.png)
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর এক ‘প্রি-হাইড্রোজেন বোমা’ বিস্ফোরণে যেন ভারতজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিস্ফোরণের লক্ষ্য সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। রাহুলের অভিযোগ, জ্ঞানেশ কুমার ‘ভোটচোর’দের জেনে-বুঝে আড়াল করছেন! রাহুল বেশ কিছুদিন ধরেই এমন অভিযোগ করে আসছেন। এবার শুধু তিনি নির্বাচন কমিশনারকে নিজের ‘ভুল’ শুধরে নিতে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন।

রাজীব দে

ভারতের গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা হলো নির্বাচন। সেই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিযোগে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই সংস্থার নিরপেক্ষতা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর এক ‘প্রি-হাইড্রোজেন বোমা’ বিস্ফোরণে যেন ভারতজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিস্ফোরণের লক্ষ্য সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। রাহুলের অভিযোগ, জ্ঞানেশ কুমার ‘ভোটচোর’দের জেনে-বুঝে আড়াল করছেন! রাহুল বেশ কিছুদিন ধরেই এমন অভিযোগ করে আসছেন। এবার শুধু তিনি নির্বাচন কমিশনারকে নিজের ‘ভুল’ শুধরে নিতে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন।
এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। তারপর যা ঘটল তা নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম নিচ্ছে। এই যেমন—গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাহুল বেলা ১১টায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্ঞানেশ কুমারের মুণ্ডপাত করার ঠিক পরেই, বেলা ১টায় সংবাদ সম্মেলন ডাকে বিজেপি। দলের সংসদ সদস্য তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর কংগ্রেস নেতার অভিযোগগুলো একে একে খণ্ডন করার চেষ্টা করলেন। এখানেই প্রশ্ন, তীর যখন নির্বাচন কমিশনের দিকে—তখন খামোখা সেই তীরকে নিজেদের দিকে কেন টেনে নিয়ে গেল বিজেপি, কেন এতটা তৎপর হয়ে উঠল দলটি?
আসলে এই দ্বন্দ্ব তো আস্থা এবং প্রশ্নের। সবাই মানবেন, ভারতের গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা হলো নির্বাচন। সেই নির্বাচনের নিরপেক্ষতা রক্ষার দায় সাংবিধানিক সংস্থা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগে সেই নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। রাহুল অত্যন্ত দৃঢ় কণ্ঠে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জ্ঞানেশ কুমারকে।
রাহুলের অভিযোগ, ভিন্ন রাজ্যে বসে কেন্দ্রীয়ভাবে সংগঠিত উপায়ে কংগ্রেসপন্থী, দলিত-আদিবাসী ও সংখ্যালঘু ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। কর্ণাটকের আলন্দ কেন্দ্রে ছয় হাজারেরও বেশি নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জমা পড়েছিল বলে অভিযোগ। রাহুল গান্ধীর মতে, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া আসলে নিতান্তই এক সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা। নির্দিষ্ট সফটওয়্যার, কল সেন্টার এবং আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নকল আবেদন জমা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর হাতে ফোন নম্বর ও প্রমাণ আছে বলেও দাবি।
অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য—সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। কংগ্রেসের তৈরি রাজনৈতিক নাটক। নির্বাচনে পরাজয়ের অজুহাত আগেভাগেই দাঁড় করানো ছাড়া কিছুই নয়। নানা মহলের প্রশ্ন, অভিযোগ কেবল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। তাহলে বিজেপি তড়িঘড়ি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করল কেন? কমিশন সাংবিধানিক সংস্থা, তারাই তো সাফাই দেবে। শাসক দলের এই তড়িঘড়ি প্রতিক্রিয়া অনেককেই ভাবাচ্ছে। বিরোধী শিবির বলছে—এই তৎপরতা আসলে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রমাণ।
আবার নির্বাচন কমিশনের যুক্তি—ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন ও বিয়োজনের প্রক্রিয়ায় কোনরকম অস্বচ্ছতা নেই। এমন কি, প্রত্যেক ভোটারকে শেষ অবধি শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়। কর্ণাটকের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অধিকাংশ আবেদনই খারিজ হয়েছে। মাত্র কয়েকটি বৈধ প্রমাণিত হয়েছে। একটি এফআইআরও দায়ের হয়েছে। ঠিক এখানেই সমগ্র বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, অভিযোগ এবং এফআইআরের তদন্তে অসহযোগিতা করছেন খোদ নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এই ঘটনাই প্রমাণ করছে ভোটার তালিকা নিয়ে ছলচাতুরি চলছে। এখানে এমন প্রশ্ন ওঠাও স্বাভাবিক, নির্বাচন কমিশনের কাছে সরাসরি প্রমাণ না দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করলেন কেন রাহুল গান্ধী?
