কাতারকে প্রায়ই ‘ন্যাটোর বাইরে প্রধান মার্কিন মিত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু ইসরায়েলি হামলা এই সুরক্ষার সীমাবদ্ধতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এই হামলা রিয়াদ থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত দেশগুলোকে কৌশলগতভাবে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিভক্ত আর।
ষষ্টবারের মতো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে গাজায় তাৎক্ষণিক, নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ভেস্তে গেল। এর আগে প্রায় দুই বছর চলা গাজা যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচবার ভোট হয়।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দুটি হাসপাতালের আশপাশে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ফিলিস্তিন ভূখণ্ড বিষয়ক জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান কমিশন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২১ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ কমিশনটি গঠন করে।
২০২৫ সালে কাতার ছিল সপ্তম দেশ যেখানে ইসরায়েল হামলা চালাল। ফলে পরিস্থিতি এক নতুন মাত্রায় পৌঁছায়। এর জবাবে আরব লীগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) যৌথভাবে উদ্যোগ নেয়।
ভোটে প্রস্তাবের পক্ষে ১৪২টি দেশ সমর্থন দেয়। ১০টি দেশ বিরোধিতা করে। ১২টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবে বলা হয়, হামাসমুক্ত একটি স্বাধীন ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের
প্রস্তাবে যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি সামাল দিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে একটি অস্থায়ী আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা মিশন গঠনের কথাও উল্লেখ রয়েছে। এ মিশনের লক্ষ্য হবে ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণকে সহায়তা দেওয়া এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব ধীরে ধীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করা।
ফিলিস্তিনের গাজা শহরের ৪০ শতাংশ দখলে নেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের সামরিক এক মুখপাত্রের বরাতে এই খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ এবং না খাইয়ে মারার বৈধতা দিতে ইসরায়েল শুরু থেকেই এক অভিনব কৌশল নেয়। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি শিশুদের শিরশ্ছেদ, গণধর্ষণ কিংবা হাসপাতালগুলোকে ‘কমান্ড সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহার করার মতো ভয়াবহ অভিযোগ ছড়ানো হয়। ইসরায়েল এমনকি দাবি করে, জাতিসংঘও আসলে হামাসকে আড়ালে সুবিধা দে
গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের পরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আবাসিক এলাকায় 'বিস্ফোরক রোবট' ব্যবহার করছে এবং গাজা শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সরিয়ে নিচ্ছে।
ফিলিস্তিনের গাজার শহরজুড়ে ইসরায়েলের নতুন হামলায় আরও অন্তত ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণের আশায় ছুটে যাওয়া ১৯ ফিলিস্তিনিও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন এই নিহতের ঘটনা ঘটে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পর এই যুদ্ধ শুরু হয়। এখনো এটি এক বৈশ্বিক অভিযান, যার উদ্দেশ্য হলো কথিত ‘সন্ত্রাসবাদ’ দমন।
সোমবার গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই হামলায় ৫ সাংবাদিক ও ১ ফায়ার সার্ভিসকর্মীসহ ২১ জন নিহত হয়েছেন।
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিক, চিকিৎসক ও উদ্ধারকর্মী রয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিন সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গত ৬ আগস্ট থেকে গাজা সিটিতে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত জেইতুন ও সাবরা এলাকায় এক হাজারের বেশি ভবন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে এবং শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।
ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় এই নিহতের ঘটনা ঘটে।