প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানালেন
রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
২০২৪ সালের আগস্ট থেকেই বেইজিং মিয়ানমারের বিপর্যস্ত জান্তা সরকারকে সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন জুগিয়ে চলেছে। চার বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতায় ছিল মিন অং হ্লাইং-এর জান্তা সরকার। এমতাবস্থায় সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন এবং বেইজিংয়ের সামরিক কুচক
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আসার আট বছর
প্রতিবছর ২৫ আগস্টকে স্মরণ করা হয় রোহিঙ্গা গণহত্যা স্মরণ দিবস হিসেবে। ২০১৭ সালের এই সময়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে সময়ে মিয়ানমারে অবস্থিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রাষ্ট্রের দ্বারা পরিচালিত সহিংসতা ও গণহত্যার শিকার হয়।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। নদী, পাহাড়, সমুদ্র পেরিয়ে এই দিনে বাংলাদেশে নেমেছিল রোহিঙ্গাদের ঢল। সীমান্তের ওইপারে তখন চলছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনীরদের অমানবিক নিধনযজ্ঞ। মিয়ানমারের মানবিক বিপর্যয়, হত্যা, ধ্বংস আর বাস্তুচ্যুতি নিয়ে লিখেছেন রোহিঙ্গা কবিরা।
সংকটের আট বছর
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর উত্থান আরেকটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আধিপত্য বিস্তার, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পগুলোতে নিয়মিত সংঘর্ষ, খুন, অপহরণের মতো অপরাধ ঘটছে। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম কেবল ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গা নয়, স্থানীয় বাংলাদেশিদের জন্যও
জান্তা সরকার দেশের অন্যত্র কিছু অঞ্চল আবারও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলেও রাখাইনের ১৭টি শহরের ১৪টিই নিয়ন্ত্রণ করছে আরাকান আর্মি। পশ্চিম মিয়ানমারের বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষা রাখাইন রাজ্য আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে ওপারে হাজার হাজার রোহিঙ্গা অপেক্ষা করছেন। এদিকে সম্ভাব্য রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ইতিমধ্যে সীমান্ত এলাকায় জোর তৎপরতা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সবশেষ শুক্রবারও অনুপ্রবেশ করতে চেষ্টা করা ৬২ জন রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সীমান্তর
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেছেন, আসন্ন জাতিসংঘ সম্মেলন দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কার্যকর সমাধানের পথ দেখাবে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস অর্জনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের জান্তা দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছে।
বর্তমানে কক্সবাজারের মাত্র ২৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।
মিজোরাম ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বাণিজ্য এলাকা ‘খাওমাউই’র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিএনডিএফ ও সিডিএফ-এইচ এই তীব্র সংঘাতে জড়িয়েছে।