
.png)

আমার দৃষ্টিতে সংকটের সময়ে গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো মানুষের মনকে স্থির করা। সংবাদ কেবল তথ্য নয়, মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। যখন অর্থনীতি চাপের মুখে, তখন শিরোনামের একটি ভুল শব্দই বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তন এখন আর কোনো অনুমাননির্ভর ভবিষ্যৎ সমস্যা বা বৈজ্ঞানিক বিতর্কের বিষয় নয়; বরং এটি বাস্তব এবং চলমান বৈশ্বিক বিপর্যয়। এটি প্রতিনিয়ত মানবসভ্যতাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়া বর্তমানে এক চরম ভূ-রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। আঞ্চলিক সংঘাতের তীব্রতা আর প্রতিটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা মিলিতভাবে নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি করেছে। এমনকি এই অস্থিরতার ঢেউ বাংলাদেশের স্থিতিশীলতায় আঘাত হানার ঝুঁকি তৈরি করেছে।

দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস জনমনে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। গত দুই দিনে রাজধানীতে অন্তত ৯টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সহিংসতার জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হলেও, নির্বাচন বানচালের নেপথ্যে তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাও প্রবল।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বলা যায়, বাংলাদেশের সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রস্তাবিত নতুন পে-স্কেল কেবল একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি অর্থনৈতিক ন্যায্যতা ও আর্থিক শৃঙ্খলার যৌথ পরীক্ষা।

জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি সানায়ে সম্পর্কে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পুরুষ নেতাদের চেয়েও কঠোর হতে পারেন। অভিবাসন ও প্রতিরক্ষা নীতিতে তার কড়া অবস্থানের কারণে এমন ধারণা প্রকট হচ্ছে।

যেকোনো যুদ্ধবিরতি সাধারণত তখনই টেকে যখন সংঘাতরত দুই পক্ষ সামরিকভাবে অচলাবস্থায় পৌঁছে যায়। অথবা যখন উভয় পক্ষের কাছে যুদ্ধ থামানো যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে বেশি লাভজনক মনে হয়। কিন্তু গাজার বাস্তবতায় এর কোনোটিই প্রযোজ্য নয়। গত দুই বছরের ভয়াবহতা যুদ্ধ নয়, বরং গণহত্যা।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আবার চীনের কাছেই ফেরত গিয়েছে তাদের প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে। সেই লক্ষ্যে এই মহাপরিকল্পনা নিয়ে আবারও গণমাধ্যমে আলোচনা দেখা যাচ্ছে, সরকারও গণশুনানির আয়োজন করেছে।

এইচএসসি ২০২৫ ফলাফল আসলে একটি আয়না, যেখানে আমরা নিজেদের ব্যর্থতাকেই স্পষ্ট দেখতে পাই। পরিবার, শিক্ষক, সমাজ — সবাই কোনো না কোনোভাবে এই বিপর্যয়ের অংশ। প্রযুক্তির ভিড়ে মনোযোগ হারানো, রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভরসা হারানো এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা — সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা দিকহারা হয়ে পড়েছে।

রাষ্ট্রকে পণ্যে রূপান্তরিত করা হয়েছে রাজনৈতিকভাবে। এই পণ্যায়ন শাসনব্যবস্থাকে ঠেলে দিয়েছে তোষামোদী নেটওয়ার্কের হাতে। এর ফলে ভেঙে পড়ছে প্রাতিষ্ঠানিক সততা ও মানুষের বিশ্বাস। বাংলাদেশে রাজনৈতিক তোষামোদ নিশ্চিত করে যে রাষ্ট্রের সম্পদ, পদায়ন ও চুক্তি সবই যাবে অনুগতদের হাতে।

হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা থাকার কথা না, তবে তাঁর পরিবারের লোকজন নিশ্চয় এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। তাঁদের কথা সত্য বলে ধরে নিলে, হুমায়ূনের আত্মজীবনীর প্রায় ৬০ শতাংশই মিথ্যা হিসেবে অবিহিত হবে।

বিসিবি নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন। এই তালিকাটিই নির্বাচনের মূলভিত্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে স্বচ্ছতার আলো কম, সন্দেহের ছায়া বেশি। সময়মতো তালিকা প্রকাশ হয়নি, সংশোধন নিয়ে বিতর্ক, এমনকি কাউন্সিলরের বৈধতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

ময়মনসিংহের বৃদ্ধ ফকির হালিম উদ্দিন অকন্দের মাথার চুল জোর করে কেটে দেওয়ার ঘটনাটি সংবাদ হিসেবে ‘ছোট’ হলেও এর অভিঘাত বড়। এ শুধু একজন মানুষের মাথার চুল নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি আর মানবিক মর্যাদার ওপর চালানো আক্রমণ। চুল কেটে দেওয়া মানে শুধু দেহের ক্ষতি নয়, আত্মার অপমান।

সামনের পথ দুদিকে ভাগ হয়ে আছে। একদিকে এআই ভরসার লাঠি বা বিভ্রান্তি হয়ে দাঁড়াতে পারে, অন্যদিকে এটি আমাদের আরও গভীর, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার দিকে নিয়ে যাবে। পার্থক্যটা নির্ভর করবে আমরা শিক্ষাদান পদ্ধতিকে কেন্দ্রে রাখছি কি না তার ওপর। এআই-এর যুগেও শিক্ষাদান পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ থাকবে কি?

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক প্রভাব শিক্ষাঙ্গনকে কীভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যদি এখনই যুক্তিনিষ্ঠ ও সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু জ্ঞানের আলোকবর্তিকা নয়, অরাজকতার দুর্গে পরিণত হবে।

রাহুলের অভিযোগ, ভিন্ন রাজ্যে বসে কেন্দ্রীয়ভাবে সংগঠিত উপায়ে কংগ্রেসপন্থী, দলিত-আদিবাসী ও সংখ্যালঘু ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। কর্ণাটকের আলন্দ কেন্দ্রে ছয় হাজারেরও বেশি নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জমা পড়েছিল বলে অভিযোগ। রাহুল গান্ধীর মতে, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া আসলে নিতান্তই এ