মারুফ ইসলাম
ময়মনসিংহের বৃদ্ধ ফকির হালিম উদ্দিন অকন্দের মাথার চুল জোর করে কেটে দেওয়ার ঘটনাটি সংবাদ হিসেবে ‘ছোট’ হলেও এর অভিঘাত বড়। এ শুধু একজন মানুষের মাথার চুল নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি আর মানবিক মর্যাদার ওপর চালানো আক্রমণ। চুল কেটে দেওয়া মানে শুধু দেহের ক্ষতি নয়, আত্মার অপমান।
চুলের এই প্রতীকমূলক মর্যাদা নতুন কিছু নয়। চুলির মুঠি ধরে নারীদের নির্যাতন করা আমাদের ‘ঘরোয়া ঐহিত্য’। বহুকাল ধরে এই কলঙ্কিত ঐহিত্য আমাদের ঘরে ঘরে টিকে আছে। লৌকিক ইতিহাসেও রয়েছে এর উজ্জ্বল উপস্থিতি।
মহাভারতের দ্রৌপদীকে চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে সভায় তোলা হয়েছিল। সেই অপমান ভুলতে না পেরে তিনি শপথ নিয়েছিলেন, প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত চুল বাঁধবেন না (মহাভারত, সভাপর্ব)। সেই দ্রৌপদীর খোলা চুল হয়ে উঠেছিল অপমানের প্রতীক, আবার প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞারও প্রতীক। কোনো কোনো রূপকথাতেও দেখি, রাক্ষসের প্রাণ লুকানো থাকে তার চুলে। সেই চুল কেটে দিলে রাক্ষস প্রাণ হারায়। এসব কাহিনি বলে দেয়, চুল মানুষের কেবল দেহের অংশ নয়, তার শক্তি, আত্মমর্যাদা ও পরিচয়ের প্রতীক। এই অঞ্চলে আধ্যাত্মিকতার প্রতীক হিসেবে লম্বা চুল শত শত বছর ধরে লোকায়ত ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে।
বাউল-সাধক-দরবেশ-ফকিরদের মাথার চুলও তেমনই এক প্রতীক। এটি তাঁর সাধনার অঙ্গ, তাঁর দেহতত্ত্বের মূর্তি। ইসলামি মিথের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে লম্বা চুলের সম্পর্ক। মধ্য এশিয়ার তুর্কি, মঙ্গোল ও ইরানি সমাজে চুল লম্বা রাখার ঐতিহ্য বহু আগে থেকেই ছিল। ইসলামি সুফিরা এটিকে দিয়েছেন আধ্যাত্মিক অর্থ। কিরগিজ সুফি সাধক বখতিয়ার কাকী, তুর্কি কবি আহমদ ইয়াসভী, ফার্সি সুফি বায়েজিদ বোস্তামি প্রমুখ সুফি সাধকের চুল-দাড়ির বর্ণনা লোককথায় পাওয়া যায়। এমনকি আধুনিক গবেষকদের লেখাতেও তাঁদের লম্বা চুল ও বেশভূষার বর্ণনা রয়েছে।
ইরান থেকে বঙ্গীয় ব-দ্বীপে আসা সুফিদের বলা হয় মালামতি সুফি আর তুর্কি থেকে আসা সুফিদের বলা হয় কালান্দর। এই দুই শ্রেণির সুফিই চুল-দাড়ি লম্বা রাখতেন অহংকার ভাঙার প্রতীক হিসেবে বলে উল্লেখ করেছেন ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের শিক্ষক-গবেষক আহমেত টি কারামুস্তাফা।
এই শিক্ষক-গবেষক তাঁর গডস ‘আনরুলি ফ্রেন্ডস’ বইয়ে লিখেছেন,‘মালামতি ও কালন্দর সুফিরা নিজের অহংকার ভাঙার উপায় হিসেবে চুল-দাড়ি বড় রাখতেন এবং সামাজের চোখে নিজেদের অগোছালো হিসেবে উপস্থাপন করতেন।’
