leadT1ad

এডগার অ্যালেন পো: বাল্টিমোরের কুয়াশায় হারিয়ে যাওয়া কবি

আজ নন্দিত কবি ও রহস্য উপন্যাসের অন্যতম পুরোধা এডগার অ্যালেন পো’য়ের মৃত্যু দিবস। পো ছিলেন অন্ধকার, বিভ্রম আর ভয়ের সৌন্দর্যের নান্দনিক রূপকার। এডগার অ্যালান পোয়ের মৃত্যুও যেন তাঁর নিজেরই সাহিত্যের উপমা। অনেকেই মনে করেন, পো কেবল মারা যাননি, বরং নিজের গল্পের ভেতরেই মিশে গেছেন। কেমন ছিল তাঁর জীবনের শেষদিনগুলো? চলুন জেনে নেয়া যাক।

স্ট্রিম গ্রাফিক

১৮৪৯ অক্টোবর। বাল্টিমোর শহরের ছিমছিমে গোধূলি তখন ঝরাপাতার ফিসফাসে ভরে উঠেছে। এমনই এক সময় এক কবি ধীরে ধীরে মিশে যাচ্ছিলেন পরপারের ঘন কুয়াশায়। তাঁর নাম এডগার অ্যালান পো। কবি ও বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্পকার এডগার অ্যালান পো।

আধুনিক রহস্য গল্পের এই অন্যতম পুরোধা নিজের জীবনের শেষ অধ্যায়টা লিখেছিলেন একেবারে নিঃশব্দে, এক বিভ্রমের ভেতর, অচেনা ঘোরে।

৩ অক্টোবরের সকাল। সেটা ছিল আমেরিকার জাতীয় নির্বাচনের দিন। বাল্টিমোর শহরের এক কোণে, একটা ভোটকেন্দ্রের পাশে পড়ে ছিলেন পো। অচেতন অবস্থায়। পরনে ছিল অন্য কারও ঢিলেঢালা কাপড়। দেখে বোঝা যাচ্ছিল নিজের শরীরের সঙ্গেই যেন আর কোনো সম্পর্ক নেই তাঁর। পো’র দৃষ্টি তখন নিভু নিভু অবস্থায়। কথাগুলোও সব জড়িয়ে আসছে। কে বা কারা এমন অবস্থায় ফেলে গেছে তাঁকে? কেউ জানে না।

কেউ জানুক আর না জানুক, ১৭৬ বছর পরেও প্রশ্নটা বিশ্বজুড়ে সাহিত্যপ্রেমীদের রাতের ঘুম হারাম করে তোলে। কীভাবে শেষ হয়েছিল এডগার অ্যালান পো’র জীবন?

এডগার এলেন পো। সংগৃহীত ছবি
এডগার এলেন পো। সংগৃহীত ছবি

যন্ত্রণা আর বিস্ময়ের ব্যারিকেডের মাখখানে দাঁড়িয়ে জীবনের শেষদিনগুলোতে পো যেন নিজেই হয়ে উঠেছিলেন তাঁর গল্পের এক অলীক চরিত্র। ভয়, একাকিত্ব আর অনন্ত অন্ধকারের প্রতিমূর্তি।

১৮০৯ সালে বোস্টনের নোনা বাতাস আর সমুদ্রের ঢেউয়ের আমেজে জন্ম নিয়েছিলেন পো। তিন বছর বয়স হবার আগেই হারিয়েছেন বাবা-মা দু’জনকেই।

রিচমন্ডের ধনাঢ্য অ্যালান পরিবার পো-কে দত্তক নিয়েছিল। তবে পো কখনোই সেই ভদ্রলোকী জীবনের অংশ হতে পারেননি।

জুয়া, ঋণ, মদ আর কবিতা—সব মিলিয়ে অ্যালানরাও বেশিদিন সইতে পারেনি পো-কে। জীবনে শৃঙ্খলা ফেরাতে ওয়েস্ট পয়েন্ট সামরিক একাডেমিতেও গিয়েছিলেন পো। তবে সেখানে বেশিদিন টিকতে পারেননি।

সময়টা ছিল ১৮৩৮ সাল। অনিশ্চয়তায় ভরা জীবনেই প্রেমের সন্ধান পেলেন পো। প্রেয়সীর নাম ভার্জিনিয়া ক্লেম। সম্পর্কে চাচাতো বোন। বয়স মাত্র তেরো। ওই বছরের ১৬ মে ভার্জিনিয়া হয়ে গেলেন পো’র স্ত্রী, তাঁর প্রেরণা ও শান্তির আশ্রয়। ধীরে ধীরে মদ ও জুয়ার আসর থেকেও সরে আসছিলেন পো।

