.png)

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে কমিশনের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসবে কমিশন।

‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে’ এই সনদ শুরু হয়েছে। এতে সাতটি সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার করা হয়েছে—

জুলাই সনদ প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দল। জুলাই সনদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের যোগাযোগ, সংলাপ বা মতামত নেওয়া হয়নি তাদের থেকে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলনে অংশ নেওয়া কয়েকটি রাজনৈতিক দলও এই প্রক্রিয়ার বাইরে ছিল বলে জানা গেছে। তবে, ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের

অনুষ্ঠানে অংশ না নিলেও পরবর্তী প্রক্রিয়ায় এনসিপি অংশ নেবে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বএলন, 'তবে ঐকমত্য কমিশন যেহেতু সময় বৃদ্ধি করেছে। আমরা ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে আমাদের অবস্থান তুলে ধরবো। দাবি পূরণ হলে পরবর্তীতে স্বাক্ষর করবে এনসিপি।'

পরবর্তীতে স্বাক্ষরের সুবিধা রেখেই জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে এই স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে আলোচনায় শরিক দল কতদিন সময় পেতে তা জানায়নি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, আলোচনায় অংশ নেওয়া সব দলই স্বাক্ষরের বিষয়টি বিবেচনায় নেবে এবং স্বাক্ষর অনুষ্ঠ

জুলাই সনদে সই অনুষ্ঠানের একদিন বাকি থাকলেও গণভোট এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো।

প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৫ অক্টোবর বুধবারের পরিবর্তে ১৭ অক্টোবর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের গণভোটের বিষয়ে একমত হলেও ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে একটি ‘প্যাকেজ’ প্রস্তাব করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে আনা এবং একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।

আবারও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্যের মধ্যেই আগামী শনিবার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় হবেন বলে আশা করছেন করছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের জানান, তারা বাস্তবায়

জুলাই সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে চারটি মূল বিকল্প সুপারিশ পেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষমতা কমিশনের নেই এবং কমিশন কোনো কিছু জোর করে চাপিয়ে দেবে না। তিনি বলেন, কমিশন কেবল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারকে সুপারিশ করতে পারে।

বাংলাদেশের রাজনীতি বর্তমানে এক সংকটময় পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নসহ বেশ কিছু সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ এবং সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।

এখন পর্যন্ত মোট ২৬টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ পর্যালোচনা করে এর ওপর নিজেদের মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বরাবর জমা দিয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বেলা ১টা পর্যন্ত ২৫তম ও ২৬তম দল হিসেবে কমিশনের কাছে মতামত জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও নাগরিক ঐক্য।