leadT1ad

মিডিয়া হাউজের ওয়েব ও বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনায় নতুন নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৩৪
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণে মিডিয়া হাউজগুলোর ওয়েব ব্রাউজার ও বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনার (এডসেন্স সেটআপ) জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা, যা বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ভেটিং প্রক্রিয়ায় রয়েছে। অনুমোদনের পর এটি সব মিডিয়াকে সরবরাহ করা হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক সভা। এতে সভাপতির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে যৌথভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। ইতোমধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) হিসাব বন্ধ করা হয়েছে। জুয়ায় জড়িতদের শনাক্ত করে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ।

তিনি জানান, অনলাইন জুয়া বন্ধে মিডিয়া হাউসগুলোর ওয়েব ব্রাউজার ও বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি নির্দেশিকা এখন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ভেটিং প্রক্রিয়ায় রয়েছে। অনুমোদন শেষে এটি সব মিডিয়াকে সরবরাহ করা হবে। তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি থেকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মেইল পাঠানো হয়েছে, এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।’

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, ডিজিটাল বিজ্ঞাপনসংক্রান্ত গাইডলাইনও প্রস্তুত করা হয়েছে। অনুমোদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তিনি জানান, সরকার একটি কমন ডেটাবেজ তৈরির কাজ করছে, যেখানে সরকারি সংস্থা, অপারেটর ও প্ল্যাটফর্মগুলোর তথ্য সংরক্ষণ ও নজরদারি করা হবে।

তিনি বলেন, ‘যারা অনলাইন বেটিংয়ে জড়িত, তাদের ফোন নম্বরের ইন্টারনেট গতি সীমিত করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। সিম ও এমএফএসের ইকেওয়াইসি সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে।’

বিশেষ সহকারী আরও বলেন, জুয়া নিয়ন্ত্রণে সদস্যদের শনাক্ত করা, ট্রাফিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে লিংক ধীর করা এবং এমএফএস লেনদেন পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। ‘যাচাইয়ের পর এসব অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হবে, তবে ন্যায্যতা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে,’ বলেন তিনি।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী সভায় বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের পর সিম সংখ্যা ১০টিতে সীমিত করলে জুয়া প্রতিরোধ সহজ হবে। একই সঙ্গে জুয়ায় জড়িতদের শনাক্ত করাও জরুরি।

পেমেন্ট সিস্টেম এজেন্সির প্রতিনিধি জানান, সিম, মোবাইল নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সমন্বয় করা গেলে অনলাইন জুয়ার সমস্যা অনেকাংশে সমাধান সম্ভব। বিকাশের প্রতিনিধি জানান, গত দুই সপ্তাহে জুয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৯৭টি মোবাইল নম্বর বন্ধ করা হয়েছে এবং অনলাইন ট্র্যাকিংয়ের জন্য ক্রলিং ইঞ্জিন ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সভায় আরও প্রস্তাব করা হয়, অনলাইন স্ক্যাম ও জুয়া প্রতিরোধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মতো একটি বিশেষ সংস্থা গঠন এবং ক্রস-ডোমেইন মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার।

সভায় মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, আন্তর্জাতিক গেটওয়ে সার্ভিস, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত