.png)
গতকাল মিরপুরের একটি রাসায়নিক গুদামে লাগা আগুনে ১৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু আবারও দেশের রাজধানী ঢাকার অগ্নি-নিরাপত্তার ভঙ্গুর চিত্রটি সামনে নিয়ে এসেছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বঙ্গবাজারের ভয়াবহ আগুন কিংবা চকবাজারের সেই বহু প্রাণঘাতী ট্র্যাজেডির স্মৃতি এখনো দগদগে। প্রশ্ন উঠছে, কেন বারবার ঢাকা এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হচ্ছে?

মো. শফিক-উর রহমান

ঢাকা নগরীর বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যেন এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতা। মিরপুরের রাসায়নিক গুদামে আগুনে ১৬ জনের মৃত্যু, তার আগে বঙ্গবাজারে শতাধিক দোকান ছাই হয়ে যাওয়া কিংবা চকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বহু প্রাণহানি—এসব ঘটনা যেন এক ভয়ংকর চক্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, কেন এই শহরে এত ঘন ঘন আগুন লাগে? অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এই সমস্যার মূল কারণ তিনটি: নাগরিক সচেতনতার অভাব, আইন ও পরিকল্পনার ঘাটতি এবং দুর্বল জরুরি সাড়া বা ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থার অকার্যকারিতা।
প্রথমত ও প্রধানত, এই অগ্নিকাণ্ডের মূলে রয়েছে জনসচেতনতার তীব্র অভাব। আমাদের দেশের মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন নন। মিরপুরের ঘটনাটি এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ, যেখানে আগুনের সময় ভবনের ছাদের গেটটি তালাবদ্ধ ছিল, যা মানুষের বের হওয়ার পথ রুদ্ধ করে দেয়। এটা কেবল একটি ভবনের চিত্র নয়, বরং পুরো নগরীর মানসিকতার প্রতিচ্ছবি।
উন্নত বিশ্বে আগুন লাগার ঘটনাকে বিমান দুর্ঘটনার মতো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এটিকে বাসের দুর্ঘটনার মতো সাধারণ ও দৈব ঘটনা হিসেবে মেনে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। ভবনগুলোতে নিয়মিত অগ্নি-নির্বাপণ মহড়া বা জরুরি অবস্থায় একত্রিত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থান বা অ্যাসেম্বলি পয়েন্ট নির্ধারণের কোনো চর্চা নেই। ফলে, দুর্যোগের মুহূর্তে সাধারণ মানুষ কী করবে, কোন পথে বের হবে, সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ থাকে। এই সম্মিলিত উদাসীনতা ও নিরাপত্তার প্রতি অবহেলা ছোট একটি স্ফুলিঙ্গকে ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে পরিণত করার প্রাথমিক ক্ষেত্র প্রস্তুত করে।
দ্বিতীয় কারণটি হলো নগর পরিকল্পনা ও ভূমি ব্যবহারের আইনের চরম লঙ্ঘন। ঢাকা শহরে ভূমির ব্যবহার ও ভবনের নকশা সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালা থাকলেও তা মানার বা মানানোর কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। আবাসিক এলাকায় শিল্প কারখানা, রাসায়নিক গুদাম কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এখন একটি সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে।
চকবাজারের আগুনের মূল কারণই ছিল আবাসিক ভবনের নিচে থাকা কেমিক্যালের গুদাম। এই ধরনের অপরিকল্পিত ও বিপজ্জনক মিশ্র-ব্যবহার পুরো এলাকাকে একটি টাইম বোমার ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ভবন মালিকরা যেমন অধিক মুনাফার লোভে আইন অমান্য করছেন, তেমনি রাজউক বা সিটি কর্পোরেশনের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোও তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে, আইন কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকছে আর নগরীজুড়ে তৈরি হচ্ছে অসংখ্য মৃত্যুফাঁদ।
তৃতীয়ত, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও আমাদের জরুরি সাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা অত্যন্ত ধীর ও অপর্যাপ্ত। এক দিকে আছে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা। অন্যদিকে ঢাকার ভয়াবহ যানজটের কারণে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়ে যায়।
আগুন লাগার পর প্রাথমিক মুহূর্তগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো যানজট পেরিয়ে যখন পৌঁছায়, ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়। একটি কার্যকর ব্যবস্থার অভাবে ছোট আগুনও নিয়ন্ত্রণে আনার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়, যা হতাহতের সংখ্যা বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।