সেখান থেকে ফিরে, তলোয়ার আর বন্দুক ছেড়ে পো কলমকেই করেছিলেন হাতিয়ার। ‘সাদার্ন লিটারারি মেসেঞ্জার’ ও ‘বার্টন’স জেন্টলম্যানস ম্যাগাজিনে’ ছিলেন সম্পাদকের দায়িত্বে। দুটি পত্রিকাতেই তিনি রীতিমতো যুদ্ধ চালিয়েছেন সমকালীন ‘মিডিওকার’ লেখকদের বিরুদ্ধে। তবে এখনকার মতোই তখনও স্রোতের বিপরীতে থাকা লেখকদের কপালে পয়সা জোটেনি। পো’র পকেট ছিল শূন্য, জীবন ছিল অনিশ্চয়তা আর বিপদে ভরা।

কিন্তু জানেন তো, বিপদ কখনও একা আসে না। সঙ্গে প্রেম নিয়ে আসে।

সময়টা ছিল ১৮৩৮ সাল। অনিশ্চয়তায় ভরা জীবনেই প্রেমের সন্ধান পেলেন পো। প্রেয়সীর নাম ভার্জিনিয়া ক্লেম। সম্পর্কে চাচাতো বোন। বয়স মাত্র তেরো। ওই বছরের ১৬ মে ভার্জিনিয়া হয়ে গেলেন পো’র স্ত্রী, তাঁর প্রেরণা ও শান্তির আশ্রয়। ধীরে ধীরে মদ ও জুয়ার আসর থেকেও সরে আসছিলেন পো।

ঋণের চাপ থেকে উঠে দাঁড়াবার লড়াই করছিলেন, কিন্তু পায়ের নিচে জমিন কখনোই তেমন শক্ত হয়নি তাঁর। পোয়ের শান্তিও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।

এডগার এলেন পো-এর কবর। সংগৃহীত ছবি
এডগার এলেন পো-এর কবর। সংগৃহীত ছবি

১৮৪২ সালে ভার্জিনিয়ার ঠোঁটে যখন প্রথম রক্তের দাগ দেখা দিল, তখন থেকেই পো’র জীবনে বদলে যেতে শুরু করলো দিন ও রাতের সংজ্ঞা। তাঁর দুরাশার সঙ্গি হলো আফিম আর মদ। হতাশার ঘোরে তিনি লড়াই করলেন নিজের ভেতরের দানবের সঙ্গে। শেষপর্যন্ত কে জিতল, তা জানা যায় না। তবে জানা যায়, যক্ষ্মার সঙ্গে জীবনযুদ্ধে জিততে পারেননি ভার্জিনিয়া ক্লেম। ১৮৪৭ সালের ৩০ জানুয়ারি পো এবং পৃথিবীকে একসঙ্গে বিদায় জানান তিনি।

স্ত্রীকে পো অমর করে রাখলেন ‘অ্যানেবেল লী’ কবিতায়। যেই কবিতা যুগযুগান্তর ধরে শিহরণ জাগিয়ে এসেছে কাব্য প্রেমীদের। কথিত আছে, কবি জীবনানন্দ দাশ নাকি এই প্রেমগাথার প্রত্যক্ষ প্রভাবেই লিখেছিলেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘বনলতা সেন’।

ভার্জিনিয়াকে হারানোর পর পো নতুন করে খুঁজলেন শুরু করেছিলেন জীবনের সান্ত্বনা। আবারও আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিলেন প্রেমের। শৈশবের ভালোবাসা এলমাইরা রইস্টার শেলটন, সারা হেলেন হুইটম্যান ও মারিয়া লুইস শু-এর সাথে পরে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন পো। এঁদের ভেতর রইস্টার শেলটন ও মারিয়া লুইসকে চিঠি লিখে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ‘আমি চিরতরে মদ ছেড়েছি’। তবে কবির প্রতিজ্ঞা সম্ভবত বিশ্বাস করে না স্বয়ং কবিও।

স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রতিজ্ঞা টিকল না। পো ঠিকই ডুবে যেতে থাকলেন মদের সাগরে।

এডগার অ্যালান পো’র মৃত্যু আজও এক অমীমাংসিত রহস্য। হয়তো রহস্যই ছিল তাঁর নিয়তি, তাঁর অস্তিত্বের অন্তরস্থ আহ্বান। মৃত্যুর পরও পো বেঁচে আছেন প্রতিটি ‘নেভারমোর’-এর প্রতিধ্বনিতে, প্রতিটি অনিদ্র রাতের নিঃশব্দ ভয়ে।

