leadT1ad

শিক্ষকদের আন্দোলন

মাঠে তিন পক্ষ, ঘরে ফিরেছে একটি, নামার অপেক্ষায় আরেক দল

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৫৩
টানা ২৩তম দিনের মতো মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকেরা।

দেশের ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা পৃথক দাবিতে আন্দোলন করছেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এ তিনটি পক্ষ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছে। গত মাসেই আন্দোলন করে ঘরে ফিরেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আগামী সপ্তাহে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

টানা ১০ দিন অবস্থান কর্মসূচিসহ আট দিনের কর্মবিরতির পর গত ২২ অক্টোবর ক্লাসে ফেরেন দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়াসহ তিন দাবিতে রাজধানীতে জড়ো হয়ে আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। অবশেষে সরকার ১৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির দাবি তুলেছেন। ছবি: সংগৃহীত
অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির দাবি তুলেছেন। ছবি: সংগৃহীত

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পরদিন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকেরা। তাঁদের দাবি হলো অনুদানবিহীন সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণ। টানা ২৩তম দিনের মতো মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকেরা।

তাঁরা বলছেন, গত জানুয়ারিতে মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে ধাপে ধাপে সব ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণ করা হবে। কিন্তু তার বাস্তবায়ন নেই। আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামছুল আলম স্ট্রিমকে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সহসভাপতি মেহেদী হাসান রাজু বলেন, বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।

অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির দাবি তুলেছেন। এ দাবিতে গত ২৬ অক্টোবর থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী। গত সোমবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক হয়। তবে বৈঠকে কোন সুরাহা আসেনি বলে জানান শিক্ষকেরা। যে কারণে মঙ্গলবার দশম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সহসভাপতি মেহেদী হাসান রাজু বলেন, বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।

অন্যদিকে, গত ২ নভেম্বর প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা। তাঁরা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির দাবি করছেন। গতকাল তাঁরা সচিবালয় অভিমুখে গেলেও আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাঁরা উপস্থিত না থাকলেও অন্য শিক্ষকেরা রয়েছেন। তাঁরাই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে।

‘নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে শিক্ষকেরা এ কর্মসূচি চালাচ্ছেন। পরিষদের সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মুনিমুল হক বলেন, সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে। এমপিও নীতিমালা ও পরিপত্রের অসম খেলা আর চলতে দেওয়া হবে না।

যদিও আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাঁরা উপস্থিত না থাকলেও অন্য শিক্ষকেরা রয়েছেন। তাঁরাই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে।

‘নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে শিক্ষকদের কর্মসূচি। ছবি: সংগৃহীত
‘নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে শিক্ষকদের কর্মসূচি। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে, সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদান, ১০ বছর ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তার দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। আগামী ৮ নভেম্বর থেকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিতভাবে এ কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত