সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধ দেশটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে ইতিমধ্যে এক কোটির বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সুদানি কর্মী, প্রবাসী ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে। বিশেষ করে দুবাইকে তারা আরব আমিরাতের ভূমিকার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করে শহরটিকে বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে #BoycottUAE ও #UAEOutOfSudan হ্যাশট্যাগে দুবাই ভ্রমণ, আমিরাতি পণ্য ব্যবহার ও সেদেশে বিনিয়োগ বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্দোলনটি শুধু অর্থনৈতিক চাপ নয়, বরং একটি নৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থান। আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে যে তারা যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) সহায়তা করছে।
সুদান সংঘাত: সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
এই যুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছে সুদানি সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আরএসএফ। সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফ-এর নেতৃত্বে আছেন জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো, যিনি হেমেতি নামেও পরিচিত। ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাত এখন জাতিগত সহিংসতা, দুর্ভিক্ষ ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে দারফুরে আরএসএফর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে, যা মূলত অ-আরব জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে পরিচালিত।
গত বছর তারা এল-ফাশের শহরটি দখল করে নেয়। ২০২৪ সালের মে মাস থেকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করে আসছিল, এল-ফাশেরেও গণহত্যা ঘটাবে তারা। বাস্তবেও সেটিই ঘটেছে। আরএসএফ যোদ্ধারা তাঁদের তৈরি করা নরক থেকে পালাতে চাওয়া সাধারণ মানুষদের গুলি করে হত্যা করেছে। তাঁরা ত্রাণকর্মীদের নির্যাতন করেছেন। গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের মতো করেই তাঁরা গণহত্যার ভিডিও করেছেন। তাঁদের হত্যার শিকার দুর্ভাগা মানুষের রক্তস্রোত এমনভাবে মাটিতে গড়িয়ে পড়েছে, যা স্যাটেলাইটের ছবি থেকেও দেখা যাচ্ছে।
আরএসএফের জন্ম হয়েছে এই শতাব্দীর প্রথম দশকে দারফুরের জঞ্জাওয়িদ নামের সশস্ত্র গোষ্ঠী থেকে। এরা একসময় সুদানের সেনাবাহিনীর অংশ ছিল। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি অগণতান্ত্রিক এবং বিপ্লববিরোধী শক্তি। তারা সুদানের অভিজাত সম্প্রদায়ের ধন-সম্পত্তি রক্ষার কাজ করত।
আরব আমিরাত এই যুদ্ধে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে আরএসএফকে সহায়তার অভিযোগ ওঠার পর। আরব আমিরাত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে তারা কেবল মানবিক সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আরএসএফের প্রধান সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সুদানের খনির সোনাগুলো দিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বাহিনী আরব আমিরাতের জন্য কাজ করছে। সুদানের মতো কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্পদে পূর্ণ একটি দেশে তিনি আরব আমিরাতের স্থায়ী উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।
এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ড্রোন হামলা পরিচালনা, ছদ্মনামে অস্ত্র সরবরাহ এবং আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত খনি থেকে উত্তোলিত সোনা পাচারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোম্পানিগুলো সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।
মিডল ইস্ট আইয়ের সাংবাদিক ও কলাম লেখক অস্কার রিকেট বলেন, এল-ফাশেরে যা ঘটেছে, তা সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়া সম্ভব হতো না। আরব আমিরাত সব সময় অস্বীকার করে এলেও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের সংঘাতে তারা সব সময় অস্ত্র ও অন্যান্য রসদ ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে।
সুদানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি ঘাঁটি রয়েছে। দক্ষিণ দারফুরের নিয়ালা ও এল-ফাশের থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের আল-মালহায়। এ ছাড়া আফ্রিকার অন্যান্য দেশ সোমালিয়ার বোসাসো, দক্ষিণ লিবিয়ার আল-কুফরা ও উগান্ডার কাজ্জানসি বিমানঘাঁটি থেকেও আরব আমিরাত তাদের অস্ত্র ও রসদ আরএসএফের কাছে পৌঁছে দেয়।
আরএসএফের প্রধান সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সুদানের খনির সোনাগুলো দিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বাহিনী আরব আমিরাতের জন্য কাজ করছে। সুদানের মতো কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্পদে পূর্ণ একটি দেশে তিনি আরব আমিরাতের স্থায়ী উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।
সুদানের লোহিত সাগরের উপকূল, উর্বর কৃষিজমি, যুবক যোদ্ধা—সব কিছুই আরব আমিরাতকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আরব আমিরাত চীন ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবকে ছাড়িয়ে প্রধান বহিরাগত শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ২০১৯ সালে গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থানে সুদানের স্বৈরশাসক ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, রক্তাক্ত দমন-পীড়ন চালিয়ে সেটাও নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে।
এতকিছু সত্ত্বেও পশ্চিমা রাজনীতিকেরা মাঝেমধ্যে হাত নেড়ে উদ্বেগ প্রকাশ ও কপাল ভাঁজ করে দুশ্চিন্তা প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই করছেন না। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর আরব আমিরাত আরএসএফের প্রতি গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফলে আরএসএফকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধে আবুধাবিকে কখনোই কার্যকর চাপ দেওয়া হয়নি। এতে যুদ্ধ শেষ কিংবা অন্তত বিরতির প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে যে সামরিক সরঞ্জাম আরব আমিরাত কিনছে, তা সুদানে ব্যবহার করা হয়েছে।
দুবাই আরব আমিরাতের ঐশ্বর্যের প্রতীক, যা সুদানের দুর্দশার সঙ্গে তীব্র বৈপরীত্য তৈরি করে। তাই ‘বয়কট দুবাই’ আরব আমিরাতের ১৮ বিলিয়ন ডলারের পর্যটন শিল্পে সরাসরি আঘাত হানতে পারে।
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ইব্রাহিম ঘালি ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলেন, ‘আরব আমিরাতের অস্বীকার এখন অর্থহীন। কারণ, স্যাটেলাইট চিত্রে তাদের বিমান যে অস্ত্র সরবরাহ করছে, তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এই বহিরাগত হস্তক্ষেপই লাখো মানুষের কষ্ট দীর্ঘায়িত করছে।’
দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রকাশিত ২০২৪ সালের আগস্টের এক মার্কিন কূটনৈতিক বার্তায় উল্লেখ করা হয়, আরব আমিরাতের কূটনীতিকরা ব্যক্তিগতভাবে অস্ত্র সরবরাহের কথা স্বীকার করলেও প্রকাশ্যে তা অস্বীকার করেছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক আকরাম সালহাব বলেন, ‘আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত খনি থেকে উত্তোলিত প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা দুবাইয়ের বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এই অর্থনৈতিক প্রবাহ বন্ধ করা গেলে সামরিক পদক্ষেপ ছাড়াই দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা সম্ভব।’
কেন দুবাইকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে?
দুবাই শুধু একটি পর্যটন নগরী নয়—এটি বহু সুদানি নাগরিকের জন্যও জীবিকার শেষ মাধ্যম। যুদ্ধের আগে প্রায় তিন লাখ সুদানি নাগরিক সেখানে বসবাস করতেন। তারা সেখানে কাজ করে দেশে অর্থ পাঠান, ব্যবসা করেন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন। দুবাইয়ের চাকরির সুযোগ, বিলাসবহুল কেনাকাটা ও করমুক্ত সুবিধা সুদানি পর্যটক ও বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করত। কিন্তু এই গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্কই এখন ‘বয়কট’ আন্দোলনের মূল কেন্দ্রবিন্দু।
প্রতীকীভাবেও দুবাই গুরুত্বপূর্ণ। দুবাই আরব আমিরাতের ঐশ্বর্যের প্রতীক, যা সুদানের দুর্দশার সঙ্গে তীব্র বৈপরীত্য তৈরি করে। তাই ‘বয়কট দুবাই’ আরব আমিরাতের ১৮ বিলিয়ন ডলারের পর্যটন শিল্পে সরাসরি আঘাত হানতে পারে।
সুদানি ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন তাঁরা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেন এবং আমিরাত ত্যাগ করে প্রতিবাদ জানান।
দুবাই ভ্রমণ না করা মানে অনেকের জন্য আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা না করা বা কর্মসংস্থান হারানোর ঝুঁকি নেওয়া। তবুও আন্দোলনকারীরা একে নৈতিক কর্তব্য হিসেবে দেখছেন।
একজন সুদানি কর্মী এক্সে লিখেছেন, ‘দুবাই গড়া হয়েছে আমাদের সোনা, আমাদের শ্রম, আর এখন আমাদের রক্ত দিয়ে। আমরা কেন এমন শহরে ছুটি কাটাব, যে শহর আমাদের গণহত্যা থেকে লাভ করছে?’
এ আন্দোলন তাই কেবল ভ্রমণ বর্জন নয়—এটি সুদানি জনগণের ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতার দাবি তুলে ধরার এক নতুন উপায়।
যুদ্ধ এখনো চলছে, আর দারফুরে আরএসএফ-এর অগ্রগতি প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ফেলেছে। এই প্রেক্ষাপটে বর্জন আন্দোলনকে শান্তি আলোচনার চাপ বাড়ানোর কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বর্জন আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি
সুদান বর্জন আন্দোলনটি ধীরে ধীরে গতি পায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার পর। গাজা যুদ্ধের কারণে সুদানের সংঘাত তুলনামূলকভাবে আন্তর্জাতিক মনোযোগ থেকে আড়ালে পড়ে। কিন্তু ২০২৩ সালের শেষের দিকে দারফুরে আরএসএফর অগ্রগতি ও একই সময় আরব আমিরাত-ইসরায়েল সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা অনেককে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ বা পরোক্ষ সংঘাতের অভিযোগ তুলতে উদ্বুদ্ধ করে।
২০২৪ সালের মে মাসে দুবাইয়ে বসবাসরত সুদানি প্রবাসীরা আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। এর ফলে বহু মানুষকে আটক ও বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু এই দমননীতি উল্টো ফল দেয়—বৈশ্বিকভাবে আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি বাড়ে।
সুদানি প্রফেশনালস অ্যাসোসিয়েশন (এসপিএ) ও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার প্রবাসী সংগঠনগুলো ইসরায়েলবিরোধী বিডিএস আন্দোলনের কৌশল অনুসরণ করে আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে সমন্বিত বর্জন কর্মসূচি শুরু করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এই আন্দোলনের প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে। #BoycottUAE হ্যাশট্যাগ আরবি ও ইংরেজি—উভয় ভাষাতেই ভাইরাল হয়। অনেকে আরএসএফ-এর নৃশংসতার ভিডিওর সঙ্গে দুবাইয়ের বিলাসবহুল বিজ্ঞাপন মিলিয়ে পোস্ট করেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে চেঞ্জ ডট ওআরজিতে শুরু হওয়া একটি অনলাইন আবেদন ইতোমধ্যে ৫০ হাজারের বেশি স্বাক্ষর পেয়েছে, যেখানে আরব আমিরাতের সুদান থেকে সরে যাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
বর্জন আন্দোলন নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে। আরব আমিরাতে থাকা সুদানি প্রবাসীরা প্রতিবছর প্রায় ৫০ কোটি ডলার দেশে পাঠান, যা তাদের পরিবারের জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ফলে বর্জন পুরোপুরি কার্যকর করা কঠিন। সমালোচকরা আশঙ্কা করছেন, এই পদক্ষেপ আরব আমিরাত-সুদান সম্পর্ক আরও খারাপ করতে পারে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি জটিল করতে পারে।
তবে কিছু ইতিবাচক ফলও দেখা যাচ্ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে চাপের মুখে এমিরেটস এয়ারলাইন খার্তুমগামী ফ্লাইট স্থগিত করে। দুবাইয়ের কিছু হোটেলেও সুদানি বুকিং কমেছে। আন্তর্জাতিকভাবে এটি ‘জনগণ-নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞার’ একটি উদাহরণ, যা ইয়েমেন থেকে ফিলিস্তিন পর্যন্ত বিভিন্ন সংঘাতে রাষ্ট্রকে নরম কূটনৈতিক চাপে রাখছে।
সুদানের ক্ষেত্রে এটি আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তার প্রতি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। আফ্রিকান ইউনিয়ন সাময়িকভাবে দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করলেও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
যুদ্ধ এখনো চলছে, আর দারফুরে আরএসএফ-এর অগ্রগতি প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ফেলেছে। এই প্রেক্ষাপটে বর্জন আন্দোলনকে শান্তি আলোচনার চাপ বাড়ানোর কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিদেশে থাকা সুদানি সম্প্রদায় ‘নো দুবাই দিওয়ালি’ ও বড়দিন উপলক্ষে ভ্রমণ বর্জনের নতুন প্রচারণা শুরু করেছে।
তাদের বার্তা স্পষ্ট—সুবিধার চেয়ে বিবেককে বেছে নাও। দুবাইয়ের আলোর ঝলকানির আড়ালে সুদানের অন্ধকার লুকানো থাকলে, বিশ্বের চোখ সেই দিকেই ফিরিয়ে আনতে হবে।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই, জাতিসংঘের প্রতিবেদন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা, দ্য ইন্টারসেপ্ট