ডাকসু নির্বাচন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিউমার্কেট এলাকায় ভিড় করেছে মানুষ। তাঁরা ভিন্ন দলের ডেকে আনা লোক বলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রদল ও শিবির।
ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ ভোট ফর চেঞ্জ’ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা অভিযোগ করেছেন, অন্য প্যানেলের প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও তাঁকে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনে প্যানেলগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এই প্যানেল গঠিত হয়েছে। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীলতার আদর্শ ধারণ করে সমতাভিত্তিক ও দখলদারিত্বমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার কথা বলছেন।
ডাকসু নির্বাচন
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। আর স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭২ সালে। ফলে ওই নির্বাচন এবং ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি ছাত্রশিবির। এর বাইরে পাঁচটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে সংগঠনটি।
ডাকসু নির্বাচন
প্রথমে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের ফেসবুক আইডি ডিজেবল হওয়ার খবর আসে। তাঁর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টটি একবার পুনরুদ্ধার করা গেলেও, দুপুরে সেটি আবারও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
ডাকসু নির্বাচন
প্রার্থীরা বলছেন, ডাকসুর যে সব প্যানেলের প্রার্থীদের অর্থের যোগান ভালো তাঁরা ভোটের বিনিময়ে এই খাবার খাওয়াচ্ছে। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। তবে এ নিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ডাকসু ইশতেহার ০২
আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এ নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়েছে সারাদেশে। এবারের ভোটযুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে স্ট্রিম-এর বিশেষ আয়োজন। প্রতিনিধিত্বশীল প্যানেলগুলোর ইশতেহার পর্যালোচনা করে এখানে থাকছে কী আছে কোন প্যানেলের ইশতেহারে।
ডাকসু ইশতেহার ০১
আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এ নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়েছে সারাদেশে। এবারের ভোটযুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে স্ট্রিম-এর বিশেষ আয়োজন। প্রতিনিধিত্বশীল প্যানেলগুলোর ইশতেহার পর্যালোচনা করে এখানে থাকছে কী আছে কোন প্যানেলের ইশতেহারে।
আগামীকাল ভোটগ্রহণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর। ভোটে মোট ৯টি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিশ্লেষকদের মতে, এবারের ডাকসু নির্বাচন বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি এবং জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি মাইলফলক হতে যাচ্ছে।
আজ সোমবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া অন্য কেউ বৈধ বা লাইসেন্স করা অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। এই নিয়ম অমান্য করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ভোটারদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ব্যাগ, মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ, যেকোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, পানির বোতল ও তরল জাতীয় কোনো পদার্থ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।
ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শেখ নূর উদ্দিন আবির, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নাফিউল ইসলাম জীবন ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহিন বিশ্বাস এষা।
ডাকসু নির্বাচন
ছাত্রদলের প্রার্থীরা এই শপথ ধারণ করে বলে শপথে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে প্রত্যেকের জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ কর্মকান্ডের মাধ্যমে শপথ বাস্তবায়ন করা হবে।
ডাকসু নির্বাচনে বুথের সংখ্যা ৭১০ থেকে বাড়িয়ে ৮১০টি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শুরুতে বুথের সংখ্যা ছিল ৫০০টি। গত ৩০ আগস্ট সে সংখ্যা বাড়িয়ে ৭১০ করা হয়।
গতকাল বুধবার এসব পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, রসায়ন বিভাগের ভবন ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের দ্বিতীয় তলার দেয়ালের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।