যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির নাগরিকরা আজ তাদের নতুন মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। এবারের নির্বাচন অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। এতে একদিকে প্রগতিশীল আদর্শ, অন্যদিকে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠিত রাজনীতির প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাচ্ছে। জাতীয় রাজনীতিতেও উত্তেজনা প্রবল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন—ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জিতলে শহরটির জন্য ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেবেন।
এই নির্বাচনে ৪৭ লাখের বেশি নিবন্ধিত ভোটার অংশ নিচ্ছেন। ‘ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট’ পদ্ধতিতে সর্বাধিক ভোট পাওয়া প্রার্থী সরাসরি বিজয়ী হবেন, কোনো রানঅফ হবে না। এবার আগাম ভোটগ্রহণ রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি ভোট পড়েছে, যা ২০২১ সালের চেয়ে চারগুণ বেশি। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মতাদর্শিক বিভেদের কারণে এবারে ভোটার উপস্থিতি ইতিহাস গড়তে পারে।
দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমিত হয়েছে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে। এই নির্বাচন এখন জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে—বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অভ্যন্তরীণ বিভাজনের প্রতীক হিসেবে।
প্রধান প্রার্থীরা
১. জোহরান মামদানি (ডেমোক্র্যাট):
৩৪ বছর বয়সী কুইন্সের স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান এবং স্বঘোষিত গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী। তিনি ডেমোক্র্যাট প্রাইমারিতে অপ্রত্যাশিতভাবে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হন, যা দলের মূলধারার প্রার্থীদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল। উগান্ডায় ভারতীয় অভিভাবকের ঘরে জন্ম নেওয়া মামদানি শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ‘ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকা’-র সদস্য হিসেবে তাঁর রাজনীতিতে উত্থান ঘটান।
তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মূল বিষয় হলো জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো—সবার জন্য বিনামূল্যে শিশুসেবা, ভাড়া-মুক্ত বাস সেবা, সরকারনিয়ন্ত্রিত ১০ লাখ অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া স্থগিত এবং সরকারি আবাসনে বিনিয়োগ বাড়ানো। মামদানি তরুণ, অভিবাসী ও শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীকে উজ্জীবিত করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রচারাভিযানকে অর্থ-নির্ভর রাজনীতির বিরুদ্ধে এক সংগ্রাম হিসেবে দেখছেন। নির্বাচনের আগের রাতে তিনি অ্যাস্টোরিয়া, কুইন্সে এক লাখের বেশি স্বেচ্ছাসেবীকে উৎসাহিত করে বলেন—‘শ্রমজীবী মানুষের শহর পুনর্গঠনে শেষ অবধি লড়ে যেতে হবে।’
মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই মামদানি এক প্রান্তিক প্রার্থী থেকে জাতীয় পর্যায়ের আলোচিত মুখে পরিণত হয়েছেন। গত জুন মাসের দলীয় নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হিসেবে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের ভোটার উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি। রক্ষণশীলদের মধ্যেও তিনি বেশ জনপ্রিয়।
২. অ্যান্ড্রু কুওমো (স্বতন্ত্র):
৬৭ বছর বয়সী সাবেক নিউইয়র্ক গভর্নর ও প্রখ্যাত রাজনীতিক মারিও কুওমোর পুত্র। ডেমোক্র্যাট প্রাইমারিতে দ্বিতীয় স্থান পাওয়ার পর তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা, অবকাঠামো সংস্কার ও ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরছেন। তার মূল প্রতিশ্রুতি—জননিরাপত্তা জোরদার করা, অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ফেডারেল হস্তক্ষেপ রোধ করা।
তবে তার প্রার্থিতা বিতর্কমুক্ত নয়। ২০২১ সালের যৌন হয়রানির অভিযোগে গভর্নরের পদত্যাগ ও মহামারিকালে বৃদ্ধনিবাসে মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করার অভিযোগ এখনো তাকে তাড়া করছে। নির্বাচনের আগের দিন তিনি ব্রঙ্কস, ম্যানহাটন ও ব্রুকলিনে প্রচারণা চালান। তিনি রক্ষণশীল ভোটারদের আহ্বান জানান— ‘সোসালিস্ট শহর’ ঠেকাতে রিপাবলিকানের পরিবর্তে তাকে ভোট দিতে।
৩. কার্টিস স্লিওয়া (রিপাবলিকান):
৭১ বছর বয়সী ‘গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেলস’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ২০২১ সালের রিপাবলিকান প্রার্থী। তিনি একজন জনপ্রিয় রেডিও উপস্থাপক এবং জননিরাপত্তা ইস্যুতে কড়া অবস্থানের জন্য পরিচিত। স্লিওয়া এনওয়াইপিডির তহবিল বাড়ানো ও অপরাধ দমনে কঠোর নীতি নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তবে তার সমর্থন সীমিত। ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রকাশ্যে বলেন, স্লিওয়াকে ভোট দেওয়া মানে মামদানির জয়ের সম্ভাবনা বাড়ানো। বর্তমানে তার জনপ্রিয়তা মাঝামাঝি স্তরে—প্রায় ১৫ থেকে ১৭ শতাংশের মধ্যে। এতে রক্ষণশীল ভোটারদের একটি অংশ কুওমোর পক্ষে সরে যেতে পারে।
জরিপ ও পূর্বাভাস
বেশিরভাগ জরিপে মামদানি স্পষ্টভাবে এগিয়ে আছেন, যদিও শেষ মুহূর্তে কুওমোর সমর্থন কিছুটা বেড়েছে। ৩ নভেম্বরের রিয়েলক্লিয়ারপলিটিক্স গড় হিসাবে মামদানির সমর্থন ৪৫.৮ শতাংশ, কুওমোর ৩১.১ শতাংশ এবং স্লিওয়ার ১৭.৩ শতাংশ। অর্থাৎ মামদানি এগিয়ে আছেন ১৪.৭ শতাংশ পয়েন্টে। কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ অক্টোবরের জরিপে মামদানি পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ, কুওমো ৩৩ শতাংশ ও স্লিওয়া ১৪ শতাংশ।
তবে ৩ নভেম্বর নিউইয়র্ক পোস্ট-এর জরিপে দেখা গেছে, সরাসরি মামদানি-কুওমো মুখোমুখি হলে কুওমো এগিয়ে থাকবেন ৬.৬ শতাংশে। এই ফলাফলকে অনেক বিশ্লেষক ব্যতিক্রম বা ‘আউটলায়ার’ হিসেবে দেখছেন, কারণ অন্যান্য জরিপে মামদানি স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছেন।
এখনো ৬-১০ শতাংশ ভোটার অনিশ্চিত, বিশেষত তারা যারা মামদানির অতিমাত্রায় প্রগতিশীল নীতিতে দ্বিধান্বিত। বেটিং মার্কেট ‘পলিমার্কেট’-এর হিসাব অনুযায়ী, ৪ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত মামদানির জয়ের সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন—প্রগতিশীল ভোটারদের উপস্থিতি বেশি হলে মামদানি পাঁচটি বরোর মধ্যে চারটিতে জয় পেতে পারেন এবং মোট ভোটের ৫২ শতাংশ অর্জন করতে পারেন। তবে কুওমোর শক্তিশালী অবস্থান ব্রুকলিন ও প্রবীণ ভোটারদের (৫০–৮০ বছর বয়সী) মধ্যে ভোটের ব্যবধান কমাতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিভাজন স্পষ্ট। ‘এক্স’-এ মামদানির সমর্থকরা বলছেন—অভিবাসী ও তরুণদের জোটই তার আসল শক্তি। অন্যদিকে কুওমোর সমর্থকেরা দাবি করছেন—নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের ‘শেষ মুহূর্তের ঢেউ’ ফলাফল বদলে দিতে পারে। কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মামদানি জিতলে ৭ লাখের বেশি নাগরিক শহর ছেড়ে চলে যাবেন—যা তার প্রগতিশীল নীতির ভয়াবহ প্রভাবের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নির্বাচনের মূল ইস্যুসমূহ
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের প্রচারণা মূলত জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়ের পর মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক চাপ এই সংকটকে আরও তীব্র করেছে।
বাসস্থান ও জীবনযাত্রার ব্যয়:
মামদানির ভাড়া স্থগিত ও সরকারি আবাসন বিনিয়োগের প্রস্তাব শহরের প্রায় ১০ লাখ ভাড়াটিয়ার সমস্যা সমাধানে লক্ষ্য রাখে। অন্যদিকে কুওমো সতর্ক করছেন, সুষম বাজেট ছাড়া এমন উদ্যোগ শহরকে আর্থিক বিপর্যয়ে ফেলবে।
পরিবহন ও সরকারি সেবা:
মামদানির বিনামূল্যে বাস সার্ভিস ও শিশুসেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা শ্রমজীবী পরিবারগুলোর কাছে জনপ্রিয়। তবে কুওমো ও ট্রাম্প এসব প্রস্তাবকে ‘ভেনেজুয়েলা ধাঁচের সমাজতন্ত্র’ বলে সমালোচনা করছেন।
জননিরাপত্তা ও ফেডারেল সম্পর্ক:
অপরাধ এখনো বড় বিতর্কের বিষয়। কুওমো এনওয়াইপিডির সক্ষমতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং ট্রাম্প-বিরোধী অবস্থানের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন।
ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মামদানি জিতলে নিউইয়র্ক সিটির জন্য বার্ষিক ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল বন্ধ করবেন, যা শিক্ষা, আবাসন ও পরিবহনে ব্যয় হয়।
এমনকি প্রয়োজনে জাতীয় গার্ড মোতায়েনের হুমকিও দিয়েছেন। মামদানি এসব হুমকিকে ‘চাঁদাবাজি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং অভিবাসী সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