আরেক গবেষক অ্যানেমারি শিমেল তাঁর ‘মিসটিক্যাল ডাইমেনসন্স অব ইসলাম’ বইয়ে লিখেছেন—অহংকার ভেঙেচুড়ে নিজেকে সমাজের চোখে ‘‘তুচ্ছ’’ হিসেবে উপস্থাপন করতে মালামতি সুফিরা অগোছালো জীবনযাপন করতেন এবং চুল-দাড়ি বড় রাখতেন।’
এই সুফি-দরবেশদের হাত ধরেই বাংলা অঞ্চলে বিকশিত হয়েছে ইসলাম। আজকের সুফি-সন্ন্যাসীরা তাদেরই উত্তরাধিকার। তাই লালন ফকির থেকে শুরু করে আজকের বাউল—তাঁদের চুলে লুকানো থাকে আধ্যাত্মিকতা, সাধনা আর স্বাধীনতার মর্ম। সেই চুল কেটে দেওয়া মানে নদীর স্রোত থামিয়ে দেওয়া। বটগাছের ঝুরি কেটে দেওয়া কিংবা শেকড় কেটে দেওয়া মানে তার মর্মমূলে আঘাত করা। গাছ তখন দাঁড়িয়ে থাকে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে শুকিয়ে যায়।
আইন আছে। সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ বলছে, প্রত্যেকেরই ধর্ম, সংস্কৃতি ও সাধনা পালনের অধিকার আছে। এ ছাড়া, ৩১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,‘আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যাহাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।’কিন্তু আইনের প্রয়োগ না হলে তা তো কেবল বইয়ের পাতায় লেখা বুলিই। সত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধের চুলে যখন কাঁচি চালানো হয়, তখন আইন যেন অন্ধ, বধির, বোবা হয়ে যায়। কেন? কারণ আউল-বাউল-হালিম ফকিরেরা রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনো ভোটব্যাংক নন। তাঁরা ক্ষমতার দরবারে গিয়ে কোরাস গান না।
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মুখেও যেন কুলুপ আটা। তাঁরা প্রতিদিন নিজেদের স্বার্থের নির্বাচন আর পিআর নিয়ে বক্তৃতা দিয়ে মাঠ গরম করে ফেলছেন, কিন্তু ভুল করেও একটিবারের জন্য জোরপূর্বক চুল-দাড়ি কাটা নিয়ে কোনো বিবৃতি বা বক্তব্য দিচ্ছেন না। তাঁদের এই নীরবতার অর্থ কী? অথচ ইতিহাস শিখিয়েছে, এক নারীর চুলের অপমান থেকেই মহাভারতের যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। আজ হালিম ফকিরদের চুল কেটে দেওয়া মানে হয়তো যুদ্ধ নয়, কিন্তু আমাদের সংস্কৃতির ভেতরে নিঃশব্দে ক্ষয় ধরিয়ে দেওয়া।
চুল কেটে দেওয়ার এই প্রবণতা বিচ্ছিন্ন নয়। এটি আমাদের সমাজের অসহিষ্ণুতা, আধিপত্যবাদ আর সাংস্কৃতিক দমননীতির বহিঃপ্রকাশ। আজ হালিম উদ্দিন আকন্দের চুল কাটা হলো, কাল হয়তো কোনো কবির কণ্ঠ রুদ্ধ করা হবে, শিল্পীর হাত বাঁধে ফেলা হবে। অসহিষ্ণুতার এই ধারাবাহিকতা আমাদের ইতিহাসে নতুন কিছু নয়, কিন্তু এর নীরব গ্রহণযোগ্যতাই সবচেয়ে ভয়ংকর।
