যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের আর মাত্র দুই দিন বাকি। এখনো ৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জোহরান মামদানিই স্পষ্টভাবে এগিয়ে আছেন। সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে তাঁকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুয়োমো (সাবেক গভর্নর) এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়ার (গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেলসের প্রতিষ্ঠাতা) সঙ্গে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
তবে তার এগিয়ে থাকার ব্যবধান সেপ্টেম্বরের চেয়ে কিছুটা কমে এসেছে। সেপ্টেম্বরের জরিপে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে তিনি ১০ শতাংশের বেশি সমর্থনে এগিয়ে ছিলেন। এখন তা কমে ৬-১০ শতাংশে নেমে এসেছে।
সাফোক ইউনিভার্সিটির অক্টোবরের শেষ দিকের জরিপে মামদানি পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ সমর্থন, কুয়োমো ৩৪ শতাংশ এবং স্লিওয়া ১১ শতাংশ। অন্যদিকে, অ্যাটলাসইন্টেল জরিপে মামদানি ৪০ শতাংশ, কুয়োমো ৩৪ শতাংশ এবং স্লিওয়া ২৪ শতাংশ পেয়েছেন। ফক্স নিউজ (মামদানি ৪৭, কুয়োমো ৩১, স্লিওয়া ১৫ শতাংশ) এবং কুইনিপিয়াক (৪৩, ৩৩, ১৪ শতাংশ) জরিপও মামদানির এগিয়ে থাকার ইঙ্গিত দেয়।
তবে স্লিওয়াকে বাদ দিলে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মামদানি ও কুয়োমোর ব্যবধান কিছুটা কমে আসে (৫০ ও ৪২ শতাংশ)। বাজির বাজারে (যেমন পলিমার্কেট) তার জয়ের সম্ভাবনা শক্তিশালী হলেও, ‘ভূমিধস’ বা ৫০-৬০ শতাংশ ভোটে জয়ের সম্ভাবনা ৪৪ শতাংশ এবং তুলনামূলক কম ব্যবধানে (৪০-৫০ শতাংশ) জয়ের সম্ভাবনা ৪৯ শতাংশ হিসেবে ধরা হয়েছে।
মূলত নিউইয়র্কে নিবন্ধিত প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোটার ডেমোক্রেট হওয়ায় মামদানি সবচেয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হলে হবেন ১৯০৯ সালের পর সবচেয়ে কমবয়সী মেয়র, একই সঙ্গে প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র। এবার আগাম ভোটে অংশ নিয়েছেন ৫ লাখ ৮৪ হাজারেরও বেশি ভোটার, যা ২০২১ সালের তুলনায় চারগুণ বেশি। ভোট বেশি পড়লে তরুণ, প্রগতিশীল ও অভিবাসী ভোটারদের থেকে তিনি সুবিধা পেতে পারেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মামদানি গ্রীষ্মে যেখানে মাত্র ১৮ শতাংশ সমর্থন পেয়েছিলেন, এখন তা বেড়ে ৪৫ শতাংশ হয়েছে। তার জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় প্রচারণা ও জীবিকা-সংক্রান্ত ইস্যুতে মনোযোগী অবস্থান। তবে ইসলামবিদ্বেষ বেড়ে চলায় ও অভিজ্ঞতা-সংক্রান্ত সমালোচনার কারণে তিনি কিছুটা বিতর্কিতও হন। বিরোধীরা তাকে ইসলামপন্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তার জয়ের পথ খোলা, তবে অত বেশি সহজ নয়। এর জন্য দরকার ধারাবাহিক ভোটার উপস্থিতি ও বিতর্কিত বিষয়ের সঠিক মোকাবিলা। ২০২১ সাল থেকে তিনি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আইনসভার নির্বাচিত প্রতিনিধি। এ ছাড়া তিনি একজন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী হিসেবেও পরিচিত।