এসবের ভেতরেই শৈশবের প্রেম এলমাইরা রইস্টার শেলটনের সঙ্গে বাগদান হয়েছিল পো’র। জীবনের এই শেষ অধ্যায়ে পো ছিলেন আশ্চর্যভাবে আশাবাদী। বিয়ের পরিকল্পনা, শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে বসবাসের ইচ্ছে, এমনকি রাজনীতিতে প্রবেশের কথাও তিনি ভাবছিলেন। এক বন্ধুকে লিখেছিলেন, ‘বহু বছর পর আমি এতটা সুখী।’

তবে শুকনো কাশি, দেহে বয়ে বেরানো যক্ষ্মার লক্ষণ আর আর্থিক টানাপোড়েন—সব মিলে অস্থিরতা তাঁকে আবার ঘিরে ফেলেছিল। ঠিক তখনই পুরোনো পরিচিত রুফাস গ্রিসওল্ড তাঁকে প্রস্তাব দিলেন একটি সামরিক পাঠ্যবই সম্পাদনার কাজের। তবে কাজের প্রয়োজনে যেতে হবে নিউইয়র্ক আর ফিলাডেলফিয়ায়।

১৮৪৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পো রিচমন্ড থেকে স্টিমবোটে চড়লেন বাল্টিমোরের উদ্দেশ্যে। এরপরই তিনি হারিয়ে গেলেন।

কোনো ছায়া কি তাকে তাড়া করছিল সেই শত মাইলের যাত্রাপথে? লোকশ্রুতি আছে, পো রিচমন্ড থেকে সরাসরি উত্তরে নিউইয়র্কের পথে রওনা হয়েছিলেন। কেউ কেউ দাবি করেছে, তাঁকে বাল্টিমোরেই দেখা গিয়েছিল—এক পানশালায়। কেউ কেউ বলে, পো ছিল নির্বাচনী ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছি, উদ্ভ্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছিল।

৩ অক্টোবর। সেই নির্বাচনের দিনে রাস্তা জুড়ে ছিল ভোটারদের ভিড়, কোলাহল। সেই কোলাহলের মধ্যেই জোসেফ ওয়াকার নামের এক ছাপাখানার কর্মী দেখতে পান পো-কে। তাঁকে একদমই চেনা যাচ্ছিল না। তাঁর পরনে ছিল অন্য কারও পুরোনো কাপড়, মোটা উলের প্যান্ট, ছেঁড়া কোট, আর একখানা পাম পাতার টুপি।

এডগার এলেন পো ও তাঁর স্ত্রী ভার্জিনিয়া ক্লেম। সংগৃহীত ছবি
এডগার এলেন পো ও তাঁর স্ত্রী ভার্জিনিয়া ক্লেম। সংগৃহীত ছবি

ওয়াকারের বর্ণনায় অনুযায়ী, পো তখন জড়ানো কণ্ঠে বিড়বিড় করে কিছু বলছিলেন। বারবার উচ্চারণ করছিলেন একটি নাম, ‘রেনল্ডস।‘ নামটি যেন উঠে আসছিল তাঁর বিভ্রমের কেন্দ্র থেকে, কোনো সংকেতের মতো। যেই সংকেত আর কেউ ব্যবচ্ছেদ করতে পারেনি।

অনেকের মতে, হয়তো পো ডাকছিলেন ড. মোরান রেনল্ডসকে, যিনি পরে তাঁর চিকিৎসা করেছিলেন। আবার কেউ বলে, হয়তো সেই নাম শুধুই জ্বরের প্রলাপ। কেউ মনে করে, হয়তো ভোটকেন্দ্রের ম্যাজিস্ট্রেট জোসেফ ইভান্সকে ভুল নামে ডাকছিলেন তিনি।

ওয়াকার অচেতন পোকে তুলে নিয়ে যান ওয়াশিংটন কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালটি তখন ছিল বিষণ্ণ ইটের প্রাসাদ।

৩ অক্টোবর যখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন পো ছিলেন অচেতন। পরে কয়েক দিন ধরে তিনি ছিলেন বিভ্রম আর বাস্তবতার মাঝামাঝি কোনো এক অবস্থায়। সেই অবস্থায় পো বারবার অদৃশ্য শত্রুদের কথা বলে যাচ্ছিলেন, তাঁর হৃদস্পন্দন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিল, চামড়া হয়ে উঠেছিল ফ্যাকাসে।