এই ত্রি-মাত্রিক সমস্যার সমাধানও নিহিত রয়েছে এই কারণগুলোর মধ্যেই। প্রথমত, আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পরিকল্পনা যেভাবে করা হয়েছে, তার বাস্তবায়ন এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আবাসিক এলাকা থেকে সকল প্রকার বিপজ্জনক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা সরিয়ে ফেলার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। প্রতিটি ভবন, তা আবাসিক হোক বা বাণিজ্যিক, সেখানে নিয়মিত অগ্নি-নির্বাপণ মহড়ার আয়োজন আবশ্যিক করতে হবে। দুর্যোগের সময় করণীয় সম্পর্কে মানুষকে প্রশিক্ষিত করতে হবে।
তৃতীয়ত, জরুরি সাড়াদান ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক, দ্রুত ও কার্যকর করে তুলতে হবে, যাতে যেকোনো ঘটনার পর ন্যূনতম সময়ের মধ্যে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হয়।
ঢাকার বারবার অগ্নিকাণ্ড কোনো দৈব দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতার এক ভয়াবহ পরিণতি। যতক্ষণ পর্যন্ত সাধারণ মানুষ সচেতন না হবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কঠোর হবে না এবং জরুরি সাড়াদান ব্যবস্থা উন্নত হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত এই মৃত্যুর মিছিল থামানো প্রায় অসম্ভব।
সমাধান কেবল কয়েকটি নতুন আইন বা কিছু সরঞ্জাম কেনা নয়, বরং এর জন্য প্রয়োজন মানসিকতা এবং ব্যবস্থাপনার একটি আমূল পরিবর্তন। তা না হলে ঢাকা এক জ্বলন্ত নগরী হিসেবেই হয়তো পরিচিতি পাবে, যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার পরবর্তী ট্র্যাজেডির আশঙ্কায় দিন কাটাবে।
লেখক: অধ্যাপক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, জাহাঙ্গীরণগর বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা নগরীর বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যেন এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতা। মিরপুরের রাসায়নিক গুদামে আগুনে ১৬ জনের মৃত্যু, তার আগে বঙ্গবাজারে শতাধিক দোকান ছাই হয়ে যাওয়া কিংবা চকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বহু প্রাণহানি—এসব ঘটনা যেন এক ভয়ংকর চক্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, কেন এই শহরে এত ঘন ঘন আগুন লাগে? অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এই সমস্যার মূল কারণ তিনটি: নাগরিক সচেতনতার অভাব, আইন ও পরিকল্পনার ঘাটতি এবং দুর্বল জরুরি সাড়া বা ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থার অকার্যকারিতা।
প্রথমত ও প্রধানত, এই অগ্নিকাণ্ডের মূলে রয়েছে জনসচেতনতার তীব্র অভাব। আমাদের দেশের মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন নন। মিরপুরের ঘটনাটি এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ, যেখানে আগুনের সময় ভবনের ছাদের গেটটি তালাবদ্ধ ছিল, যা মানুষের বের হওয়ার পথ রুদ্ধ করে দেয়। এটা কেবল একটি ভবনের চিত্র নয়, বরং পুরো নগরীর মানসিকতার প্রতিচ্ছবি।
উন্নত বিশ্বে আগুন লাগার ঘটনাকে বিমান দুর্ঘটনার মতো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এটিকে বাসের দুর্ঘটনার মতো সাধারণ ও দৈব ঘটনা হিসেবে মেনে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। ভবনগুলোতে নিয়মিত অগ্নি-নির্বাপণ মহড়া বা জরুরি অবস্থায় একত্রিত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থান বা অ্যাসেম্বলি পয়েন্ট নির্ধারণের কোনো চর্চা নেই। ফলে, দুর্যোগের মুহূর্তে সাধারণ মানুষ কী করবে, কোন পথে বের হবে, সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ থাকে। এই সম্মিলিত উদাসীনতা ও নিরাপত্তার প্রতি অবহেলা ছোট একটি স্ফুলিঙ্গকে ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে পরিণত করার প্রাথমিক ক্ষেত্র প্রস্তুত করে।
দ্বিতীয় কারণটি হলো নগর পরিকল্পনা ও ভূমি ব্যবহারের আইনের চরম লঙ্ঘন। ঢাকা শহরে ভূমির ব্যবহার ও ভবনের নকশা সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালা থাকলেও তা মানার বা মানানোর কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। আবাসিক এলাকায় শিল্প কারখানা, রাসায়নিক গুদাম কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এখন একটি সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে।
