leadT1ad

ঢাকা থেকে কলম্বো হয়ে কাঠমান্ডু: রাষ্ট্র বনাম নাগরিক

দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালের গণআন্দোলনগুলো শুধু অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রকাশ নয়। এগুলো উন্মোচন করছে আরও গভীর অন্তর্গত অসুখ—যেমন দীর্ঘদিনের যুব বেকারত্ব, প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য আর অলিগার্কদের হাতে রাষ্ট্রের বন্দি হয়ে পড়া।

দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে গণআন্দোলনের ঢেউ দেখা যাচ্ছে। স্ট্রিম গ্রাফিক

দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে গণআন্দোলনের ঢেউ দেখা যাচ্ছে। সেই ঢেউয়ে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালে সরকার পতন হয়েছে। কেবল অর্থনৈতিক সঙ্কট বা শাসনব্যর্থতার সাধারণ ব্যাখ্যা দিয়ে এক বোঝা যাবে না। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো গভীর কাঠামোগত দুর্বলতার লক্ষণ। দীর্ঘস্থায়ী যুব বেকারত্ব, প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য আর সামাজিক সুরক্ষার প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি এক হয়ে যুক্ত হয়েছে অলিগার্কদের হাতে রাষ্ট্রের বন্দিদশার সঙ্গে। এই সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় রাষ্ট্রগঠনের মৌলিক সঙ্কট প্রকাশ পেয়েছে।

এই আন্দোলনগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো তাদের সুস্পষ্ট লক্ষ্যবোধ। জেনারেশন জেডকে বারবার ‘আদর্শহীন’ বা ‘রাজনীতি-উত্তর’ প্রজন্ম হিসেবে আখ্যা দেওয়া হলেও, বাস্তবে তারা তাদের পূর্বসূরিদের মতোই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে পরিবর্তনের দাবি তুলছে। তাদের এই সংগঠিত হওয়াকে আরও শক্তিশালী করেছে শ্রমজীবী মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ। এই শ্রমজীবীরা আজ জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার তীব্র সঙ্কটে জর্জরিত।

রাষ্ট্রের মৌলিক অঙ্গীকার ভেঙে গেছে। প্রভাবশালী গোষ্ঠীর হাতে বন্দি হয়ে রাষ্ট্র বারবার ব্যর্থ হয়েছে অধিকার রক্ষা করতে, সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে, সামাজিক সুরক্ষা কার্যকর করতে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে। ফলে রাষ্ট্রকে মানুষ দেখছে এক ধরনের শোষণমুখী কাঠামো হিসেবে।

গণআন্দোলনের এই পুনরাবৃত্তি দেখাচ্ছে প্রতিশ্রুতিহীন শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের স্থিতিস্থাপকতা। নেপালে জনআন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে বড় ধরনের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দলহীন পঞ্চায়েত ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপর ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে মাওবাদীদের নেতৃত্বে এক দশকব্যাপী সশস্ত্র বিদ্রোহ চলে। কিন্তু প্রজাতন্ত্রে পরিণত হওয়ার পরও ২০০৮ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে সরকার পরিবর্তন হয়েছে ১৩ বারেরও বেশি। আর এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে একের পর এক অস্থিরতা।

আরাগালায়া শ্রীলঙ্কায় গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণ, জবাবদিহি এবং নির্মম শাসন প্রত্যাখ্যানের এক যৌথ সংগ্রামকে প্রতিনিধিত্ব করে। তবে দ্বীপরাষ্ট্রটির স্মৃতিতে রয়ে গেছে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের ছায়াও। বাংলাদেশের ইতিহাসও চিহ্নিত হয়েছে গণআন্দোলনে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান শেষ পর্যন্ত নিয়ে যায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৯১ সালে একনায়কতন্ত্র পতন হয় গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। আর ২০২৪ সালে এমন এক অলিগার্ক শাসন উৎখাত হয়, যার সঙ্গে নির্বাচিত সরকারের কোনো মিলই ছিল না।

রাষ্ট্রের মৌলিক অঙ্গীকার ভেঙে গেছে। প্রভাবশালী গোষ্ঠীর হাতে বন্দি হয়ে রাষ্ট্র বারবার ব্যর্থ হয়েছে অধিকার রক্ষা করতে, সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে, সামাজিক সুরক্ষা কার্যকর করতে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে। ফলে রাষ্ট্রকে মানুষ দেখছে এক ধরনের শোষণমুখী কাঠামো হিসেবে। এই কাঠামো মানুষের সম্ভাবনাকে সক্রিয় করার বদলে নিঃশেষ করছে। পরিবর্তনের অঙ্গীকার সব সময়ই ফেলে রাখা হয়েছে পেছনে। নাগরিকত্ব হয়ে উঠেছে ফাঁপা এক ধারণা। তাই এসব গণআন্দোলন কোন হঠাৎ বিস্ফোরণ নয়। এগুলো বরং দীর্ঘদিনের প্রাতিষ্ঠানিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে সচেতন প্রতিক্রিয়া।

ভবিষ্যৎহীনতার প্রমাণ স্পষ্ট। বাংলাদেশে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী প্রায় ১৯ লাখ ৪০ হাজার তরুণ-তরুণীকে গ্রাস করেছে উদ্বেগজনক ৭.২ শতাংশ যুব বেকারত্ব। এর মধ্যে ৩১.৫ শতাংশ তরুণ-তরুণী উচ্চশিক্ষিত। এই বাস্তবতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে এমন এক ভেঙে পড়া ব্যবস্থার ছবি—যেখানে তরুণদের পড়াশোনা করানো হয়, কিন্তু তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। এই ব্যর্থতা লিঙ্গভিত্তিক। বিশেষত শহুরে নারীরা এর চাপে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। আর গ্রামীণ তরুণরা ঠেকে যাচ্ছে অনিশ্চিত কৃষিকাজ বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে। তবে এসব পরিসংখ্যান সতর্কতার সঙ্গে দেখা জরুরি। কারণ সরকারি সংজ্ঞা প্রকৃত বেকারত্বের ভয়াবহতা আড়াল করবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির মধ্যেও এই একই ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখা যায়। সরকারি হিসাবে সেখানে বেকারত্বের হার ৩.৮ শতাংশ হলেও প্রকৃত যুব বেকারত্ব প্রায় ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর পাশাপাশি বিদ্যমান ব্যাপক আকারে আংশিক বেকারত্ব। অনেকেই কম মজুরি ও কম সময় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বাংলাদেশে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী প্রায় ১৯ লাখ ৪০ হাজার তরুণ-তরুণীকে গ্রাস করেছে উদ্বেগজনক ৭.২ শতাংশ যুব বেকারত্ব। এর মধ্যে ৩১.৫ শতাংশ তরুণ-তরুণী উচ্চশিক্ষিত। এই বাস্তবতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে এমন এক ভেঙে পড়া ব্যবস্থার ছবি—যেখানে তরুণদের পড়াশোনা করানো হয়, কিন্তু তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই।

নেপালের অবস্থাও ভয়াবহ। সেখানে যুব বেকারত্ব দীর্ঘ দিন ধরেই ২০ শতাংশের বেশি। সবচেয়ে চোখে পড়া লক্ষণ হলো ব্যাপক প্রবাসী শ্রমিকের ঢল। মাত্র দশ মাসে প্রায় সাত লাখ তরুণ দেশ ছেড়েছে। এই প্রবাসই দেশের জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশ জোগান দিচ্ছে রেমিট্যান্স আকারে। কিন্তু একই সঙ্গে এই বাস্তবতা দেশের শ্রমনীতি ব্যর্থতার প্রকাশ। এই ব্যর্থতা সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যকে আরও গভীর করছে।

বেকারত্বের হার, গণঅভ্যুত্থানের তীব্রতা ও এর ফলাফলের মধ্যে একটি সম্পর্ক স্পষ্ট। যেমন, অস্ট্রেলিয়ার ক্রোনুলা দাঙ্গা ২০০৫ সালের ৪ ডিসেম্বর খুব অল্প সময়েই থেমে যায়। কারণ তখন দেশটির বেকারত্বের হার ছিল ৫.১ শতাংশ। কিন্তু একই বছরে ফ্রান্সে বিক্ষোভ চলেছিল বহুদিন ধরে। শেষ পর্যন্ত সরকারকে জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়। তখন ফ্রান্সে জাতীয় বেকারত্বের হার ছিল প্রায় ১০ শতাংশ। আর ২৫ বছরের নিচে শ্রমিকদের বেকারত্ব ছিল এর দ্বিগুণ, প্রায় ২৩ শতাংশ।

সমস্যার মূল হলো দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন কৌশলের মৌলিক ত্রুটি। একদিকে শিক্ষিত প্রজন্মের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা, অন্যদিকে তোষামোদ ও বৈষম্যে চালিত অর্থনীতি। ফলে দুইয়ের মধ্যে গভীর অমিল তৈরি হয়েছে।

একাডেমিক ডিগ্রি এখন আর চাকরির নিশ্চয়তার প্রতীক নয়। শ্রীলঙ্কায় জি.সি.ই এ/এল (যুক্তরাজ্যের এ-লেভেলের সমতুল্য) যোগ্যতা অর্জন করেও তরুণদের চাকরি পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। বাংলাদেশে স্নাতকদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে অনানুষ্ঠানিক, স্বল্পবেতনের কাজে। নেপালে বৈষম্য এই হতাশাকে আরও প্রকট করে তুলছে। ফলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দারিদ্র্য আর ঘোঁচে না। নারীদের ক্ষেত্রেও লিঙ্গভিত্তিক বাধা রয়ে গেছে। অনেকেই ঢুকছেন এমন কাজে, যেখানে সুরক্ষা বা নিশ্চয়তা নেই। সমস্যা শুধু বেকারত্ব নয়। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে স্থবির মজুরি, খারাপ কর্মপরিবেশ আর অযৌক্তিক কাজের সময় বণ্টন।

রাষ্ট্রকে পণ্যে রূপান্তরিত করা হয়েছে রাজনৈতিকভাবে। এই পণ্যায়ন শাসনব্যবস্থাকে ঠেলে দিয়েছে তোষামোদী নেটওয়ার্কের হাতে। এর ফলে ভেঙে পড়ছে প্রাতিষ্ঠানিক সততা ও মানুষের বিশ্বাস। বাংলাদেশে রাজনৈতিক তোষামোদ নিশ্চিত করে যে রাষ্ট্রের সম্পদ, পদায়ন ও চুক্তি সবই যাবে অনুগতদের হাতে। এভাবে গড়ে উঠেছে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য এক ধরনের গ্রাহকতান্ত্রিক ব্যবস্থা।

অসাম্য ক্রমশ বাড়ছে। শ্রীলঙ্কার শ্রমজীবী শ্রেণি বাধ্য হচ্ছে কৃষি ও নির্মাণের মতো খাতে সামান্য মজুরিতে কাজ করতে। এতে জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এর প্রমাণ গিনি সূচকে প্রতিফলিত—ধনীদের শীর্ষ ১ শতাংশ দখলে রেখেছে মোট ব্যক্তিগত সম্পদের ৩১ শতাংশ, আর সূচক দাঁড়িয়েছে ০.৪৫-এ। নেপালেও বৈষম্য ভয়াবহ। সেখানে গিনি সূচক ০.৫৮, আর সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ পরিবার নিয়ন্ত্রণ করছে দেশের মোট সম্পদের ৫৬ শতাংশ। এতে সামাজিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, দারিদ্র্য পাচ্ছে স্থায়ী রূপ। বাংলাদেশেও বৈষম্য তীব্র। দেশের শীর্ষ ৫ শতাংশ পরিবারের দখলে মোট জাতীয় আয়ের ৩০ শতাংশের বেশি। বিশাল অনানুষ্ঠানিক খাতে নিরাপত্তা বা সুরক্ষা না থাকা এই বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশের গিনি সূচক ছিল ০.৩৩৪। ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৪৩৬-এ। ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবচেয়ে বৈষম্যমূলক সমাজগুলোর কাতারে। এখানে সম্পদ বৈষম্য আয়ের বৈষম্যের চেয়েও ভয়াবহ।