মামদানির সাফল্যের সূত্র: তৃণমূলের উত্থান ও প্রগতিশীল জনআন্দোলন
মামদানির জয়ের কৌশল নির্ভর করছে বহুমুখী ভোটারগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার ওপর—বিশেষ করে যাঁরা নিউইয়র্কের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে চলায় ক্ষুব্ধ। তিনি তার অভিবাসী পরিচয় ও প্রাণবন্ত প্রচারণাকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে চাচ্ছেন। তার ইশতেহারে রয়েছে সাহসী কিছু পদক্ষেপ—ভর্তুকিপ্রাপ্ত আবাসনে ভাড়া স্থগিত করা, বিনামূল্যে গণপরিবহন, সর্বজনীন শিশুসেবা, সরকারিভাবে পরিচালিত মুদি দোকান এবং স্বাস্থ্যসেবায় ৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি। এসব উদ্যোগ অর্থায়ন করা হবে কর্পোরেশন ও ধনীদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করে, যা থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার তোলা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এসব নীতি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয় এমন শহরে, যেখানে প্রায় ৪০ শতাংশ পরিবার বাড়তি বাড়ি ভাড়ার চাপের মধ্যে রয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, মামদানি প্রগতিশীল ভোটারদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ, ৩০ বছরের নিচে ভোটারদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ, কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ৫১ শতাংশ, হিস্পানিকদের মধ্যে ৫২ শতাংশ, বিদেশে জন্মগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬২ শতাংশ এবং মুসলিম ও হিন্দু ভোটারদের মধ্যেও ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন।
তাঁর সাফল্যের সূত্রের প্রধান দিকগুলো:
১. তৃণমূলের বিপুল অংশগ্রহণ ও তরুণদের সম্পৃক্ততা:
৯০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক তার প্রচারণায় কাজ করছেন। ১৩ হাজার আসনের স্টেডিয়ামে তার সমাবেশগুলো দর্শক-শ্রোতায় উপচে পড়ছে। একে ২০০৮ সালে ওবামার আইওয়া সাফল্যের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।
আইনপ্রণেতা জর্ডান রাইট বলেন, ‘তিনি তরুণদের সঙ্গে এমনভাবে কথা বলছেন যা আগে দেখা যায়নি।’ নিউইয়র্কের পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমানি উইলিয়ামস বলেন, ‘অনেকদিন পর এমন একজন মেয়র প্রার্থী পেলাম যিনি সত্যিই জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে ভাবছেন।’ ওবামা নিজেও তার প্রচারণার প্রশংসা করে বলেন, ‘তোমার প্রচারণা অনুপ্রেরণামূলক।’
২. কৌশলগত যোগাযোগ ও বহুমাত্রিক সমর্থন:
একসময় ‘বাইরের’ প্রার্থী হিসেবে পরিচিত মামদানি এখন ব্যবসায়ী মহলসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন। তিনি নিউইয়র্কের ৪০ জন নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন জুয়েলারি ডিজাইনার আলেক্সিস বিটার; তিনি বলেন, ‘তিনি দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী।’
এমনকি জেপি মরগ্যান সিইও জেমি ডিমনও নির্বাচনের পর সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। বার্নি স্যান্ডার্স, আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ, গভর্নর ক্যাথি হোকুল ও প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফ্রিসের সমর্থন তার রাজনৈতিক ভিত্তি আরও মজবুত করেছে। নিউইয়র্ক সিটি কম্পট্রোলার ব্র্যাড ল্যান্ডার বলেন, ‘তিনি এমন এক প্রার্থী যিনি সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
৩. ভোটারদের ব্যাপক আগ্রহ ও জনমিতিক শক্তি:
জরিপ সংস্থা ভিক্টরি ইনসাইটস জানিয়েছে, তাঁর ৭৫ শতাংশ সমর্থক ভোট দিতে অত্যন্ত উৎসাহী। ব্রুকলিনে ও ৪৫ বছরের নিচে নারীদের মধ্যে তার শক্ত অবস্থান রয়েছে। প্রতিনিধি রো খান্না বলেন, ‘নিউইয়র্ক এমন এক জায়গা যেখানে এখনো স্বপ্ন বাস্তব হতে পারে।’
তার এক সমর্থক আইনজীবী মাইলস অ্যাশটন বলেন, ‘আমি তাকে সমর্থন করি কারণ জীবনযাত্রার ব্যয় প্রতিনিয়ত বাড়ছে—আমরা সাশ্রয়ী শহর চাই।’ মামদানি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘এখন সময় এসেছে এমন এক গণতন্ত্র গড়ার, যা সাধারণ মানুষের বাস্তব প্রয়োজন পূরণে সক্ষম।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেরাল্ড এন হিল ও ক্যাথলিন থম্পসন হিলের মতে, তিনি যদি ৬০ শতাংশ ভোট না-ও পান, তবু ৫০ শতাংশ ছাড়ানো মানে হবে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাফল্য—এবং তা যথেষ্ট প্রভাবশালী জয় হিসেবেই গণ্য হবে।
মামদানির দুর্বল দিক: অভিজ্ঞতার অভাব, বিভাজন, ও কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা
জোহরান মামদানি শক্ত অবস্থানে থাকলেও তার কিছু দুর্বলতা জয়কে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে—বিশেষ করে যদি ভোটার উপস্থিতি কমে যায় বা বিরোধীদের আক্রমণ কার্যকর হয়। তার প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা সীমিত—মাত্র চার বছর ১০ মাস তিনি আইনসভার সদস্য ছিলেন। তার ৯ বিলিয়ন ডলারের উচ্চাভিলাষী কর্মসূচির জন্য অনুমোদন পাওয়া রাজনৈতিকভাবে কঠিন হবে। এছাড়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রশ্নে অবস্থান এবং অতীতে ‘ডিফান্ড দ্য পুলিশ’ বক্তব্য (যা এখন তিনি প্রত্যাহার করেছেন) অনেক ভোটারের কাছে বিতর্কিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ক্যাথলিক, ইহুদি ও বয়স্ক ভোটারদের মধ্যে তার সমর্থন কমছে। কুয়োমো এ সুযোগে মেয়র এরিক অ্যাডামসের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমর্থন পেয়েছেন এবং ‘সমাজতান্ত্রিক ভয়’ উসকে দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। চীনা-আমেরিকান পরিবারগুলোতেও প্রজন্মভেদে মতবিরোধ দেখা গেছে—বয়স্ক অভিবাসীরা তার সমাজতন্ত্রকে ‘অভিশাপ’ হিসেবে দেখছেন। কারণ তাঁরা সমাজতন্ত্র থেকে বাঁচতেই চীন থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।
তারঁ প্রধান দুর্বলতাগুলো হলো:
১. বেড়ে চলা ইসলামভীতি ও পরিচয়ভিত্তিক আক্রমণ:
প্রতিদ্বন্দ্বী কুয়োমো ও স্লিওয়া মামদানির মুসলিম পরিচয় এবং ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থানকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। স্লিওয়া তার বিরুদ্ধে ‘গ্লোবাল জিহাদ’ সমর্থনের অভিযোগ করেছেন, আর অ্যাডামস সতর্ক করেছেন ‘ইসলামী উগ্রবাদ’ নিয়ে। ১ হাজার ১০০-র বেশি রাবাই তার ‘জায়নবাদ-বিরোধী’ অবস্থানের নিন্দা করেছেন। তিনি একবার ফিলিস্তিনিদের পক্ষের ‘গ্লোবালাইজ দ্য ইনতিফাদা’ আন্দোলনের নিন্দা করতে অস্বীকৃতি জানান, যা ইহুদি ভোটারদের মধ্যে তার সমর্থন কমিয়েছে।
