পর্যায়ে আসতে সময় অনেক লেগেছে। এটি নিঃসন্দেহে তাঁদের জন্য হতাশাজনক ছিল, যাঁরা মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগে আক্রান্ত সন্তান জন্মদানের ঝুঁকিতে ছিলেন।’ এছাড়াও তিনি বিজ্ঞানীদের ধৈর্যশীলতার প্রশংসা করেছেন।
জেনেটিক ত্রুটিযুক্ত সাতজন গর্ভবতী নারীর ভ্রূণে আইভিএফ পদ্ধতিতে প্রবেশ করানো হয়েছিল সুস্থ তিনজনের ডিএনএ। উদ্দ্যেশ্য ছিল, সুস্থ ব্যক্তিদের ডিএনএর প্রভাবে গর্ভবতী ওই নারীরা যেন জেনেটিক ত্রুটিহীন সন্তান জন্ম দিতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই প্রচেষ্টায় সফলতা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওই সাত নারী জন্ম দিয়েছেন জেনেটিক ত্রুটিহীন আট শিশুর। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে যা এক যুগান্তকারী ঘটনা।
যুক্তরাজ্যে এই প্রক্রিয়ায় জন্ম নেওয়া আট শিশুর তথ্য সম্প্রতি ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে।
নতুন উদ্ভাবিত এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো, মা-বাবার জিন থেকে আগত প্রাণঘাতি রোগ থেকে শিশুকে মুক্ত রাখা। উদ্ভাবিত এই প্রক্রিয়ার নাম ‘মাইটোকন্ড্রিয়াল ডোনেশন ট্রিটমেন্ট’ বা এমডিটি।
যেসব মায়েরা এই পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের মাইটোকন্ড্রিয়ায় জিনগত ত্রুটি ছিল। কোষের ভেতরে থাকা মাইটোকন্ড্রিয়ায মূলত মানবদেহকে শক্তি জোগায়। তাই মাইটোকন্ড্রিয়ায় ত্রুটি থাকলে শিশুর শরীরে প্রাণঘাতী রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এই পদ্ধতিতে সাতজন নারীর গর্ভে জন্ম নেয় চার ছেলে ও চার মেয়ে। এই আট শিশুর মধ্যে দুজন জমজও আছে। জন্মের পর এখন পর্যন্ত কারও শরীরে বংশগত রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
যুক্তরাজ্যে ২০১৫ সালে একটি আইনের সংশোধনের ফলে এই চিকিৎসার অনুমতি মেলে। এরপর থেকেই সারা বিশ্বের চিকিৎসকেরা এর ফলাফল জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন। ২০১৭ সালে প্রথম এই চিকিৎসার অনুমতি পায় নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিক।
এই চিকিৎসা উদ্ভাবনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন অধ্যাপক ডগ টার্নবুল। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় আমরা এই চিকিৎসা নিয়ে কাজ করেছি। শিশুদের সুস্থ জন্ম আমাদের ও পরিবারগুলোর জন্য বেশ স্বস্তির বিষয়।’জেনেটিক ত্রুটিযুক্ত সাতজন গর্ভবতী নারীর ভ্রূণে আইভিএফ পদ্ধতিতে প্রবেশ করানো হয়েছিল সুস্থ তিনজনের ডিএনএ। উদ্দ্যেশ্য ছিল, সুস্থ ব্যক্তিদের ডিএনএর প্রভাবে গর্ভবতী ওই নারীরা যেন জেনেটিক ত্রুটিহীন সন্তান জন্মদিতে পারে। শেষপর্যন্ত এই প্রচেষ্টায় সফলতা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওই সাত নারী জন্ম দিয়েছেন জেনেটিক ত্রুটিহীন আট শিশুর। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে যা এক যুগান্তকারী ঘটনা।
মানুষের দেহে প্রায় ২০ হাজার জিন রয়েছে কোষের কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াসের ভেতরে থাকে। কিন্তু নিউক্লিয়াসকে ঘিরে থাকা তরলে অসংখ্য মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে, যেগুলোর প্রত্যেকটিতে নিজস্ব ৩৭টি জিন আছে। এই জিনগুলোতে কোনো ত্রুটি হলে মাইটোকন্ড্রিয়া দুর্বল বা অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে শরীরে গুরুতর জটিলতা দেখা দিতে পারে।
একজন মানুষ তার সমস্ত মাইটোকন্ড্রিয়া মায়ের কাছ থেকে পায়। মায়ের মাইটোকন্ড্রিয়ায় কোনো ত্রুটি থাকলে সেটি তার সব সন্তানের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে।
সাধারণত শৈশবে মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগের লক্ষণ প্রথম ধরা পড়ে। এতে শিশুর মস্তিষ্ক, হৃদ্যন্ত্র ও পেশির কার্যক্ষমতা কমে যেতে থাকে। আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত বিকাশে পিছিয়ে পড়ে, হুইলচেয়ারে জীবন কাটায় এবং অল্প বয়সেই মারা যায়। সারা বিশ্বে প্রতি পাঁচ হাজার শিশুর মধ্যে একজন এই রোগে আক্রান্ত হয়।
‘মাইটোকন্ড্রিয়াল ডোনেশন ট্রিটমেন্ট’ বা এমডিটি এমন একটি চিকিৎসা যার ফলে সন্তানের শরীরে মায়ের ত্রুটিপূর্ণ মাইটোকন্ড্রিয়াগুলো প্রবেশ করতে পারে না। অর্থাৎ প্রকৃত মা-বাবার জীনগত বৈশিষ্ট্য সন্তানের মধ্যে বিদ্যমান রেখেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে মায়ের ডিম্বাণু ও বাবার শুক্রাণুর মধ্যে নিষেক ঘটানো হয়। তারপর এই নিষিক্ত ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসের জিনগত উপাদান নিয়ে আরেকজন সুস্থ ডোনার হতে সংগৃহীত ডিম্বাণুতে বসানো হয়। তবে এই সংগৃহীত ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াস আগে থেকেই সরানো থাকে। এর ফলে সন্তানের দেহে মা-বাবার প্রকৃত নিউক্লিয়াস জায়গা পায়, যা জিনগত বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখে। আবার অন্যদিকে ডোনারের ডিম্বানুর সুস্থ মাইটোকন্ড্রিয়াও সন্তানকে জন্মগত শারীরিক ত্রুটি থেকে মুক্ত রাখে।
যুক্তরাজ্যে এই প্রক্রিয়ায় জন্ম নেওয়া আট শিশুর তথ্য সম্প্রতি ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় জানানো হয়েছে, জন্মগ্রহণের সময় আটজন শিশুই সুস্থ ছিল। পরে একটি শিশুর প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দেয়। যা পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা হয়। আরেকজন শিশুর পেশিতে হালকা খিঁচুনি দেখা দিলেও তা নিজে থেকেই সেরে যায়। এ ছাড়াও একটি শিশুর রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যায় এবং হৃদ্যন্ত্রের স্পন্দনে সমস্যা দেখা দেয়। সেটিও চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। গর্ভাবস্থায় মায়ের শারীরিক সমস্যার ফলে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।
জিন পরীক্ষা করে দেখা যায়, শিশুদের শরীরে ত্রুটিযুক্ত মাইটোকন্ড্রিয়া নেই বললেই চলে। অল্প কিছু পরিমাণ ত্রুটিপূর্ণ মাইটোকন্ড্রিয়া মায়ের শরীর থেকে চলে এলেও তা রোগের আশঙ্কা সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট নয়। এই আট শিশুর মধ্যে পাঁচজনের বয়স এক বছরের কম, দুজনের বয়স এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স আরও বেশি।
