.png)

স্ট্রিম প্রতিবেদক

দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে ঝরে পড়ার উচ্চ হার এবং শিক্ষার নিম্নমান নিয়ে উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে ইউনেসকোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রাথমিকে প্রায় ১৪ শতাংশ ও মাধ্যমিকে প্রায় ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করার আগেই ঝরে পড়ছে। শিক্ষার এই ‘নিষ্ক্রিয়তার পরিণামে’ দেশ ভয়াবহ ব্যক্তিগত, আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এই সংকট মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) দপ্তরে এই গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হয়।
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এবং জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘এডুকেশন ম্যাটারস: চ্যাম্পিয়নিং দ্য ট্রু ভ্যালু অব ইনভেস্টিং ইন এডুকেশন ফর এ স্ট্রংগার বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এই আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর সাড়া জাগানো প্রতিবেদন ‘দ্য প্রাইস অব ইনঅ্যাকশন: দ্য গ্লোবাল প্রাইভেট, ফিসকাল অ্যান্ড সোশ্যাল কস্টস অব চিলড্রেন অ্যান্ড ইউথ নট লার্নিং’-এর বাংলা অনুবাদ ও এর সুপারিশগুলো সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আলোচনা করা হয়।
ইউনেসকোর প্রতিবেদন মতে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করলেও শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও মাধ্যমিকে এই হার ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে, মাধ্যমিকের পাঠ শেষ করার আগেই ঝরে পড়ার হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
শিক্ষার মান নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। ২০২২ সালের ‘ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, পঞ্চম শ্রেণির মাত্র ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভালোভাবে বাংলা পড়তে পারে এবং মাত্র ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে প্রত্যাশিত উত্তর করতে পারে। ইউনেসকোর ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার এই সংকটের কারণে বাংলাদেশ শিশু-কিশোরদের শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার ব্যক্তিগত ক্ষতির পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এই সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে নায়েম ও ইউনেসকোর যৌথ প্রকল্পটি প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে বাস্তবায়ন এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য কাজ করছে।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) মো. মিজানুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানসহ শিক্ষা খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউনিসেফ, ব্র্যাক এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের (ক্যাম্পে) মতো উন্নয়ন সহযোগী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। বক্তরা একমত হন যে, শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার এই সংকট মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য।

দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে ঝরে পড়ার উচ্চ হার এবং শিক্ষার নিম্নমান নিয়ে উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে ইউনেসকোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রাথমিকে প্রায় ১৪ শতাংশ ও মাধ্যমিকে প্রায় ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করার আগেই ঝরে পড়ছে। শিক্ষার এই ‘নিষ্ক্রিয়তার পরিণামে’ দেশ ভয়াবহ ব্যক্তিগত, আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এই সংকট মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) দপ্তরে এই গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হয়।
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এবং জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘এডুকেশন ম্যাটারস: চ্যাম্পিয়নিং দ্য ট্রু ভ্যালু অব ইনভেস্টিং ইন এডুকেশন ফর এ স্ট্রংগার বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এই আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর সাড়া জাগানো প্রতিবেদন ‘দ্য প্রাইস অব ইনঅ্যাকশন: দ্য গ্লোবাল প্রাইভেট, ফিসকাল অ্যান্ড সোশ্যাল কস্টস অব চিলড্রেন অ্যান্ড ইউথ নট লার্নিং’-এর বাংলা অনুবাদ ও এর সুপারিশগুলো সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আলোচনা করা হয়।
ইউনেসকোর প্রতিবেদন মতে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করলেও শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও মাধ্যমিকে এই হার ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে, মাধ্যমিকের পাঠ শেষ করার আগেই ঝরে পড়ার হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
শিক্ষার মান নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। ২০২২ সালের ‘ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, পঞ্চম শ্রেণির মাত্র ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভালোভাবে বাংলা পড়তে পারে এবং মাত্র ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে প্রত্যাশিত উত্তর করতে পারে। ইউনেসকোর ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার এই সংকটের কারণে বাংলাদেশ শিশু-কিশোরদের শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার ব্যক্তিগত ক্ষতির পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এই সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে নায়েম ও ইউনেসকোর যৌথ প্রকল্পটি প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে বাস্তবায়ন এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য কাজ করছে।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) মো. মিজানুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানসহ শিক্ষা খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউনিসেফ, ব্র্যাক এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের (ক্যাম্পে) মতো উন্নয়ন সহযোগী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। বক্তরা একমত হন যে, শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার এই সংকট মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য।
.png)

জুলাই সনদের বিভিন্ন ধারা, গণভোটের সময়সূচি ও সনদের বাস্তবায়ন কাঠামো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে থাকা ভিন্নমতের কারণে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরিতে স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)।
২ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ পুরস্কার ‘দ্য আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ জিতেছে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ফ্রেন্ডশিপ’। ‘ফিক্স আওয়ার ক্লাইমেট’ ক্যাটাগরিতে সমন্বিত উন্নয়ন মডেলের জন্য সংস্থাটিকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় শেখ হাসিনা সরকার হঠাৎ ছয়টি চিনিকলে আখমাড়াই বন্ধের ঘোষণা দেয়। খেতে তখন দণ্ডায়মান আখ, ছিল কাটার অপেক্ষায়
৩ ঘণ্টা আগে
অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত ও পূর্বাভাসযোগ্য আর্থিক সম্পদ এবং একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত ‘দ্বিতীয় বিশ্ব সামাজিক উন্নয়ন শীর্ষক সম্মেলন’-এ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ এই আহ্বান জানান।
৩ ঘণ্টা আগে