রেভারেন্ড আল শার্পটন বলেন, ‘এটি কুৎসিত ইসলামভীতি। ভোটে জিততে না পারলে ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করা ঠিক নয়।’ মুসলিম কমিউনিটি সংগঠক হাসান চৌধুরী বলেন, ‘নীরবতা মানে সহযোগিতা। আমাদের সম্প্রদায় আর নীরব থাকবে না।’ সাবেক কাউন্সিল সদস্য আই. দানিক মিলার জানান, ‘অনেকে আশঙ্কা করছেন, এই নির্বাচনের পরেও এর প্রভাব পড়তে পারে।’ হুমকির কারণে মামদানিকে পুলিশি সুরক্ষা নিতে হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন, ‘আমি ভুল করেছি। যতই ব্যাখ্যা দিই, তা যথেষ্ট নয়।’
২. প্রশাসনিক দক্ষতা ও আর্থিক বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন:
সমালোচকরা বলছেন, ১০০ বিলিয়ন ডলারের বাজেট পরিচালনার জন্য মামদানির অভিজ্ঞতা অপ্রতুল। ডেমোক্রেটিক কৌশলবিদ হাওয়ার্ড উলফসন বলেন, ‘জননিরাপত্তাই সাফল্যের মূল শর্ত।’ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার জেফরি গুরাল মন্তব্য করেন, ‘তিনি অনভিজ্ঞ, তার করনীতি ধনী নাগরিকদের শহর ছাড়তে বাধ্য করবে।’
কেটো ইনস্টিটিউট বলেছে, ‘তার ৯ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের হিসাব মিলছে না।’ প্রতিনিধি জোশ গটহাইমার তাকে ‘চরমপন্থী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘রিপাবলিকানরা তাকে জাতীয়ভাবে ভয় প্রদর্শনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করবে।’ অবসরপ্রাপ্ত স্কুলপ্রধান গ্রেগরি রোসিকোনি বলেন, ‘তার অনেক ভালো চিন্তা আছে, কিন্তু তা বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা নেই।’
৩. সংকুচিত জরিপ ও বিরোধী জোটের সম্ভাবনা:
জরিপে মামদানির এগিয়ে থাকার ব্যবধান অর্ধেকে নেমে এসেছে। জরিপে দেখা গেছে, স্লিওয়ার সমর্থকদের ৩৬ শতাংশ দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে কুয়োমোকে বেছে নিতে পারেন—যা ভোটের ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। রিপাবলিকানদের এক অভ্যন্তরীণ বার্তায় সতর্ক করে বলা হয়েছে, ‘এটি শুধু এক শহরের নির্বাচন নয়, বরং গোটা জাতীয় রাজনীতিতে সমাজতন্ত্রের প্রসারের প্রতীক।’ মামদানি জিতে গেলে দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে বলে ভয় দেখাচ্ছে রিপাবলিকানরা।
চীনা অভিবাসী সং ইয়িং বলেন, ‘আমরা সমাজতন্ত্রের অভিশাপ থেকে বেঁচে এসেছি, তাই তরুণরা কেন এটিকে সমর্থন করছে তা বুঝতে পারি না।’ স্লিওয়া কটাক্ষ করে বলেন, ‘জোহরান, তোমার জীবনবৃত্তান্ত একটা ককটেল ন্যাপকিনেই লেখা যাবে।’
সারসংক্ষেপে বলা যায়, মামদানি জিততে পারেন যদি তার সমর্থকরা ব্যাপকভাবে ভোট দেন। তবে কুয়োমো অপ্রত্যাশিতভাবে জয়ী হতে পারেন, যদি মাঝারি ভোটারদের আস্থা নষ্ট হয় বা স্লিওয়ার ভোট তাঁর সমর্থনে একত্রিত হয়।
তথ্যসূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, সিবিএস নিউজ, ফক্স নিউজ, নিউজ উইক, নিউ ইয়র্ক পোস্ট