চকবাজারের আগুনের মূল কারণই ছিল আবাসিক ভবনের নিচে থাকা কেমিক্যালের গুদাম। এই ধরনের অপরিকল্পিত ও বিপজ্জনক মিশ্র-ব্যবহার পুরো এলাকাকে একটি টাইম বোমার ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ভবন মালিকরা যেমন অধিক মুনাফার লোভে আইন অমান্য করছেন, তেমনি রাজউক বা সিটি কর্পোরেশনের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোও তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে, আইন কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকছে আর নগরীজুড়ে তৈরি হচ্ছে অসংখ্য মৃত্যুফাঁদ।
তৃতীয়ত, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও আমাদের জরুরি সাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা অত্যন্ত ধীর ও অপর্যাপ্ত। এক দিকে আছে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা। অন্যদিকে ঢাকার ভয়াবহ যানজটের কারণে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়ে যায়।
আগুন লাগার পর প্রাথমিক মুহূর্তগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো যানজট পেরিয়ে যখন পৌঁছায়, ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়। একটি কার্যকর ব্যবস্থার অভাবে ছোট আগুনও নিয়ন্ত্রণে আনার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়, যা হতাহতের সংখ্যা বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।
এই ত্রি-মাত্রিক সমস্যার সমাধানও নিহিত রয়েছে এই কারণগুলোর মধ্যেই। প্রথমত, আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পরিকল্পনা যেভাবে করা হয়েছে, তার বাস্তবায়ন এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আবাসিক এলাকা থেকে সকল প্রকার বিপজ্জনক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা সরিয়ে ফেলার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। প্রতিটি ভবন, তা আবাসিক হোক বা বাণিজ্যিক, সেখানে নিয়মিত অগ্নি-নির্বাপণ মহড়ার আয়োজন আবশ্যিক করতে হবে। দুর্যোগের সময় করণীয় সম্পর্কে মানুষকে প্রশিক্ষিত করতে হবে।
তৃতীয়ত, জরুরি সাড়াদান ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক, দ্রুত ও কার্যকর করে তুলতে হবে, যাতে যেকোনো ঘটনার পর ন্যূনতম সময়ের মধ্যে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হয়।
ঢাকার বারবার অগ্নিকাণ্ড কোনো দৈব দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতার এক ভয়াবহ পরিণতি। যতক্ষণ পর্যন্ত সাধারণ মানুষ সচেতন না হবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কঠোর হবে না এবং জরুরি সাড়াদান ব্যবস্থা উন্নত হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত এই মৃত্যুর মিছিল থামানো প্রায় অসম্ভব।
সমাধান কেবল কয়েকটি নতুন আইন বা কিছু সরঞ্জাম কেনা নয়, বরং এর জন্য প্রয়োজন মানসিকতা এবং ব্যবস্থাপনার একটি আমূল পরিবর্তন। তা না হলে ঢাকা এক জ্বলন্ত নগরী হিসেবেই হয়তো পরিচিতি পাবে, যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার পরবর্তী ট্র্যাজেডির আশঙ্কায় দিন কাটাবে।
লেখক: অধ্যাপক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, জাহাঙ্গীরণগর বিশ্ববিদ্যালয়
.png)

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান সংগঠক এবং নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আন্দোলনের উত্তাল সময় পেরিয়ে রাজনৈতিক দল গঠনের পর বর্তমান বাস্তবতা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা স্ট্রিমের সঙ্গে।
১৫ ঘণ্টা আগে
হেমন্তের রাত। হালকা হিম পড়ছে আকাশ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার জাতীয় বার্ন ইউনিটের ১ নম্বর গেটের বিপরীতের ফুটপাতে পোটলা বিছিয়ে শুয়ে পড়লেন এক বৃদ্ধ। কিন্তু নিরপরাধ ঘুমের স্পর্শ পাওয়ার আগেই উদ্ধত লাঠির দেখা পেলেন তিনি। কয়েকজন তরুণ লাঠি হাতে বৃদ্ধকে শাসাতে লাগলেন সেখান থেকে উঠে যাওয়ার জন্য।
২ দিন আগে
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির বিজয় আসলে প্রাতিষ্ঠানিকতার বিরুদ্ধে এক নৈতিক জবাব। যে প্রাতিষ্ঠানিকতা আমাদের এতদিন বলে এসেছে, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকাই পূন্য ও টাকা থাকাই যোগ্যতা, সেই প্রাতিষ্ঠানিকতার বিরুদ্ধে মামদানির বিজয় যেন এক সাক্ষাৎ চপেটাঘাত।
২ দিন আগে
বহু বছর ধরে সারা বিশ্বের কাছে আমেরিকা মানেই পুঁজিবাদের চূড়ান্ত প্রতীক। এই দুনিয়া চলে ওয়াল স্ট্রিট, সিলিকন ভ্যালির ইশারাতে। ব্যক্তির ইচ্ছাই এখানে শেষ কথা। এখানে ‘সমাজতন্ত্রী’ শব্দটি আজও রাজনৈতিক আক্রমণ বা গালাগাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
২ দিন আগে