সমস্যাটা এখানেই যে এসব ক্ষেত্রে আমরা চুপ থাকি। সমাজ চুপ, রাজনীতি চুপ, আইন চুপ। এই নীরবতাই অপরাধীদের সাহস জোগায়। আমরা চুপ থেকে আসলে তাদের হাতে কাঁচি তুলে দিই।
কিন্তু এই জুলুম কি চলতেই থাকবে? যতদিন আমরা চুলকে কেবল শরীরের অঙ্গ মনে করব, সাধনার প্রতীক হিসেবে দেখব না—ততদিন চলবে। যতদিন আমরা ভাবব, আউল-বাউলদের চুল মানে তুচ্ছ বিষয়, ততদিন জুলুম চলবে। আর যে দিন আমরা বুঝব, চুল মানে আত্মমর্যাদার পরিধান, স্বাধীনতার পতাকা—সেদিন আর কেউ সাহস করবে না অন্যের মাথায় কাঁচি চালাতে।
হালিম উদ্দিন আকন্দের মাথার চুল কাটা মানে একজন ব্যক্তির নয়, পুরো জাতির স্বাধীনতার শেকড়ে কাঁচি চালানো। আর যে জাতি নিজের শেকড় কাটতে দেয়, সেই জাতির ভবিষ্যৎ টেকে না।
লেখক: কথাসাহিত্যিক; সাংবাদিক।
ময়মনসিংহের বৃদ্ধ ফকির হালিম উদ্দিন অকন্দের মাথার চুল জোর করে কেটে দেওয়ার ঘটনাটি সংবাদ হিসেবে ‘ছোট’ হলেও এর অভিঘাত বড়। এ শুধু একজন মানুষের মাথার চুল নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি আর মানবিক মর্যাদার ওপর চালানো আক্রমণ। চুল কেটে দেওয়া মানে শুধু দেহের ক্ষতি নয়, আত্মার অপমান।
চুলের এই প্রতীকমূলক মর্যাদা নতুন কিছু নয়। চুলির মুঠি ধরে নারীদের নির্যাতন করা আমাদের ‘ঘরোয়া ঐহিত্য’। বহুকাল ধরে এই কলঙ্কিত ঐহিত্য আমাদের ঘরে ঘরে টিকে আছে। লৌকিক ইতিহাসেও রয়েছে এর উজ্জ্বল উপস্থিতি।
মহাভারতের দ্রৌপদীকে চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে সভায় তোলা হয়েছিল। সেই অপমান ভুলতে না পেরে তিনি শপথ নিয়েছিলেন, প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত চুল বাঁধবেন না (মহাভারত, সভাপর্ব)। সেই দ্রৌপদীর খোলা চুল হয়ে উঠেছিল অপমানের প্রতীক, আবার প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞারও প্রতীক। কোনো কোনো রূপকথাতেও দেখি, রাক্ষসের প্রাণ লুকানো থাকে তার চুলে। সেই চুল কেটে দিলে রাক্ষস প্রাণ হারায়। এসব কাহিনি বলে দেয়, চুল মানুষের কেবল দেহের অংশ নয়, তার শক্তি, আত্মমর্যাদা ও পরিচয়ের প্রতীক। এই অঞ্চলে আধ্যাত্মিকতার প্রতীক হিসেবে লম্বা চুল শত শত বছর ধরে লোকায়ত ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে।
বাউল-সাধক-দরবেশ-ফকিরদের মাথার চুলও তেমনই এক প্রতীক। এটি তাঁর সাধনার অঙ্গ, তাঁর দেহতত্ত্বের মূর্তি। ইসলামি মিথের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে লম্বা চুলের সম্পর্ক। মধ্য এশিয়ার তুর্কি, মঙ্গোল ও ইরানি সমাজে চুল লম্বা রাখার ঐতিহ্য বহু আগে থেকেই ছিল। ইসলামি সুফিরা এটিকে দিয়েছেন আধ্যাত্মিক অর্থ। কিরগিজ সুফি সাধক বখতিয়ার কাকী, তুর্কি কবি আহমদ ইয়াসভী, ফার্সি সুফি বায়েজিদ বোস্তামি প্রমুখ সুফি সাধকের চুল-দাড়ির বর্ণনা লোককথায় পাওয়া যায়। এমনকি আধুনিক গবেষকদের লেখাতেও তাঁদের লম্বা চুল ও বেশভূষার বর্ণনা রয়েছে।
