সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। কর্মসূচি চলাকালে তারা জানান, দাবি পূরণ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ শাটডাউন ঘোষণা করা হবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় তরুণদের নেতৃত্বে একের পর এক গণআন্দোলন সরকার পতন ঘটাচ্ছে। যা দক্ষিণ এশিয়ার জেনারেশন-জেড তথা জেন-জিদের মধ্যে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য ও অভিজাত শাসক শ্রেণির বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে গভীর হতাশা ও ক্ষোভেরই প্রকাশ। বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান শক্তি ভারতও এই ঢেউ থেকে নিরাপদ নয়।
রাবিতে পোষ্যকোটা পুনর্বহাল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্যকোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
রাজধানী ঢাকায় আজ কর্মসূচি পালন করছে সাতটি রাজনৈতিক দল। প্রায় অভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)
রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় এলাকায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে সড়ক ছেড়েছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপু
স্নাতক ডিগ্রিধারী (বিএসসি) ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, কমিটির সুপারিশ আসার আগ পর্যন্ত তাঁরা আর কোনো আন্দোলন করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখার পর রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় ছেড়েছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।
চার দফা দাবিতে রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেছেন কয়েকটি পলিট্যাকনিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে মহাখালী, তেঁজগাও, হাতিরঝিল, মগবাজার ও কাওরান বাজারসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।
ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনের নগরকান্দায় যুক্ত করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি ও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনকারীদের তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিন আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)।
ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী বাসস্ট্যান্ডসহ কয়েকটি স্থানে সকাল থেকে আন্দোলনকারীদের মহাসড়কের পাশে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায়। তবে বেলা ১১টার দিকে টায়ার জ্বেলে, বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
প্রতিদিনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভের ডাক ছড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপ। সেখান থেকেই মানুষকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা। বাংলাদেশের আন্দোলনেও আমরা দেখেছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকা।
রোববার সকাল ছয়টা থেকে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এবং ঢাকা-বেনাপোল রেলপথ আটকে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন দেশের ২১টি জেলার যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা।
নেপালের চলমান পরিস্থিতি চীন, ভারত ও পাকিস্তান ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এর কারণ, নেপালের ভৌগোলিক অবস্থান এবং ইতিহাসে বিভিন্ন শক্তির সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা।
ফরিদপুরে আন্দোলনের তৃতীয় দিন
দুটি মহাসড়ক অবরোধের কারণে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক পথে ২১টি জেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া রেলপথ অবরোধে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর জাহানাবাদ এক্সপ্রেস মুকসুদপুর রেল স্টেশনে আটকরা পড়েছে।
অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়কে সমাজের হু-বুহু প্রতিবিম্ব হিসেবে গড়ে তুলতে চান। বিশ্ববিদ্যালয় মানে তা নয়। সামাজিক বিজ্ঞানের চর্চাকারী হিসাবে জানি, সমাজের হু-বুহু প্রতিভূ হলে তা এমন সংকীর্ণ হবে যে সেখানে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন কিছু সৃষ্টি করা আর হবে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় নতুন জ্ঞান সৃষ্টিরই পরিসর, তা অনেকেই
ব্যাপক গণবিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনেই পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। এর আগে বিক্ষোভের প্রথমদিন সোমবার সন্ধ্যায় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও পদত্যাগ করেছিলেন। নেপালের এই বিক্ষোভের মূল চালিকাশক্তি তরুণরা, যা দেশটির রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে জেনারেশন জেড তথা জেন জি-র সক্