
.png)

প্রতিদিনকার লড়াইয়ে নারীদের অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছেন রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। ১৯০৫ সালে ‘দ্য ইন্ডিয়ান লেডিজ ম্যাগাজিন’-এ প্রকাশিত সুলতানা’স ড্রিম আজকের নারীর জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে। হিমালয় জয় করবার বাসনায় নারীদের মনে শক্তির সঞ্চার করছে।

ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় আমি ‘অবরোধবাসিনী’ বইটি পড়ি। ‘নারীবাদ’ কী জিনিস, সেটা না জানলেও ‘অবিচার’ কাকে বলে তা আমি ঠিকই বুঝেছিলাম। আমার লেখাপড়া শেখার সুযোগ ছিল। অন্য অনেক মেয়ের চাইতে তুলনামূলকভাবে আমি ভালো অবস্থায় ছিলাম। সব ধরনের নিরাপত্তাও ছিল। তবুও এমন অজস্র কাজ ছিল যা আমার ‘করা উচিত নয়’, ‘বলা উচিত নয়’

২০০৭ সালের ‘ওয়ান-ইলেভেন’ থেকে ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং তৎপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ এই লেখা। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের অভাব, আমলাতান্ত্রিক নির্ভরতার সংকট এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের ফলে সৃষ্ট সামাজিক ক্ষত ত

ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভিন্ন আবহে পালিত হয় ৫৪তম মৈত্রী দিবস। এতে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে স্থিতিশীল, ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায়।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত বার্ষিক ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সের এবারের আলোচনার শিরোনাম ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা সবাই এখন এই বিষয়টি নিয়েই ভাবছি।

তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গেলাম। তিনি আমার ওপর বেশ মনঃক্ষুণ্ন ছিলেন। বললেন, ‘আমি আপনাকে বলে দিলাম...আর আপনি সব লিখে দিলেন!’

আজ মৃত্তিকা দিবস
শুরুতে পৃথিবী নামক এই গ্রহে কোনো মাটি ছিল না। প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি বছর আগে মাটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই মাটিই প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষা করতে সাহায্য করেছে (টপসয়েল অ্যান্ড সিভিলাইজেশন, ১৯৫৫)। মানবতার উদ্ভব ঘটেছে বাস্তুতন্ত্রের সেবা বা ইকোসিস্টেম সার্ভিস চালু হওয়ার পর। মাটি থেকেই খাদ্যের সূচনা।

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদল বলছে, বিদেশি কোম্পানির কাছে দিয়ে অতি উত্তম কাজ হয়েছে—এবার দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। অন্যদল বলছে, দেশ বিক্রি হয়ে গেল, সার্বভৌমত্ব চলে গেল। আসলে কী হলো, তার জবাব দেয়ার দায় স্বাভাবিকভাবেই সরকারের বেশি।

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘিরে সাম্প্রতিক যে হতাশার অতিকথন, তার অধিকাংশই স্থানীয় ভাষ্যকাররা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি করছে। আর এর মাধ্যমে দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক গতিপথের অসম্পূর্ণ এবং খানিকটা বিভ্রান্তিকর চিত্র তুলে ধরছে।

এআই কোম্পানির প্রকৃত আয়ের তুলনায় বর্তমান দাম অনেক বেশি। নোবেল অর্থনীতিবিদ রবার্ট শিলার’-এর মূল্য-আয় অনুপাত (কোম্পানির বর্তমান মূল্যকে বিগত ১০ বছরে মুদ্রাস্ফীতি-সমন্বিত আয়ের গড় দিয়ে ভাগ করে) ইতিমধ্যে ৪০ গুণিতক অতিক্রম করেছে। অর্থাৎ এআই কোম্পানির বর্তমান বাজার তার গত ১০ বছরের গড় আয়ের ৪০ গুণ।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাবনায় পানিতে ডুবিয়ে আটটি কুকুরছানা হত্যা, সাতক্ষীরায় বিষ প্রয়োগে ১০৮টি কবুতর নিধন এবং এর আগে রাজধানীতে বিড়ালের চোখ উপড়ে ধানমন্ডি লেকে নিক্ষেপ ও বগুড়ায় বিড়াল জবাই করার মতো ঘটনাগুলো সমাজের বিবেককে নাড়া দিয়েছে।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত আজ এক অভূতপূর্ব রূপান্তরের পথে। প্রযুক্তির ঝড়ো স্রোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই হয়ে উঠেছে পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। সংসদে ২০২৪ সালে পাস হওয়া পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ডিজিটাল ব্যাংক গাইডলাইন ব্যাংকিং খাতকে নতুন কাঠামোয় বেঁধে দিয়েছে।

গণতন্ত্রের পথে তাঁর দীর্ঘ সংগ্রাম, অবিচল মনোভাব, আপসহীন নেতৃত্ব এবং জনগণের প্রতি অকৃত্রিম দায়বদ্ধতা তাঁকে একজন পার্টি লিডার থেকে ‘ন্যাশনাল লিডার’ বা জাতীয় নেতায় রূপান্তরিত করেছে। তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার এক কেন্দ্রীয় চরিত্র, যিনি সংকটের মুহূর্তে রাজনীতিকে নতুন পথ দেখিয়েছেন।

এই প্রজন্মের পাঠকের কাছে রাজ্জাক স্যারকে ঠিক কোন পরিচয়ে তুলে ধরাটা উচিত হবে তা নিয়ে আমি নিজেই কিছুটা সন্দিহান! শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, লেখক, আড্ডারু না গুরুদের গুরু? সব পরিচয়ই তাঁর জন্য উপযুক্ত।

অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক সারা জীবনে প্রায় কিছুই লিখলেন না। শিক্ষকতা করলেন, দাবা খেললেন আর গল্প করে গেলেন। অথচ লেখার মতো অনেক কিছু তাঁর ছিল। তাঁর শেষ না করা পিএইচডি থিসিস দেখলে তাতে সন্দেহ থাকে না। কিন্তু তিনি আর কিছু লিখলেন না।

দুই মেরুর দুই বাসিন্দা—আহমদ ছফা ও হুমায়ুন আজাদ; দুজনের মধ্যে প্রায়ই ধুন্ধুমার ঝগড়া লেগে যায়। পত্রিকায় সেসব বিবাদকাণ্ডের খবর আমরা পড়ি। নব্বইয়ের দশকে হঠাৎ একদিন খেয়াল হলো দুজন বিস্ময়করভাবে একই গুরুর ‘শিষ্য’; গুরুর নাম আব্দুর রাজ্জাক। হুমায়ুন আজাদ রাজ্জাকের একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।