ইরান থেকে বঙ্গীয় ব-দ্বীপে আসা সুফিদের বলা হয় মালামতি সুফি আর তুর্কি থেকে আসা সুফিদের বলা হয় কালান্দর। এই দুই শ্রেণির সুফিই চুল-দাড়ি লম্বা রাখতেন অহংকার ভাঙার প্রতীক হিসেবে বলে উল্লেখ করেছেন ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের শিক্ষক-গবেষক আহমেত টি কারামুস্তাফা।
এই শিক্ষক-গবেষক তাঁর গডস ‘আনরুলি ফ্রেন্ডস’ বইয়ে লিখেছেন,‘মালামতি ও কালন্দর সুফিরা নিজের অহংকার ভাঙার উপায় হিসেবে চুল-দাড়ি বড় রাখতেন এবং সামাজের চোখে নিজেদের অগোছালো হিসেবে উপস্থাপন করতেন।’
আরেক গবেষক অ্যানেমারি শিমেল তাঁর ‘মিসটিক্যাল ডাইমেনসন্স অব ইসলাম’ বইয়ে লিখেছেন—অহংকার ভেঙেচুড়ে নিজেকে সমাজের চোখে ‘‘তুচ্ছ’’ হিসেবে উপস্থাপন করতে মালামতি সুফিরা অগোছালো জীবনযাপন করতেন এবং চুল-দাড়ি বড় রাখতেন।’
এই সুফি-দরবেশদের হাত ধরেই বাংলা অঞ্চলে বিকশিত হয়েছে ইসলাম। আজকের সুফি-সন্ন্যাসীরা তাদেরই উত্তরাধিকার। তাই লালন ফকির থেকে শুরু করে আজকের বাউল—তাঁদের চুলে লুকানো থাকে আধ্যাত্মিকতা, সাধনা আর স্বাধীনতার মর্ম। সেই চুল কেটে দেওয়া মানে নদীর স্রোত থামিয়ে দেওয়া। বটগাছের ঝুরি কেটে দেওয়া কিংবা শেকড় কেটে দেওয়া মানে তার মর্মমূলে আঘাত করা। গাছ তখন দাঁড়িয়ে থাকে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে শুকিয়ে যায়।
আইন আছে। সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ বলছে, প্রত্যেকেরই ধর্ম, সংস্কৃতি ও সাধনা পালনের অধিকার আছে। এ ছাড়া, ৩১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,‘আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যাহাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।’কিন্তু আইনের প্রয়োগ না হলে তা তো কেবল বইয়ের পাতায় লেখা বুলিই। সত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধের চুলে যখন কাঁচি চালানো হয়, তখন আইন যেন অন্ধ, বধির, বোবা হয়ে যায়। কেন? কারণ আউল-বাউল-হালিম ফকিরেরা রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনো ভোটব্যাংক নন। তাঁরা ক্ষমতার দরবারে গিয়ে কোরাস গান না।
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মুখেও যেন কুলুপ আটা। তাঁরা প্রতিদিন নিজেদের স্বার্থের নির্বাচন আর পিআর নিয়ে বক্তৃতা দিয়ে মাঠ গরম করে ফেলছেন, কিন্তু ভুল করেও একটিবারের জন্য জোরপূর্বক চুল-দাড়ি কাটা নিয়ে কোনো বিবৃতি বা বক্তব্য দিচ্ছেন না। তাঁদের এই নীরবতার অর্থ কী? অথচ ইতিহাস শিখিয়েছে, এক নারীর চুলের অপমান থেকেই মহাভারতের যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। আজ হালিম ফকিরদের চুল কেটে দেওয়া মানে হয়তো যুদ্ধ নয়, কিন্তু আমাদের সংস্কৃতির ভেতরে নিঃশব্দে ক্ষয় ধরিয়ে দেওয়া।
চুল কেটে দেওয়ার এই প্রবণতা বিচ্ছিন্ন নয়। এটি আমাদের সমাজের অসহিষ্ণুতা, আধিপত্যবাদ আর সাংস্কৃতিক দমননীতির বহিঃপ্রকাশ। আজ হালিম উদ্দিন আকন্দের চুল কাটা হলো, কাল হয়তো কোনো কবির কণ্ঠ রুদ্ধ করা হবে, শিল্পীর হাত বাঁধে ফেলা হবে। অসহিষ্ণুতার এই ধারাবাহিকতা আমাদের ইতিহাসে নতুন কিছু নয়, কিন্তু এর নীরব গ্রহণযোগ্যতাই সবচেয়ে ভয়ংকর।
সমস্যাটা এখানেই যে এসব ক্ষেত্রে আমরা চুপ থাকি। সমাজ চুপ, রাজনীতি চুপ, আইন চুপ। এই নীরবতাই অপরাধীদের সাহস জোগায়। আমরা চুপ থেকে আসলে তাদের হাতে কাঁচি তুলে দিই।
কিন্তু এই জুলুম কি চলতেই থাকবে? যতদিন আমরা চুলকে কেবল শরীরের অঙ্গ মনে করব, সাধনার প্রতীক হিসেবে দেখব না—ততদিন চলবে। যতদিন আমরা ভাবব, আউল-বাউলদের চুল মানে তুচ্ছ বিষয়, ততদিন জুলুম চলবে। আর যে দিন আমরা বুঝব, চুল মানে আত্মমর্যাদার পরিধান, স্বাধীনতার পতাকা—সেদিন আর কেউ সাহস করবে না অন্যের মাথায় কাঁচি চালাতে।
হালিম উদ্দিন আকন্দের মাথার চুল কাটা মানে একজন ব্যক্তির নয়, পুরো জাতির স্বাধীনতার শেকড়ে কাঁচি চালানো। আর যে জাতি নিজের শেকড় কাটতে দেয়, সেই জাতির ভবিষ্যৎ টেকে না।
লেখক: কথাসাহিত্যিক; সাংবাদিক।
সামনের পথ দুদিকে ভাগ হয়ে আছে। একদিকে এআই ভরসার লাঠি বা বিভ্রান্তি হয়ে দাঁড়াতে পারে, অন্যদিকে এটি আমাদের আরও গভীর, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার দিকে নিয়ে যাবে। পার্থক্যটা নির্ভর করবে আমরা শিক্ষাদান পদ্ধতিকে কেন্দ্রে রাখছি কি না তার ওপর। এআই-এর যুগেও শিক্ষাদান পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ থাকবে কি?
৮ ঘণ্টা আগেপাহাড়ে ধর্ষণ কখনোই কমবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না পাহাড়ি জনপদের মানুষকে আমরা অপরায়ণ প্রক্রিয়ার একমুখী চশমা দিয়ে দেখা থেকে বিরত হবো। বিশেষভাবে শুধু পাহাড় নয়, সারা বাংলাদেশেই ধর্ষণ কমবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা নারী ও শিশুবান্ধব সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারব।
১ দিন আগেবন্ধুর সঙ্গে টুকটাক কথা হচ্ছিলো মেসেঞ্জারে। সকাল সকাল সে একটি আইনি কাজ সারতে যাচ্ছিল শহরের আরেক প্রান্তে। বললাম, পূর্ব নির্ধারিত কাজ না থাকলে আমি সঙ্গে যেতে পারতাম। সে জবাব দিল, স্বামী সঙ্গে আছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল, ওরে শাবানা!
১ দিন আগে