যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি নির্বাচনী লড়াইয়ে জড়িয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে সমর্থন দিয়েছেন। আর ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে কঠোর প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ট্রাম্প মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তিনি জয়ী হলে নিউইয়র্কের ফেডারেল তহবিল কমিয়ে দেওয়া হবে। ফলে এই নির্বাচন এখন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রাজনীতির প্রতীকী সংঘাতে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।
প্রশ্ন উঠেছে—একসময় নিউইয়র্ককে ‘নিজের প্রথম ভালোবাসা’ বলা ট্রাম্প কেন ৩৪ বছর বয়সী এক সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিককে এতো বড় হুমকি মনে করছেন?
মতাদর্শের সংঘাত
মামদানির প্রগতিশীল রাজনীতি নিয়ে ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি ভীত। মামদানি যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার (ডিএসএ) সদস্য। তিনি সরকারি বাড়ি ভাড়ার হার স্থির রাখা, বিনামূল্যে গণপরিবহন ও সামাজিক সেবা বাড়ানোর মতো নীতির পক্ষে।
ট্রাম্প এই নীতিগুলোকে আমেরিকান পুঁজিবাদের পরিপন্থী এবং নিজের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডার বিপরীত হিসেবে তুলে ধরছেন। গত ২৭ অক্টোবর সিবিএসের সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট নেতা জিতে, সেখানে অর্থ পাঠানো মানে হবে টাকাগুলোর অপচয় করা।’
নির্বাচনের আগের দিন (৩ নভেম্বর রাতে) তিনি ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেন, ‘যদি কমিউনিস্ট প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হন, আমি শুধু আইন অনুযায়ী ন্যূনতম ফেডারেল তহবিলই দেব। ভালো অর্থ খারাপ পথে ব্যয় করব না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি শুধু প্রচারণার কৌশল নয়; ট্রাম্প বুঝতে পারছেন, মামদানি যদি নিউইয়র্কের মতো অর্থনৈতিক রাজধানীতে সমাজতন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন, তাহলে তা জাতীয় রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।
বিবিসির সাবেক উত্তর আমেরিকা সম্পাদক জন সোফেল বলেন, ‘নিউইয়র্কের মতো শহরের নেতৃত্বে একজন স্বঘোষিত সমাজতান্ত্রিক উঠে এলে তা বাম রাজনীতিকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলতে পারে।’
বারকানের মতে, ট্রাম্পের এই বিরাগের পেছনে ধর্মীয় বিদ্বেষও কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘মামদানির বিরুদ্ধে প্রচারণায় তাকে “তরুণ মুসলিম সমাজতন্ত্রী” আখ্যা দিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এতে ইসলামবিদ্বেষের ছাপ আছে।
তার সহ-উপস্থাপক এমিলি মাইটলিস যোগ করেন, ‘ব্যবসায়ী ও প্রথাগত ডেমোক্র্যাটদের কাছে মামদানি এক আতঙ্ক। তারা ভাবছে, তিনি শহরকে আর্থিকভাবে দেউলিয়া করে দেবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন যাদের কথা কেউ শোনেনি, সেই অবহেলিত মানুষদের কাছে তিনি একজন ত্রাতা।’ তার মতে, এই বৈপরীত্য মামদানিকে ‘একজন বড় পরিবর্তনকারী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে। ট্রাম্প নিজেও যেভাবে ২০১৬ সালে একজন পরিবর্তনকারী ছিলেন।
মামদানির প্রচারণার পরিচালনায় যুক্ত থাকা নিউইয়র্কভিত্তিক সাংবাদিক রস বারকান, বলেন, ‘ট্রাম্প মামদানির মধ্যে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পান। ট্রাম্পকে যেমন রিপাবলিকান নেতৃত্ব মেনে নিতে চায়নি, তেমনি মামদানিও ডেমোক্র্যাটদের প্রচলিত কাঠামো ভেঙে এগোচ্ছেন।’
বারকানের মতে, ট্রাম্পের এই বিরাগের পেছনে ধর্মীয় বিদ্বেষও কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘মামদানির বিরুদ্ধে প্রচারণায় তাকে “তরুণ মুসলিম সমাজতন্ত্রী” আখ্যা দিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এতে ইসলামবিদ্বেষের ছাপ আছে। ২০০৮ সালে যেমনটা ওবামাকে নিয়েও বলা হয়েছিল—‘তিনি অনভিজ্ঞ, বিদেশি নামধারী, তাকে আমেরিকা ভোট দেবে না।’
উগান্ডায় জন্ম নেওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিয়া মুসলিম মামদানিকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা দাবি ছড়ানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি ১৯৯৩ সালের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বোমা হামলার এক ইমামের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহলের কয়েকজন এই গুজব আরও ছড়িয়ে দিয়েছেন। এই মিথ্যা প্রচারণা মামদানির বিরুদ্ধে ইসলামভীতির মনোভাবকে উস্কে দিয়েছে।
অর্থনীতি ও প্রশাসনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা
ট্রাম্পের হুমকি কেবল রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং বাস্তব নীতি প্রয়োগের ইঙ্গিত বহন করে। তিনি জোহরান মামদানিকে এক সম্ভাব্য বিপর্যয় হিসেবে তুলে ধরছেন। তার মতে, মামদানি নিউইয়র্কের প্রশাসনিক কাঠামোকে ধ্বংস করে ফেলবেন এবং ফেডারেল সম্পদের অপচয় করবেন।
বর্তমানে নিউইয়র্ক সিটি প্রতিবছর আবাসন, শিক্ষা ও গণপরিবহন খাতে প্রায় ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ফেডারেল সহায়তা পায়। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মামদানি নির্বাচিত হলে এই তহবিল দেওয়া ‘খুবই অসম্ভব’ হবে। এমনকি তিনি ‘নিরাপত্তা বজায় রাখতে’ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের কথাও বলেছেন।
তবু ট্রাম্পের কাছে বিষয়টি অস্তিত্বের প্রশ্ন। তার মতে, নিজের শহরে একজন সমাজতান্ত্রিক মেয়র উঠে এলে ডেমোক্র্যাটরা জাতীয়ভাবেও অভিবাসন, অপরাধ ও অর্থনীতি নিয়ে তার নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠবে।
সিবিএসের সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে ট্রাম্প মামদানিকে তুলনা করেন সাবেক মেয়র বিল দে ব্লাসিওর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দে ব্লাসিও ছিলেন ভয়াবহ মেয়র, কিন্তু মামদানি তার চেয়েও খারাপ হবেন।’ পরে ট্রুথ সোশ্যাল-এ তিনি লেখেন, ‘যদি মামদানি জয়ী হন, নিউইয়র্ক সিটি এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয়ে পড়বে। একজন কমিউনিস্টের হাতে ক্ষমতা গেলে পরিস্থিতি কেবল আরও খারাপ হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, মামদানির রাজ্য পরিষদের কাজেও ব্যর্থ হয়েছেন। তার ভাষায়, ‘মামদানি একজন ব্যর্থ আইনপ্রণেতা ছিলেন। মেয়র হলেও শহরকে পূর্বের গৌরবে ফিরিয়ে আনতে পারবেন না।’
ট্রাম্পের সমর্থন পাওয়া অ্যান্ড্রু কুয়োমোও একই সুরে বলেন, ‘ট্রাম্প মনে করেন মামদানি নিউইয়র্কের জন্য অস্তিত্বের হুমকি। তিনি মনে করেন মামদানি একজন কমিউনিস্ট, যিনি শহরকে দেউলিয়া করবেন।’
ফক্স নিউজে কুয়োমো বলেন, ‘ট্রাম্প মামদানিকে সহজেই পরাস্ত করবেন’। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, মামদানির অভিজ্ঞতার অভাবের সুযোগে ট্রাম্প সরকার তাকে চাপে ফেলবে।
তবে সাংবাদিক রস বারকান এসব অর্থনৈতিক আশঙ্কাকে অতিরঞ্জিত মনে করেন। তার মতে, মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলো—যেমন সামাজিক সুরক্ষা নেটওয়ার্ক—ইউরোপের অনেক দেশে সাধারণ বিষয়। ‘সবচেয়ে খারাপ যা হতে পারে তা হলো, তিনি নীতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হবেন, কিন্তু এতে আর্থিক বিপর্যয় ঘটবে না।’
তবু ট্রাম্পের কাছে বিষয়টি অস্তিত্বের প্রশ্ন। তার মতে, নিজের শহরে একজন সমাজতান্ত্রিক মেয়র উঠে এলে ডেমোক্র্যাটরা জাতীয়ভাবেও অভিবাসন, অপরাধ ও অর্থনীতি নিয়ে তার নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠবে।
সাংবাদিক জন সোফেল ও এমিলি মাইটলিসের মতে, ট্রাম্পের মূল ভয় হলো—মামদানির জয় ডেমোক্র্যাটদের নতুন করে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং জাতীয় রাজনীতিতে প্রগতিশীল ধারাকে শক্তিশালী করবে।
প্রগতিশীল ঢেউ থামানোর চেষ্টা
ট্রাম্পের অবস্থান শুধু মতাদর্শ নয়, কৌশলগতও। নিজ দল রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়ার পরিবর্তে তিনি ডেমোক্র্যাট অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে সমর্থন দিয়েছেন, যাতে মামদানির বিরোধীদের ভোট বিভক্ত না হয় এবং মামদানিকে পরাজিত করা যায়।
রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘আপনি কুয়োমোকে পছন্দ করুন বা না করুন, আপনাকে তার পক্ষেই ভোট দিতে হবে। তিনিই সক্ষম, মামদানি নয়। কুয়োমোকে ভোট না দিয়ে কার্টিস স্লিওয়াকে ভোট দেওয়া মানে মামদানির জয় নিশ্চিত করা।’
ট্রাম্প সিক্সটি মিনিটস-এ বলেন, ‘আমি কুয়োমোর ভক্ত নই, কিন্তু যদি বিকল্প হয় এক খারাপ ডেমোক্র্যাট ও এক কমিউনিস্ট, আমি সবসময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে নেব।’
কুয়োমো এ সমর্থনকে নিজের প্রশংসা নয়, মামদানির বিরোধিতা হিসেবে দেখেন। তিনি বলেন, ‘তিনি আমাকে সমর্থন করছেন না, মামদানির বিরোধিতা করছেন।’
অন্যদিকে মামদানি বলেন, ‘ট্রাম্প ও তার মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন (ম্যাগা) আন্দোলনের কুয়োমোর প্রতি এই সমর্থন প্রমাণ করে, তারা মনে করে কুয়োমো ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য উপযুক্ত মেয়র, নিউইয়র্কের জন্য নয়।’
মামদানি ট্রাম্পের হুমকিকে ‘ভয় দেখানো’ বলে অভিহিত করেন। বলেন, ‘আমাদের এসব হুমকিকে গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। এগুলো নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, বরং রাজনৈতিক ভয় প্রদর্শনের কৌশল।’
সাংবাদিক জন সোফেল ও এমিলি মাইটলিসের মতে, ট্রাম্পের মূল ভয় হলো—মামদানির জয় ডেমোক্র্যাটদের নতুন করে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং জাতীয় রাজনীতিতে প্রগতিশীল ধারাকে শক্তিশালী করবে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের পূর্বাভাস
ট্রাম্পের মামদানি বিরোধীতা ইঙ্গিত দেয়, তার দ্বিতীয় মেয়াদে কীভাবে তিনি ‘ব্লু স্টেট’ বা ডেমোক্র্যাট-শাসিত রাজ্যগুলোকে চাপে রাখবেন।
রস বারকানের ভাষায়, ‘দুজনই নিজেদের দলের প্রচলিত কাঠামোর বাইরে উঠে আসা নেতা—ট্রাম্প ডান দিক থেকে, মামদানি বাম দিক থেকে। যদি মামদানি জয়ী হন তাহলে ফেডারেল তহবিল নিয়ে আইনি সংঘাত দেখা দিতে পারে।
শেষ পর্যন্ত, ট্রাম্পের জন্য এই লড়াই টিকে থাকার প্রশ্নে নেমে এসেছে। মামদানি কেবল এক প্রার্থী নন, বরং এক নতুন প্রগতিশীল তরঙ্গের প্রতীক, যাকে রুখতে ট্রাম্প দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই আক্রমণ তার অনিশ্চয়তার প্রকাশও। কারণ এক তরুণ, বৈচিত্র্যময় সমাজতান্ত্রিক নেতা তার শহরে জনসমর্থন পাচ্ছেন।
সিএনএন জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক সিটি ও ক্যালিফোর্নিয়ার নির্বাচনের প্রতি গভীর মনোযোগ দিচ্ছেন। এই নির্বাচনগুলো তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বড় রাজনৈতিক পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ট্রাম্প মনে করেন, এসব নির্বাচনের ফলাফল ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের পূর্বাভাস দেবে, যেখানে রিপাবলিকানদের কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি ২০১৮ সালের অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা অসাধারণ সাফল্য পেয়েছিলাম, কিন্তু কোনো কারণে মধ্যবর্তী নির্বাচনে হেরে যাই। এর কোনো অর্থ খুঁজে পাই না।‘
হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে রিপাবলিকান সিনেটরদের সতর্ক করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মধ্যবর্তী নির্বাচনে জয় পেতে হবে। নইলে আমরা যা কিছু করেছি, তার অনেক কিছুই উগ্র বামপন্থীরা বাতিল করে দেবে। ভাবুন তো, আমরা নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট মেয়র পেতে যাচ্ছি!’
একজন সিনিয়র উপদেষ্টা জানান, ট্রাম্প এই নির্বাচনে অতীতের মতো ভুল—যেমন তদন্ত বা অভিশংসন—এড়াতে ‘অত্যন্ত মনোযোগী ও সতর্ক’।
এই নির্বাচনী লড়াই চলছে একটি জাতীয় ‘নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণের প্রতিযোগিতা’র প্রেক্ষাপটে, যা ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশ থেকে শুরু হয়েছে। এতে টেক্সাসসহ কিছু রাজ্যে রিপাবলিকানরা আসন বাড়াতে পারে, তবে ডেমোক্র্যাটরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
শেষ পর্যন্ত, ট্রাম্পের জন্য এই লড়াই টিকে থাকার প্রশ্নে নেমে এসেছে। মামদানি কেবল এক প্রার্থী নন, বরং এক নতুন প্রগতিশীল তরঙ্গের প্রতীক, যাকে রুখতে ট্রাম্প দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এখন শুধু দেখার পালা—ভোট গণনা শেষে ট্রাম্পের হুমকি কি বাস্তবে রূপ নেয়, নাকি পরিবর্তনের ঢেউ নিউইয়র্ক থেকে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র আমেরিকায়।
তথ্যসূত্র: নিইইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, আল-জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান