মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড

.png)

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড
মেয়ে মারজিয়া সুলতানার জন্য হয়রান বাবা মোহাম্মদ সুলতান। হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে পাননি জীবিত কিংবা মৃত। বাবার মন মানে না। তাই নিজেই সন্ধানে যান পুড়ে যাওয়া পোশাক কারখানায়।

গত রোববার (২৬ অক্টোবর) অগ্নিকাণ্ডের ১২ দিন পর ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীর মিরপুর রূপনগরে কেমিক্যাল গোডাউন ও পোশাক কারখানায় লাগা আগুনে নিহত ১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

রাজধানীর রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকার পোশাক কারখানায় যাঁরা পুড়ে মারা গেলেন, তাঁদের আমি চিনি না। আমি তাঁদের চেহারা দেখিনি, নামও জানি না। আমি শুধু জানি, ঢাকায় আরেকটা কারখানায় আগুন লেগেছে, যেখানে আটকা পড়ে বেশ কিছু শ্রমিক মারা গেছেন। বিশ্বজুড়ে ২৪ ঘণ্টার সংবাদচক্রে এটা একটা ক্ষণিকের জ্বলে ওঠা ঘটনা, পরমুহূর

মিরপুরের রূপনগরে আবাসিক এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি পোশাক কারখানা ও একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুনে প্রাণ গেছে ১৬ জনের। এর মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানার আগুন গতকাল মঙ্গলবারই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে রাসায়নিকের গুদামের আগুন এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

মিরপুরের আগুনের ঘটনায় ১৬ মৃতদেহের মধ্যে ৬ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা নগরীর বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যেন এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতা। মিরপুরের রাসায়নিক গুদামে আগুনে ১৬ জনের মৃত্যু, তার আগে বঙ্গবাজারে শতাধিক দোকান ছাই হয়ে যাওয়া কিংবা চকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বহু প্রাণহানি—এসব ঘটনা যেন এক ভয়ংকর চক্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, কেন এই শহরে এত ঘন ঘন আগুন লাগে?

মিরপুরের আগুন নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক কারখানাটিতে কাজ করতেন নাজমুল ইসলাম। এই কারখানার মালিকের সঙ্গে তিনি ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। গতকালের অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন নাজমুল। তাঁর লাশ খুঁজতে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে বসে আছেন তাঁর স্ত্রী নাসিমা ইসলাম৷

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত স্বজনদের শনাক্ত করলেও লাশ বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি অভিযোগ করেছেন কয়েকজনের স্বজন। তবে পুলিশ বলছে, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই প্রকৃত দাবিদার স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ঢাকা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান বলেছেন, ‘আজ সকালে আমরা আমাদের সেফটি নিয়ে, কেমিক্যাল স্যুট পরে ফ্যাক্টরির মেইন গেট খুলে দিয়েছি। আমরা দেখেছি, ভেতরে প্রচন্ড ধোঁয়া। ভেতরে ঠিক কি ধরনের কেমিক্যাল আছে আমরা বুঝতে পারছি না।’

লালমনিরহাটের মেয়ে মৌসুমী আক্তার। বাবা পেশায় রিকশাচালক। এসএসসি পাস করার পর উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি না হয়ে কাজে যুক্ত হন মৌসুমী। পরিবারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন তিনি।

মিরপুর অগ্নিকাণ্ডের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানুন সরাসরি স্ট্রিমে

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে স্ট্রিমের মুখোমুখি হয়েছেন অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের (অপারেশন) সাবেক পরিচালক এ কে এম শাকিল নেওয়াজ।

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে আগুনের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে আনা হয়েছে। এ সময় মর্গের সামনে ছবি হাতে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়।