চিকিৎসক ড. জন জে. মোরান নিজের নোট বইয়ে লিখেছিলেন, রোগী ‘চরম স্নায়বিক উত্তেজনায় ভুগছিলেন’ এবং এটি ‘মস্তিষ্কের গভীর অসুস্থতার দুঃখজনক উদাহরণ।‘

ক্যালোমেল ও সরিষা পাতা থেকে শুরু করে নানা প্রাচীন ওষুধ দিয়ে চেষ্টা চালানো হলো পো’র হুঁশ ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু লাভ হলো না।

৬ অক্টোবর সকালে পো কিছুটা সাড়া দেন, অস্পষ্ট স্বরে বলেন ষড়যন্ত্র আর বিষপ্রয়োগের কথা, তারপর আবার নেমে যান নীরবতার গভীরে।

১৯৯৬ সালে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ডক্টর রবার্ট মাইকেল বেনিটেজ পো’র মৃত্যু নিয়ে নতুন তত্ত্ব দেন। তিনি দাবি করেন র‍্যাবিস বা জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়েছিল পো। রবার্ট মাইকেলের মতে, পো’র অস্থিরতা, পানি ছুঁতে না চাওয়া আর খিঁচুনি—সবই ছিল সেই রোগের লক্ষণ। অন্যদিকে কেউ কেউ বলেছে, তাঁকে খুন করা হয়েছিল।

৭ অক্টোবর ভোর পাঁচটা। ধীরে ধীরে তিনি ঢলে পড়েন মৃত্যুর দিকে। ড. মোরানের দাবি, পো’র শেষ কথা ছিল ‘লর্ড, হেল্প মাই পুওর সৌল’।

পো’র মৃত্যুর পর জীবন্ত হয়ে উঠেছিল তাঁর মৃত্যুরহস্য। অনেকে মনে করে তাঁর শরীর ভেঙে পড়েছিল বিষক্রিয়ায়, অতিরিক্ত মদপানের কারণে লিভার নষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আবার কেউ বিশ্বাস করে, পো হয়েছিলেন ‘কোপিং’-এর শিকার। কোপিং হচ্ছে একধরনের নির্বাচনী প্রতারণা। যেখানে গরিব মানুষদের মদ খাইয়ে, পোশাক পাল্টে, বারবার অন্যের নামে ভোট দিতে বাধ্য করা হতো।

১৯৯৬ সালে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ডক্টর রবার্ট মাইকেল বেনিটেজ পো’র মৃত্যু নিয়ে নতুন তত্ত্ব দেন। তিনি দাবি করেন র‍্যাবিস বা জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়েছিল পো। রবার্ট মাইকেলের মতে, পো’র অস্থিরতা, পানি ছুঁতে না চাওয়া আর খিঁচুনি—সবই ছিল সেই রোগের লক্ষণ। অন্যদিকে কেউ কেউ বলেছে, তাঁকে খুন করা হয়েছিল। তাঁদের দাবি, ঋণদাতারা, ঈর্ষান্বিত সাহিত্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা কিংবা রাজনৈতিক সন্ত্রাসীরা হয়তো খুন করেছিল পো-কে।

আবার অনেকের মতে দূষিত চুল্লির কার্বন মনোক্সাইড, সিফিলিসের তৃতীয় স্তর কিংবা কেবল রাত্রির শীতই মৃত্যুর কারণ হয়েছিল পো’র।

তবে সত্যটা আজও আমাদের অজানা। মৃত্যুর তদন্তে কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত মেলেনি। ড. মোরানের নোট হারিয়ে গেছে। আর পো’র দেহ, যাকে প্রথমে তড়িঘড়ি করে কবর দেওয়া হয়েছিল ওয়েস্টমিনস্টার প্রেসবিটেরিয়ান চার্চইয়ার্ডের গরিবদের কবরস্থানে, পরে তিনবার কবর উৎখনন শেষে সেই দেহ স্থান পেয়েছে এক বিশাল স্মৃতিস্তম্ভের নিচে।

এডগার অ্যালান পো’র মৃত্যু আজও এক অমীমাংসিত রহস্য। হয়তো রহস্যই ছিল তাঁর নিয়তি, তাঁর অস্তিত্বের অন্তরস্থ আহ্বান। মৃত্যুর পরও পো বেঁচে আছেন প্রতিটি ‘নেভারমোর’-এর প্রতিধ্বনিতে, প্রতিটি অনিদ্র রাতের নিঃশব্দ ভয়ে। সাহিত্য তাঁকে ভুলে যেতে পারেনি, কারণ পো নিজেই তো হয়ে উঠেছিলেন সাহিত্য নামের এক শাশ্বত ধাঁধা।

Ad 300x250

সম্পর্কিত