
.png)

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নাম পরিবর্তন করে 'গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি' রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে সংগঠনে আসছে নতুন নেতৃত্ব। আগামী ২৩ অক্টোবর এক জাতীয় সমন্বয় সভা থেকে এই পরিবর্তনগুলো চূড়ান্ত করা হবে।

রাত পোহালেই ভোট
বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে ও ভোটকেন্দ্রের টেবিল বসানোর কাজ হচ্ছে। এ ছাড়া ভেতরে বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আবাসন, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন বা খাবারের ভর্তুকির মতো বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের মূল দাবি। প্রার্থীরাও এগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু গঠনতন্ত্রে এগুলো করবার এখতিয়ার রাকসু প্রতিনিধিদের হাতে রাখা হয়নি।

গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করেছিল সংগঠনটি। মূলত ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ দল থেকে পৃথক হয়ে সংগঠনটির জন্ম হয়।

হাসিনাশাহির পতনের পর আমাদের সবচেয়ে বড় আকাঙ্ক্ষা ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র-যাত্রা। জুলাই সনদ ইত্যাদির পর এমন রাষ্ট্রের দিকে বাংলাদেশ যাত্রা করবে, যেখানে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না। কিন্তু সেই জায়গা থেকে আমরা মনে হয় অনেক দূরে সরে এসেছি।

ডাকসু নির্বাচন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিউমার্কেট এলাকায় ভিড় করেছে মানুষ। তাঁরা ভিন্ন দলের ডেকে আনা লোক বলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রদল ও শিবির।

ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ ভোট ফর চেঞ্জ’ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা অভিযোগ করেছেন, অন্য প্যানেলের প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও তাঁকে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনে প্যানেলগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এই প্যানেল গঠিত হয়েছে। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীলতার আদর্শ ধারণ করে সমতাভিত্তিক ও দখলদারিত্বমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার কথা বলছেন।

ডাকসু নির্বাচন
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। আর স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭২ সালে। ফলে ওই নির্বাচন এবং ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি ছাত্রশিবির। এর বাইরে পাঁচটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে সংগঠনটি।

ডাকসু নির্বাচন
প্রথমে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের ফেসবুক আইডি ডিজেবল হওয়ার খবর আসে। তাঁর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টটি একবার পুনরুদ্ধার করা গেলেও, দুপুরে সেটি আবারও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

ডাকসু নির্বাচন
প্রার্থীরা বলছেন, ডাকসুর যে সব প্যানেলের প্রার্থীদের অর্থের যোগান ভালো তাঁরা ভোটের বিনিময়ে এই খাবার খাওয়াচ্ছে। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। তবে এ নিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ডাকসু ইশতেহার ০২
আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এ নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়েছে সারাদেশে। এবারের ভোটযুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে স্ট্রিম-এর বিশেষ আয়োজন। প্রতিনিধিত্বশীল প্যানেলগুলোর ইশতেহার পর্যালোচনা করে এখানে থাকছে কী আছে কোন প্যানেলের ইশতেহারে।

ডাকসু ইশতেহার ০১
আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এ নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়েছে সারাদেশে। এবারের ভোটযুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে স্ট্রিম-এর বিশেষ আয়োজন। প্রতিনিধিত্বশীল প্যানেলগুলোর ইশতেহার পর্যালোচনা করে এখানে থাকছে কী আছে কোন প্যানেলের ইশতেহারে।

আগামীকাল ভোটগ্রহণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর। ভোটে মোট ৯টি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিশ্লেষকদের মতে, এবারের ডাকসু নির্বাচন বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি এবং জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি মাইলফলক হতে যাচ্ছে।

আজ সোমবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া অন্য কেউ বৈধ বা লাইসেন্স করা অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। এই নিয়ম অমান্য করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ভোটারদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ব্যাগ, মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ, যেকোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, পানির বোতল ও তরল জাতীয় কোনো পদার্থ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।