এক কন্যা শিশুর মা বলেছেন, ‘ মা-বাবা হিসেবে শুধু চাইছিলাম আমাদের সন্তান সুস্থ জীবন নিয়ে পৃথিবীতে আসুক। অনেক বছর ধরে অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। এই চিকিৎসা প্রথমে আমাদের আশা জাগিয়েছে। আমরা এর মাধ্যমে একটি সুস্থ সন্তান পেয়েছি। বিজ্ঞান আমাদের যে সুযোগটা দিয়েছে তার জন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’
কিছু কিছু নারীর ডিম্বাণুতে ত্রুটিযুক্ত মাইটোকন্ড্রিয়ার মাত্রা কম-বেশি থাকতে পারে। তাঁদের জন্য ‘প্রি-ইমপ্লান্টেশন জেনেটিক টেস্টিং’ বা পিজিটি নামে আরেকটি পদ্ধতি রয়েছে। তবে যেসব নারীর সব ডিম্বাণুতেই ত্রুটি থাকে, তাঁদের জন্য পিজিটি উপযোগী নয়।
নিউক্যাসলের গবেষকেরা জানান, এমডিটি পদ্ধতিতে চিকিৎসা নেওয়া ২২ জন নারীর মধ্যে আটজন গর্ভবতী হয়েছেন। পিজিটিতে চিকিৎসা নেওয়া ৩৯ জনের মধ্যে ১৬ জন গর্ভবতী হয়েছেন। গর্ভধারণের হারে পার্থক্যের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে মাইটোকন্ড্রিয়ার কিছু ত্রুটি নারীর সন্তান ধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা।
লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক রবিন লাভেল-ব্যাজ এক সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, ‘এই পর্যায়ে আসতে সময় অনেক লেগেছে। এটি নিঃসন্দেহে তাঁদের জন্য হতাশাজনক ছিল, যাঁরা মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগে আক্রান্ত সন্তান জন্মদানের ঝুঁকিতে ছিলেন।’ এছাড়াও তিনি বিজ্ঞানীদের ধৈর্যশীলতার প্রশংসা করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই চোখে পড়ছে লাল সুতা নিয়ে রহস্যময় নানান ছবি, আর নানা রকম মিম। সবাই যেন কিছু একটা বোঝাতে চাইছে, কিন্তু সেটা ঠিক কী? এর উত্তর লুকিয়ে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন থ্রিলার সিরিজ ‘এস লাইন’-এ।
২ দিন আগেচিনির কথা ভাবলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে মিষ্টি, চকলেট, ডেজার্ট বা আইসক্রিমের ছবি। আমরা সচরাচর ভাবি না যে, এই চিনি আমাদের শরীর, মন এবং সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কগুলোর ওপর কতটা গভীর প্রভাব ফেলছে।
২ দিন আগে২০২৪ সালের ১৬ জুলাই। ঢাকার রাস্তায় শিক্ষার্থীদের ওপর চলছিল পুলিশি দমন। সেদিনই রংপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবু সাঈদ। আর ঠিক এমন সময় ইউটিউবে এসে হাজির হয় একটা গান—‘কথা ক’। নারায়ণগঞ্জের তরুণ র্যাপার সেজান যেন গলা ফাটিয়ে একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন—‘কথা ক, দেশটা বলে স্বাধীন, তাইলে খ্যাচটা কই রে?’
২ দিন আগেঅফিসে কাজের চাপ কি আপনার জীবনের নতুন ভিলেন? বসকে দেখলে মনে হয় ড্রাগন, আর ই-মেইলগুলো যেন আগুনের গোলা? যদি আপনার উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে ঘাবড়াবেন না! চলুন, এই চাপকে একপাশে সরিয়ে রেখে একটু শান্তিতে শ্বাস নেওয়া যাক। কারণ আপনার মানসিক শান্তি বসের ডেডলাইনের চেয়েও অনেক বেশি জরুরি।
৪ দিন আগে