বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল গঠিত হয়েছে। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীলতার আদর্শ ধারণ করে সমতাভিত্তিক ও দখলদারিত্বমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার কথা বলছেন।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্যানেলগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এই প্যানেল গঠিত হয়েছে। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীলতার আদর্শ ধারণ করে সমতাভিত্তিক ও দখলদারিত্বমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার কথা বলছেন।
তাদের ইশতেহারে ডাকসু সংস্কার, আবাসন সংকট নিরসন, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রোধ এবং নারীবান্ধব পরিবেশ তৈরির মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে তাসনিম আফরোজ ইমি এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মেঘমল্লার বসু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেলটির ইশতেহার, প্রার্থী এবং শিক্ষার্থীদের চোখে তাদের সম্ভাবনা ও দুর্বলতার দিকগুলো নিয়েই এই পর্যালোচনা।
প্যানেলের মতাদর্শ
প্রতিরোধ পর্ষদের মতাদর্শ সম্পর্কে প্যানেলটির সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী জাবির আহমেদ জুবেল স্ট্রিমকে বলেন, ‘এখানে যেমন বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠনের মানুষজন আছে, ঠিক একইভাবে কোনো প্রকার সাংগঠনিক রাজনীতি করেন না এমন মানুষজনও আছেন।’
জুবেল আরও বলেন, ‘যারা গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল ৭১ সালে, তাদের এক ধরনের আস্ফালন তৈরি হয়েছে। সেই জায়গায় আমরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে মূলত এই পর্ষদ গঠন করেছি। মোটাদাগে যদি বলি, প্রগতিশীল ধারার ছাত্ররাজনীতি কিংবা ছাত্র আন্দোলনকে আসলে এই পর্ষদ ধারণ করে।’
প্রতিরোধ পর্ষদ সমতাভিত্তিক ও দখলদারিত্ব মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে চায় বলেও স্ট্রিমকে জানান তিনি।
শিক্ষার্থীরা কেন এই প্যানেলকে ভোট দেবেন
শিক্ষার্থীরা কেন এই প্যানেলকে ভোট দেবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে জুবেল বলেন, ‘এখানে একটা-দুইটা না, বেশ অনেকগুলো কারণ আছে। প্রথমত, একটা রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি যে বিশ্বাস এবং আস্থার জায়গা, সেই জায়গাটা কিন্তু আমরা এই ক্যাম্পাসে গত পাঁচ বছর, সাত বছর ধরে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তৈরি করেছি। আমরা যেকোনো প্রকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অধিকার হরণের বিরুদ্ধে লড়াই করি—এই জিনিসটা আসলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত।’
শিক্ষার্থীদের চোখে প্যানেলটির শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা
জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মারিয়া রহমান স্ট্রিমকে বলেন, ‘শক্তির প্রথম জায়গা হলো ওদের (প্রতিরোধ পর্ষদের) ইশতেহার, যেখানে ডাকসু সংস্কার নিয়ে কথা বলেছে। এ ছাড়াও, মেঘমল্লার বসু যেকোনো আন্দোলনেই সরব থাকেন। উনি প্রতিরোধ পর্ষদের একটা ভালো আকর্ষণ। লিবারেল ঘরানার মানুষদের কাছে পছন্দের।’
প্যানেলটির দুর্বলতা সম্পর্কে মারিয়া বলেন, ‘ওদের আইডিওলজিটা নিশ (ছোট গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ) । এখনও সবাই গ্রহণ করেন না। শাপলার হত্যাকাণ্ড, ইমি আপুর হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য বানানোর প্রস্তাবনা—এগুলো মানুষ ক্রিটিসাইজ করে। আর গতানুগিতক মানুষ এখনও “বাম” শব্দটা শুনেই দূরত্ব রাখতে চায়।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ফাইয়াজ আহনাফ সামিন স্ট্রিমকে বলেন, ‘প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা হলো ওদের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা। মেঘমল্লার বা জুবেলের কথাই যদি বলি—ওরা আওয়ামী আমলে হওয়া যাবতীয় অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে শক্তভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে, যা অন্য দলের প্রার্থীরা করেনি। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিবাদের স্বরূপ হলো মেঘমল্লার বা জুবেল। আর প্যানেলটির দুর্বলতার জায়গা হলো তাদের নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা বামপন্থী নেতাদের নিয়ে নানা ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে, যা দূর করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটি করলে ভালো হতো।’
কী আছে ইশতাহারে
১. ডাকসু সংস্কার: একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট করা, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়িয়ে দশজন করা এবং গণভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণের বিধান চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে।
২. শিক্ষার মানোন্নয়ন: শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের নির্দেশিত ইউজিসির কৌশলপত্র বাতিল এবং সব ধরনের ফি বৃদ্ধি রোধ করার কথা বলা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ বাধ্যতামূলক করারও দাবি রয়েছে।
৩. গবেষণা: বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের অন্তত ১০ শতাংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দ, গবেষণাগার আধুনিকীকরণ এবং থিসিস নেওয়ার ক্ষেত্রে সিজিপিএ-এর শর্ত তুলে দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
৪. আবাসন: হলগুলোকে দখলমুক্ত করে প্রথম বর্ষ থেকেই প্রশাসনের অধীনে সিট নিশ্চিত করা এবং গণরুম, গেস্টরুম ও র্যাগিং প্রথা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবনা রয়েছে।
৫. নারীবান্ধব ক্যাম্পাস: নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার সুরক্ষাসহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ, যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করা এবং নারী হলগুলোতে প্রবেশের সময়সীমা তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
৬. জাতিসত্তার অধিকার: দেশের সব জাতিসত্তার ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে তাদের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাজ করার কথা বলা হয়েছে।
৭. খাদ্য ও পুষ্টি: ব্যক্তিগত মালিকানার পরিবর্তে প্রশাসনের অধীনে ভর্তুকি দিয়ে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা, খাবারের পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ এবং রাত ১২টা পর্যন্ত খাবার সরবরাহের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
৮. স্বাস্থ্য সুরক্ষা: মেডিকেল সেন্টারকে ১০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালে উন্নীতকরণ, ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবং একটি কেন্দ্রীয় ঔষধাগার স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
৯. মানসিক স্বাস্থ্য: শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ‘মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা, থেরাপি ইউনিট বৃদ্ধি এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১০. পাঠাগার ও কমন রুম: কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সার্বক্ষণিক খোলা রাখা, আন্তর্জাতিক জার্নালে বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার এবং সেমিনারে আসন ও বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সাথে প্রতিটি অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ কমন রুম নির্মাণের কথাও বলা হয়েছে।
১১. প্রকাশনা সংস্থা: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা সংস্থাকে সচল করে নিয়মিত বই ও গবেষণাপত্র প্রকাশ এবং মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষার জন্য একটি অনুবাদ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
১২. মুক্ত পরিসর পুনরুদ্ধার: বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধার এবং শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মাস্টার প্ল্যান’ সংশোধনের মাধ্যমে মুক্ত পরিসর ও পরিবেশ রক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
১৩. সাহিত্য ও সংস্কৃতি: হলগুলোতে সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ বৃদ্ধি, অডিটোরিয়াম সংস্কার এবং নিয়মিত সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক কার্যক্রম আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
১৪. পরিবহন: ভাড়া বাসের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস কেনা, বাসের রুট ও সংখ্যা বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ শাটল সার্ভিস চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৫. ক্রীড়া: একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্পোর্টস ক্যালেন্ডার তৈরি করা, খেলার মাঠের উন্নয়ন, জিমনেশিয়াম ও সুইমিংপুলকে নারীবান্ধব করা এবং প্রতিটি অনুষদ ও হলে ইনডোর খেলার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
১৬. পরিবেশ সুরক্ষা: ক্যাম্পাসে পরিকল্পিত সবুজায়ন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ সেল গঠনের কথাও বলা হয়েছে।
১৭. গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন: ৭৩-এর অধ্যাদেশ সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা স্থাপন এবং সাম্প্রদায়িক, জাতিগত ও লৈঙ্গিক বৈষম্য নিষিদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১৮. মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন: দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণে আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরোধী অবস্থান ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠনের কথা বলা হয়েছে।
প্রার্থী হিসেবে যারা রয়েছেন—
১। সহসভাপতি (ভিপি)—তাসনিম আফরোজ ইমি , ২০১৩-১৪ সেশন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, শামসুন নাহার হল।
২। সাধারণ সম্পাদক (জিএস)—মেঘমল্লার বসু , ২০১৫-১৬ সেশন, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ, জগন্নাথ হল।
৩। সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস)—জাবির আহমেদ জুবেল, ২০১৭-১৮ সেশন, ফিন্যান্স বিভাগ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।
৪। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক—মোজ্জাম্মেল হক, ২০১৯-২০ সেশন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল।
৫। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক—ফাতিন ইশরাক, ২০২০-২১ সেশন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল।
৬। কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক— নূজিয়া হাসিন রাশা, ২০১৯-২০ সেশন, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল।
৭। আন্তর্জাতিক সম্পাদক— মো. নাঈমুদ্দীন, ২০২০-২১ সেশন, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।
৮। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক— ফারিয়া মতিন ইলা, ২০২০-২১ সেশন, ব্যাংকিং ইন্সুরেন্স বিভাগ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল।
৯। গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক— জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বির সম্মানে এই পদটি শূন্য রেখে তাঁকে সমর্থন দিয়েছে প্যানেলটি।
১০। ক্রীড়া সম্পাদক— মালিহা তাবাসসুম মীম , ২০১৯-২০ সেশন, ফিন্যান্স বিভাগ, রোকেয়া হল।
১১। ছাত্র পরিবহন সম্পাদক— মাহাথির খান নিনাদ , ২০২০-২১ সেশন, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল।
১২। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক— লিটন ত্রিপুরা , ২০২১-২২ সেশন, অর্থনীতি বিভাগ, জগন্নাথ হল।
১৩। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক— শেখ তাসনুভা সৃষ্টি, ২০২২-২৩ সেশন, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল।
১৪। মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক— আকাশ আলী, ২০২০-২১ সেশন, দর্শন বিভাগ, সূর্যসেন হল।
১৫। সমাজসেবা সম্পাদক— আবু মুজাহিদ আকাশ, ২০২১-২২ সেশন, অর্থনীতি বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল।
এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন—
১। ইসরাত জাহান ইমু— ২০২২-২৩ সেশন, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ, শামসুন নাহার হল।
২। উপাইমং পৃথিং মারমা— ২০২০-২১ সেশন, অপরাধবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ হল।
৩। ওয়াকার রহমান সৌরভ— ২০২০-২১ সেশন, পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট বিভাগ , মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল।
৪। আতিকা আনজুম অর্থী— ২০২০-২১ সেশন, কারুশিল্প বিভাগ, কবি সুফিয়া কামাল হল।
৫। মিশকাতুল মাশিয়াত— ২০২১-২২ সেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন বিভাগ, কবি সুফিয়া কামাল হল।
৬। মো. সাজিদ উল ইসলাম— ২০২০-২১ সেশন, প্রাচ্যকলা বিভাগ, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল।
৭। মো. আলমগীর হোসেন— ২০২২-২২ সেশন, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ, সূর্যসেন হল।
৮। মো. তফসিরুল্লাহ— ২০১৯-২০ সেশন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল।
৯। মো. রাজেকুজ্জামান জুয়েল— ২০২৩-২৪ সেশন, টিভি ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল।
১০। মো. মোস্তাকিম— ২০২১-২২ সেশন, অর্থনীতি বিভাগ, স্যার এ এফ রহমান হল।
১১। রাহনুমা আহমেদ নিরেট— ২০১৮-১৯ সেশন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, শামসুন নাহার হল।
১২। শেখ আনিয়া ফাহমিন— ২০২১-২২ সেশন, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, শামসুন নাহার হল।
১৩। হেমা চাকমা— ২০২০-২১ সেশন, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট বিভাগ, শামসুন নাহার হল।
আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্যানেলগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এই প্যানেল গঠিত হয়েছে। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীলতার আদর্শ ধারণ করে সমতাভিত্তিক ও দখলদারিত্বমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার কথা বলছেন।
তাদের ইশতেহারে ডাকসু সংস্কার, আবাসন সংকট নিরসন, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রোধ এবং নারীবান্ধব পরিবেশ তৈরির মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে তাসনিম আফরোজ ইমি এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মেঘমল্লার বসু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেলটির ইশতেহার, প্রার্থী এবং শিক্ষার্থীদের চোখে তাদের সম্ভাবনা ও দুর্বলতার দিকগুলো নিয়েই এই পর্যালোচনা।
প্যানেলের মতাদর্শ
প্রতিরোধ পর্ষদের মতাদর্শ সম্পর্কে প্যানেলটির সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী জাবির আহমেদ জুবেল স্ট্রিমকে বলেন, ‘এখানে যেমন বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠনের মানুষজন আছে, ঠিক একইভাবে কোনো প্রকার সাংগঠনিক রাজনীতি করেন না এমন মানুষজনও আছেন।’
জুবেল আরও বলেন, ‘যারা গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল ৭১ সালে, তাদের এক ধরনের আস্ফালন তৈরি হয়েছে। সেই জায়গায় আমরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে মূলত এই পর্ষদ গঠন করেছি। মোটাদাগে যদি বলি, প্রগতিশীল ধারার ছাত্ররাজনীতি কিংবা ছাত্র আন্দোলনকে আসলে এই পর্ষদ ধারণ করে।’
প্রতিরোধ পর্ষদ সমতাভিত্তিক ও দখলদারিত্ব মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে চায় বলেও স্ট্রিমকে জানান তিনি।
শিক্ষার্থীরা কেন এই প্যানেলকে ভোট দেবেন
শিক্ষার্থীরা কেন এই প্যানেলকে ভোট দেবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে জুবেল বলেন, ‘এখানে একটা-দুইটা না, বেশ অনেকগুলো কারণ আছে। প্রথমত, একটা রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি যে বিশ্বাস এবং আস্থার জায়গা, সেই জায়গাটা কিন্তু আমরা এই ক্যাম্পাসে গত পাঁচ বছর, সাত বছর ধরে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তৈরি করেছি। আমরা যেকোনো প্রকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অধিকার হরণের বিরুদ্ধে লড়াই করি—এই জিনিসটা আসলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত।’
শিক্ষার্থীদের চোখে প্যানেলটির শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা
জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মারিয়া রহমান স্ট্রিমকে বলেন, ‘শক্তির প্রথম জায়গা হলো ওদের (প্রতিরোধ পর্ষদের) ইশতেহার, যেখানে ডাকসু সংস্কার নিয়ে কথা বলেছে। এ ছাড়াও, মেঘমল্লার বসু যেকোনো আন্দোলনেই সরব থাকেন। উনি প্রতিরোধ পর্ষদের একটা ভালো আকর্ষণ। লিবারেল ঘরানার মানুষদের কাছে পছন্দের।’
প্যানেলটির দুর্বলতা সম্পর্কে মারিয়া বলেন, ‘ওদের আইডিওলজিটা নিশ (ছোট গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ) । এখনও সবাই গ্রহণ করেন না। শাপলার হত্যাকাণ্ড, ইমি আপুর হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য বানানোর প্রস্তাবনা—এগুলো মানুষ ক্রিটিসাইজ করে। আর গতানুগিতক মানুষ এখনও “বাম” শব্দটা শুনেই দূরত্ব রাখতে চায়।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ফাইয়াজ আহনাফ সামিন স্ট্রিমকে বলেন, ‘প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা হলো ওদের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা। মেঘমল্লার বা জুবেলের কথাই যদি বলি—ওরা আওয়ামী আমলে হওয়া যাবতীয় অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে শক্তভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে, যা অন্য দলের প্রার্থীরা করেনি। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিবাদের স্বরূপ হলো মেঘমল্লার বা জুবেল। আর প্যানেলটির দুর্বলতার জায়গা হলো তাদের নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা বামপন্থী নেতাদের নিয়ে নানা ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে, যা দূর করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটি করলে ভালো হতো।’
কী আছে ইশতাহারে
১. ডাকসু সংস্কার: একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট করা, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়িয়ে দশজন করা এবং গণভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণের বিধান চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে।
২. শিক্ষার মানোন্নয়ন: শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের নির্দেশিত ইউজিসির কৌশলপত্র বাতিল এবং সব ধরনের ফি বৃদ্ধি রোধ করার কথা বলা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ বাধ্যতামূলক করারও দাবি রয়েছে।
৩. গবেষণা: বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের অন্তত ১০ শতাংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দ, গবেষণাগার আধুনিকীকরণ এবং থিসিস নেওয়ার ক্ষেত্রে সিজিপিএ-এর শর্ত তুলে দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
৪. আবাসন: হলগুলোকে দখলমুক্ত করে প্রথম বর্ষ থেকেই প্রশাসনের অধীনে সিট নিশ্চিত করা এবং গণরুম, গেস্টরুম ও র্যাগিং প্রথা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবনা রয়েছে।
৫. নারীবান্ধব ক্যাম্পাস: নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার সুরক্ষাসহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ, যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করা এবং নারী হলগুলোতে প্রবেশের সময়সীমা তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
৬. জাতিসত্তার অধিকার: দেশের সব জাতিসত্তার ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে তাদের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাজ করার কথা বলা হয়েছে।
৭. খাদ্য ও পুষ্টি: ব্যক্তিগত মালিকানার পরিবর্তে প্রশাসনের অধীনে ভর্তুকি দিয়ে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা, খাবারের পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ এবং রাত ১২টা পর্যন্ত খাবার সরবরাহের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
৮. স্বাস্থ্য সুরক্ষা: মেডিকেল সেন্টারকে ১০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালে উন্নীতকরণ, ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবং একটি কেন্দ্রীয় ঔষধাগার স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
৯. মানসিক স্বাস্থ্য: শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ‘মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা, থেরাপি ইউনিট বৃদ্ধি এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১০. পাঠাগার ও কমন রুম: কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সার্বক্ষণিক খোলা রাখা, আন্তর্জাতিক জার্নালে বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার এবং সেমিনারে আসন ও বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সাথে প্রতিটি অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ কমন রুম নির্মাণের কথাও বলা হয়েছে।
১১. প্রকাশনা সংস্থা: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা সংস্থাকে সচল করে নিয়মিত বই ও গবেষণাপত্র প্রকাশ এবং মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষার জন্য একটি অনুবাদ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
১২. মুক্ত পরিসর পুনরুদ্ধার: বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধার এবং শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মাস্টার প্ল্যান’ সংশোধনের মাধ্যমে মুক্ত পরিসর ও পরিবেশ রক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
১৩. সাহিত্য ও সংস্কৃতি: হলগুলোতে সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ বৃদ্ধি, অডিটোরিয়াম সংস্কার এবং নিয়মিত সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক কার্যক্রম আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
১৪. পরিবহন: ভাড়া বাসের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস কেনা, বাসের রুট ও সংখ্যা বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ শাটল সার্ভিস চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৫. ক্রীড়া: একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্পোর্টস ক্যালেন্ডার তৈরি করা, খেলার মাঠের উন্নয়ন, জিমনেশিয়াম ও সুইমিংপুলকে নারীবান্ধব করা এবং প্রতিটি অনুষদ ও হলে ইনডোর খেলার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
১৬. পরিবেশ সুরক্ষা: ক্যাম্পাসে পরিকল্পিত সবুজায়ন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ সেল গঠনের কথাও বলা হয়েছে।
১৭. গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন: ৭৩-এর অধ্যাদেশ সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা স্থাপন এবং সাম্প্রদায়িক, জাতিগত ও লৈঙ্গিক বৈষম্য নিষিদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১৮. মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন: দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণে আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরোধী অবস্থান ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠনের কথা বলা হয়েছে।
প্রার্থী হিসেবে যারা রয়েছেন—
১। সহসভাপতি (ভিপি)—তাসনিম আফরোজ ইমি , ২০১৩-১৪ সেশন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, শামসুন নাহার হল।
২। সাধারণ সম্পাদক (জিএস)—মেঘমল্লার বসু , ২০১৫-১৬ সেশন, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ, জগন্নাথ হল।
৩। সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস)—জাবির আহমেদ জুবেল, ২০১৭-১৮ সেশন, ফিন্যান্স বিভাগ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।
৪। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক—মোজ্জাম্মেল হক, ২০১৯-২০ সেশন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল।
৫। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক—ফাতিন ইশরাক, ২০২০-২১ সেশন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল।
৬। কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক— নূজিয়া হাসিন রাশা, ২০১৯-২০ সেশন, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল।
৭। আন্তর্জাতিক সম্পাদক— মো. নাঈমুদ্দীন, ২০২০-২১ সেশন, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।
৮। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক— ফারিয়া মতিন ইলা, ২০২০-২১ সেশন, ব্যাংকিং ইন্সুরেন্স বিভাগ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল।
৯। গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক— জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বির সম্মানে এই পদটি শূন্য রেখে তাঁকে সমর্থন দিয়েছে প্যানেলটি।
১০। ক্রীড়া সম্পাদক— মালিহা তাবাসসুম মীম , ২০১৯-২০ সেশন, ফিন্যান্স বিভাগ, রোকেয়া হল।
১১। ছাত্র পরিবহন সম্পাদক— মাহাথির খান নিনাদ , ২০২০-২১ সেশন, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল।
১২। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক— লিটন ত্রিপুরা , ২০২১-২২ সেশন, অর্থনীতি বিভাগ, জগন্নাথ হল।
১৩। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক— শেখ তাসনুভা সৃষ্টি, ২০২২-২৩ সেশন, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল।
১৪। মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক— আকাশ আলী, ২০২০-২১ সেশন, দর্শন বিভাগ, সূর্যসেন হল।
১৫। সমাজসেবা সম্পাদক— আবু মুজাহিদ আকাশ, ২০২১-২২ সেশন, অর্থনীতি বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল।
এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন—
১। ইসরাত জাহান ইমু— ২০২২-২৩ সেশন, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ, শামসুন নাহার হল।
২। উপাইমং পৃথিং মারমা— ২০২০-২১ সেশন, অপরাধবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ হল।
৩। ওয়াকার রহমান সৌরভ— ২০২০-২১ সেশন, পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট বিভাগ , মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল।
৪। আতিকা আনজুম অর্থী— ২০২০-২১ সেশন, কারুশিল্প বিভাগ, কবি সুফিয়া কামাল হল।
৫। মিশকাতুল মাশিয়াত— ২০২১-২২ সেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন বিভাগ, কবি সুফিয়া কামাল হল।
৬। মো. সাজিদ উল ইসলাম— ২০২০-২১ সেশন, প্রাচ্যকলা বিভাগ, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল।
৭। মো. আলমগীর হোসেন— ২০২২-২২ সেশন, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ, সূর্যসেন হল।
৮। মো. তফসিরুল্লাহ— ২০১৯-২০ সেশন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল।
৯। মো. রাজেকুজ্জামান জুয়েল— ২০২৩-২৪ সেশন, টিভি ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল।
১০। মো. মোস্তাকিম— ২০২১-২২ সেশন, অর্থনীতি বিভাগ, স্যার এ এফ রহমান হল।
১১। রাহনুমা আহমেদ নিরেট— ২০১৮-১৯ সেশন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, শামসুন নাহার হল।
১২। শেখ আনিয়া ফাহমিন— ২০২১-২২ সেশন, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, শামসুন নাহার হল।
১৩। হেমা চাকমা— ২০২০-২১ সেশন, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট বিভাগ, শামসুন নাহার হল।
ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকার (৫ আগস্টের আগে) অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে বিভিন্ন পক্ষ থেকে এ অভিযোগ তোলা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। আর স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭২ সালে। ফলে ওই নির্বাচন এবং ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি ছাত্রশিবির। এর বাইরে পাঁচটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে সংগঠনটি।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রথমে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের ফেসবুক আইডি ডিজেবল হওয়ার খবর আসে। তাঁর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টটি একবার পুনরুদ্ধার করা গেলেও, দুপুরে সেটি আবারও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
১০ ঘণ্টা আগেআগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এ নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়েছে সারাদেশে। এবারের ভোটযুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে স্ট্রিম-এর বিশেষ আয়োজন। প্রতিনিধিত্বশীল প্যানেলগুলোর ইশতেহার পর্যালোচনা করে এখানে থাকছে কী আছে কোন প্যানেলের ইশতেহারে।
১৪ ঘণ্টা আগে