আসলে রাহুল গান্ধীও জানেন, সরাসরি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে লড়াইয়ে নামলে তা আইনগত প্রক্রিয়ায় আটকে পড়বে। বরং জনসমক্ষে রাজনৈতিক প্রশ্নে পরিণত করা গেলে চাপ অনেক বাড়বে। সেই জন্যই জনমত তৈরির এমন কৌশল। ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাটিয়ে ধাপে ধাপে ‘ভোট চুরি’র তথ্যপ্রমাণ জনসমক্ষে এনে শাসক দলকে চাপে রাখা ও কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় তৈরি করাই কংগ্রেসের লক্ষ্য।
কমিশনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। বিরোধী নেতার অভিযোগ যখন এত মারাত্মক, তখন কমিশনের উচিত স্বচ্ছতার সঙ্গে সব তথ্য প্রকাশ করা। কোন কোন আবেদন এসেছে, কীভাবে খারিজ করা হয়েছে, কার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে—এসব তথ্য জনগণের সামনে আনা গেলে বিতর্ক অনেকটাই থামানো যেত। কিন্তু কমিশনের বক্তব্য তুলনামূলকভাবে সীমিত ও প্রতিরক্ষামূলক। ফলে মানুষের মনে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এখন জনগণকে আশ্বস্ত করাই কমিশনের মুখ্য কর্তব্য।
কোন কোন আবেদন খারিজ হয়েছে, কোনটি বৈধ হয়েছে, কোথায় এফআইআর হয়েছে—রাহুলের অভিযোগ খণ্ডন করতে এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনাই কাম্য। অন্তত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমন প্রত্যাশা মোটেই অমূলক নয় নিশ্চয়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সম্মান জানিয়ে কংগ্রেস-শাসিত কর্ণাটক রাজ্যের সিআইডি বা তদন্ত সংস্থাকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা উচিত। অর্থাৎ যেখানেই সংশয়, সেখানেই তা নিরসনের প্রয়াস থাকতে হবে। তা না হলে ক্রমশ এই সংশয়ই গণতন্ত্রকে দুর্বল করবে।
খুব ভালো করে দেখলে বোঝা যায়, গণতন্ত্রে সবচেয়ে বড় সংকট—আস্থার সংকট। যদি ভোটার তালিকা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহে থাকে, তবে নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও সংশয় বাড়বে। বিরোধী শিবির হোক বা শাসক দল—দুপক্ষের দায়িত্বই হলো এই বিশ্বাস রক্ষা করা। নির্বাচন কমিশন যদি সত্যিই নিরপেক্ষ হয়, তবে তার প্রমাণ তাকে জনগণের কাছেই দিতে হবে।
অন্যথায় ‘ভোট চুরি’ বিতর্ক শুধু বিহার বা কর্ণাটকেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, সমগ্র ভারতের গণতন্ত্রের ভিত্তি প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়াবে। সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি।

ভারতের গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা হলো নির্বাচন। সেই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিযোগে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই সংস্থার নিরপেক্ষতা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর এক ‘প্রি-হাইড্রোজেন বোমা’ বিস্ফোরণে যেন ভারতজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিস্ফোরণের লক্ষ্য সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। রাহুলের অভিযোগ, জ্ঞানেশ কুমার ‘ভোটচোর’দের জেনে-বুঝে আড়াল করছেন! রাহুল বেশ কিছুদিন ধরেই এমন অভিযোগ করে আসছেন। এবার শুধু তিনি নির্বাচন কমিশনারকে নিজের ‘ভুল’ শুধরে নিতে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন।
এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। তারপর যা ঘটল তা নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম নিচ্ছে। এই যেমন—গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাহুল বেলা ১১টায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্ঞানেশ কুমারের মুণ্ডপাত করার ঠিক পরেই, বেলা ১টায় সংবাদ সম্মেলন ডাকে বিজেপি। দলের সংসদ সদস্য তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর কংগ্রেস নেতার অভিযোগগুলো একে একে খণ্ডন করার চেষ্টা করলেন। এখানেই প্রশ্ন, তীর যখন নির্বাচন কমিশনের দিকে—তখন খামোখা সেই তীরকে নিজেদের দিকে কেন টেনে নিয়ে গেল বিজেপি, কেন এতটা তৎপর হয়ে উঠল দলটি?
আসলে এই দ্বন্দ্ব তো আস্থা এবং প্রশ্নের। সবাই মানবেন, ভারতের গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা হলো নির্বাচন। সেই নির্বাচনের নিরপেক্ষতা রক্ষার দায় সাংবিধানিক সংস্থা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগে সেই নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। রাহুল অত্যন্ত দৃঢ় কণ্ঠে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জ্ঞানেশ কুমারকে।
রাহুলের অভিযোগ, ভিন্ন রাজ্যে বসে কেন্দ্রীয়ভাবে সংগঠিত উপায়ে কংগ্রেসপন্থী, দলিত-আদিবাসী ও সংখ্যালঘু ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। কর্ণাটকের আলন্দ কেন্দ্রে ছয় হাজারেরও বেশি নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জমা পড়েছিল বলে অভিযোগ। রাহুল গান্ধীর মতে, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া আসলে নিতান্তই এক সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা। নির্দিষ্ট সফটওয়্যার, কল সেন্টার এবং আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নকল আবেদন জমা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর হাতে ফোন নম্বর ও প্রমাণ আছে বলেও দাবি।
অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য—সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। কংগ্রেসের তৈরি রাজনৈতিক নাটক। নির্বাচনে পরাজয়ের অজুহাত আগেভাগেই দাঁড় করানো ছাড়া কিছুই নয়। নানা মহলের প্রশ্ন, অভিযোগ কেবল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। তাহলে বিজেপি তড়িঘড়ি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করল কেন? কমিশন সাংবিধানিক সংস্থা, তারাই তো সাফাই দেবে। শাসক দলের এই তড়িঘড়ি প্রতিক্রিয়া অনেককেই ভাবাচ্ছে। বিরোধী শিবির বলছে—এই তৎপরতা আসলে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রমাণ।
আবার নির্বাচন কমিশনের যুক্তি—ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন ও বিয়োজনের প্রক্রিয়ায় কোনরকম অস্বচ্ছতা নেই। এমন কি, প্রত্যেক ভোটারকে শেষ অবধি শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়। কর্ণাটকের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অধিকাংশ আবেদনই খারিজ হয়েছে। মাত্র কয়েকটি বৈধ প্রমাণিত হয়েছে। একটি এফআইআরও দায়ের হয়েছে। ঠিক এখানেই সমগ্র বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, অভিযোগ এবং এফআইআরের তদন্তে অসহযোগিতা করছেন খোদ নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এই ঘটনাই প্রমাণ করছে ভোটার তালিকা নিয়ে ছলচাতুরি চলছে। এখানে এমন প্রশ্ন ওঠাও স্বাভাবিক, নির্বাচন কমিশনের কাছে সরাসরি প্রমাণ না দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করলেন কেন রাহুল গান্ধী?
আসলে রাহুল গান্ধীও জানেন, সরাসরি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে লড়াইয়ে নামলে তা আইনগত প্রক্রিয়ায় আটকে পড়বে। বরং জনসমক্ষে রাজনৈতিক প্রশ্নে পরিণত করা গেলে চাপ অনেক বাড়বে। সেই জন্যই জনমত তৈরির এমন কৌশল। ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাটিয়ে ধাপে ধাপে ‘ভোট চুরি’র তথ্যপ্রমাণ জনসমক্ষে এনে শাসক দলকে চাপে রাখা ও কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় তৈরি করাই কংগ্রেসের লক্ষ্য।
কমিশনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। বিরোধী নেতার অভিযোগ যখন এত মারাত্মক, তখন কমিশনের উচিত স্বচ্ছতার সঙ্গে সব তথ্য প্রকাশ করা। কোন কোন আবেদন এসেছে, কীভাবে খারিজ করা হয়েছে, কার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে—এসব তথ্য জনগণের সামনে আনা গেলে বিতর্ক অনেকটাই থামানো যেত। কিন্তু কমিশনের বক্তব্য তুলনামূলকভাবে সীমিত ও প্রতিরক্ষামূলক। ফলে মানুষের মনে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এখন জনগণকে আশ্বস্ত করাই কমিশনের মুখ্য কর্তব্য।
কোন কোন আবেদন খারিজ হয়েছে, কোনটি বৈধ হয়েছে, কোথায় এফআইআর হয়েছে—রাহুলের অভিযোগ খণ্ডন করতে এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনাই কাম্য। অন্তত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমন প্রত্যাশা মোটেই অমূলক নয় নিশ্চয়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সম্মান জানিয়ে কংগ্রেস-শাসিত কর্ণাটক রাজ্যের সিআইডি বা তদন্ত সংস্থাকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা উচিত। অর্থাৎ যেখানেই সংশয়, সেখানেই তা নিরসনের প্রয়াস থাকতে হবে। তা না হলে ক্রমশ এই সংশয়ই গণতন্ত্রকে দুর্বল করবে।
খুব ভালো করে দেখলে বোঝা যায়, গণতন্ত্রে সবচেয়ে বড় সংকট—আস্থার সংকট। যদি ভোটার তালিকা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহে থাকে, তবে নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও সংশয় বাড়বে। বিরোধী শিবির হোক বা শাসক দল—দুপক্ষের দায়িত্বই হলো এই বিশ্বাস রক্ষা করা। নির্বাচন কমিশন যদি সত্যিই নিরপেক্ষ হয়, তবে তার প্রমাণ তাকে জনগণের কাছেই দিতে হবে।
অন্যথায় ‘ভোট চুরি’ বিতর্ক শুধু বিহার বা কর্ণাটকেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, সমগ্র ভারতের গণতন্ত্রের ভিত্তি প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়াবে। সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি।
.png)

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান সংগঠক এবং নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আন্দোলনের উত্তাল সময় পেরিয়ে রাজনৈতিক দল গঠনের পর বর্তমান বাস্তবতা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা স্ট্রিমের সঙ্গে।
১০ ঘণ্টা আগে
হেমন্তের রাত। হালকা হিম পড়ছে আকাশ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার জাতীয় বার্ন ইউনিটের ১ নম্বর গেটের বিপরীতের ফুটপাতে পোটলা বিছিয়ে শুয়ে পড়লেন এক বৃদ্ধ। কিন্তু নিরপরাধ ঘুমের স্পর্শ পাওয়ার আগেই উদ্ধত লাঠির দেখা পেলেন তিনি। কয়েকজন তরুণ লাঠি হাতে বৃদ্ধকে শাসাতে লাগলেন সেখান থেকে উঠে যাওয়ার জন্য।
১ দিন আগে
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির বিজয় আসলে প্রাতিষ্ঠানিকতার বিরুদ্ধে এক নৈতিক জবাব। যে প্রাতিষ্ঠানিকতা আমাদের এতদিন বলে এসেছে, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকাই পূন্য ও টাকা থাকাই যোগ্যতা, সেই প্রাতিষ্ঠানিকতার বিরুদ্ধে মামদানির বিজয় যেন এক সাক্ষাৎ চপেটাঘাত।
১ দিন আগে
বহু বছর ধরে সারা বিশ্বের কাছে আমেরিকা মানেই পুঁজিবাদের চূড়ান্ত প্রতীক। এই দুনিয়া চলে ওয়াল স্ট্রিট, সিলিকন ভ্যালির ইশারাতে। ব্যক্তির ইচ্ছাই এখানে শেষ কথা। এখানে ‘সমাজতন্ত্রী’ শব্দটি আজও রাজনৈতিক আক্রমণ বা গালাগাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
১ দিন আগে