রাষ্ট্র বৈষম্য সৃষ্টিতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। এগুলো কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্যের পরিকল্পিত ফল। রাষ্ট্র কোন নিরপেক্ষ বিচারক নয়। বরং তা হয়ে উঠেছে ক্ষমতাশালী সংখ্যালঘুর হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার হাতিয়ার। আর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে ফেলে রাখা হচ্ছে পিছনে।

রাষ্ট্রকে পণ্যে রূপান্তরিত করা হয়েছে রাজনৈতিকভাবে। এই পণ্যায়ন শাসনব্যবস্থাকে ঠেলে দিয়েছে তোষামোদী নেটওয়ার্কের হাতে। এর ফলে ভেঙে পড়ছে প্রাতিষ্ঠানিক সততা ও মানুষের বিশ্বাস। বাংলাদেশে রাজনৈতিক তোষামোদ নিশ্চিত করে যে রাষ্ট্রের সম্পদ, পদায়ন ও চুক্তি সবই যাবে অনুগতদের হাতে। এভাবে গড়ে উঠেছে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য এক ধরনের গ্রাহকতান্ত্রিক ব্যবস্থা। শ্রীলঙ্কায় তোষামোদী বণ্টন ব্যবস্থার প্রভাব বিস্তৃত হয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ দখল পর্যন্ত। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকরা নিয়ন্ত্রণ করছে বালু উত্তোলনের মতো কর্মকাণ্ডের লাইসেন্স, যার ফলে মিত্ররা ধনী হচ্ছে। কিন্তু পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে এবং স্থানীয় মানুষ উচ্ছেদ হচ্ছে। নেপালে তোষামোদী রাজনীতি ছড়িয়ে পড়েছে আমলাতন্ত্র ও গণমাধ্যমে। ফলে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে জনবয়ান, স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে ভিন্নমত। গোটা অঞ্চলে ফলাফল একই—রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে শোষণকেন্দ্রিক।

শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালের গণআন্দোলনগুলোকে কেবল কোনো এক নেতা বা দলের পতন হিসেবে দেখা ঠিক নয়। এই আন্দোলনগুলো হলো এক গভীর সামষ্টিক দাবি—রাষ্ট্র যেন অলিগার্ক শাসন ও আদিম সম্পদ লুণ্ঠনের উৎস না হয়ে নাগরিকদের সেবা করে।

তরুণরা নিরাসক্ত নয়। তাদের দাবি ন্যায্য শিক্ষা, বাস্তব কর্মসংস্থান, বৈষম্যের অবসান এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার পুনর্গঠন। এই দাবিগুলো এসেছে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে। শ্রমজীবী মানুষের অংশগ্রহণ আন্দোলনে শুধু সংখ্যা বাড়ায়নি, বরং তৈরি করেছে এক শক্তিশালী জোট। তাদের যৌথ স্বার্থ ভেঙে যাওয়া সামাজিক চুক্তিসংস্কার দাবি করছে। তারা চাইছে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত নাগরিকত্ব।

লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ; লেখাটিদ্য উইক-এ প্রকাশিত ইংরেজির অনুবাদ

বিষয়:

মতামত
Ad 300x250

সম্পর্কিত