মতাদর্শ ও বিতর্ক:
ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে আক্রমণ করছেন। মামদানি জবাবে নিজেকে স্ক্যান্ডিনেভীয় সামাজিক গণতন্ত্রের অনুসারী বলে উল্লেখ করছেন। অন্যদিকে কুওমোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ও মহামারি ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির সমালোচনা রয়ে গেছে, যদিও তার সমর্থকেরা তার প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাকে বড় সম্পদ হিসেবে দেখছেন।
সমর্থন ও বিতর্ক
মামদানি পেয়েছেন তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠন, ইউনিয়ন ও প্রগতিশীল নেতাদের সমর্থন। বিশেষ করে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ প্রকাশ্যে তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
কুওমোর পক্ষে শেষ সময়ে সমর্থন এসেছে ট্রাম্পের কাছ থেকে, যিনি বলেছেন—‘একজন খারাপ ডেমোক্র্যাটও কমিউনিস্টের চেয়ে ভালো।’ ইলন মাস্কও তাকে সমর্থন দিয়েছেন, যাতে রক্ষণশীল ভোটাররা স্লিওয়ার পরিবর্তে কুওমোর দিকে ঝুঁকে পড়েন।
বিতর্কের মধ্যে রয়েছে ট্রাম্পের ফেডারেল তহবিল বন্ধের হুমকি এবং কুওমোর প্রাইমারি পরাজয়ের পর স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে লড়ার সিদ্ধান্ত। নানা কেলেঙ্কারিতে ক্লান্ত ভোটারদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, বিশেষত মুসলিম ও বাংলাদেশি ভোটারদের মধ্যে। তারা মামদানির ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থানকে সমর্থন জানাচ্ছেন।
ভোটগ্রহণ ও ব্যবস্থা
ভোটকেন্দ্রগুলো স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ডাকযোগে ভোটের কারণে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় দেরি হতে পারে। ২০২১ সালের তুলনায় এবারে ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান ভোটার গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কুইন্স ও ব্রুকলিনের প্রগতিশীলরা মামদানির শক্ত ঘাঁটি, আর ম্যানহাটন ও ব্রঙ্কসের মধ্যপন্থী ও প্রবীণ ভোটাররা কুওমোর প্রতি ঝুঁকছেন।
সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে ট্রাম্পের উস্কানিমূলক বক্তব্য ও আবহাওয়ার কথা (যদিও দিনটি শীতল ও পরিষ্কার থাকার পূর্বাভাস রয়েছে) উল্লেখ করা হচ্ছে।
সম্ভাব্য ফলাফল ও তাৎপর্য
মামদানি জয়ী হলে এটি হবে নিউইয়র্ক সিটির রাজনীতিতে ঐতিহাসিক এক প্রগতিশীল মোড়। এতে ‘ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকা’-র প্রভাব পরীক্ষা হবে এবং ফেডারেল সরকারের সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কাও বাড়বে।
অন্যদিকে কুওমোর অপ্রত্যাশিত জয় তার রাজনৈতিক জীবন পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে মধ্যপন্থায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
যে-ই জয়ী হোন, তার দায়িত্ব হবে ১১২ বিলিয়ন ডলারের বাজেট পরিচালনা, ৮৩ লাখ বাসিন্দার সেবা নিশ্চিত করা এবং ২০২৪ পরবর্তী পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া।
এক এক্স ব্যবহারকারীর ভাষায়, ‘মামদানি বিভিন্ন শ্রেণি ও জাতিগোষ্ঠীকে একত্রিত করে নিশ্চিত জয় পাবেন’, যদিও কুওমোর স্থিতিশীল অবস্থান প্রতিযোগিতাকে এখনও উত্তেজনাপূর্ণ রাখছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম দিকের ফলাফলে ব্রুকলিন ও কুইন্সের ভোটই বিজয়ের ইঙ্গিত দেবে।
এই নির্বাচন শুধু নিউইয়র্কের নয়—এটি মার্কিন নগর রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণের প্রতীক।
নিউইয়র্কে চার বছর পরপর মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। নিউইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল শহর। ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত এ শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৮৫ লাখ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করেন ১১ হাজার ৩১৪ জন করে। সে হিসাবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর। দেশটির পূর্ব উপকূলে অবস্থিত এই নগর পাঁচটি বরো বা প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত। এগুলো হলো ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, ম্যানহাটান, কুইন্স ও স্টেটেন আইল্যান্ড। এগুলো কাউন্টির সমতুল্য প্রশাসনিক বিভাগ হিসেবে কাজ করে।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি, সিএনএন