স্ট্রিম প্রতিবেদক
গত ১৩ মাসে (সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫) দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন অনুসারে, এই সময়ে কমপক্ষে ১ হাজার ৪৭টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৬০ জন নিহত এবং ৮ হাজার ৫০ জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এইচআরএসএস-এর নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ইজাজুল ইসলাম বলেন, এই সময়ে গুম ও ক্রসফায়ারের মতো ঘটনা না ঘটলেও রাজনৈতিক সহিংসতা, গণপিটুনিতে হত্যা, নারী নিপীড়ন, ধর্ষণ, মাজারে হামলা-ভাঙচুর এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাশাপাশি বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু, শ্রমিকদের ওপর হামলা, সভা-সমাবেশে বাধা এবং চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যার মতো অপরাধ জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংগঠনটি বাংলাদেশের ১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ এবং নিজেদের সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
রাজনৈতিক সহিংসতার পরিসংখ্যান
এইচআরএসএস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশিরভাগ সহিংসতা ঘটেছে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার, প্রতিশোধ, দলীয় কমিটি গঠন, চাঁদাবাজি এবং বিভিন্ন স্থাপনা দখলকে কেন্দ্র করে।
নিহত ১৬০ জনের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ১০৪ জন, আওয়ামী লীগের ৩৮ জন, জামায়াতে ইসলামীর ৩ জন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ১ জন, ইউপিডিএফের ১০ জন এবং ৪ জন রাজনৈতিক পরিচয়হীন ব্যক্তি রয়েছেন, যার মধ্যে একজন নারী।
সহিংসতার ঘটনাগুলোর মধ্যে ৮৮৮টিই ঘটেছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল অথবা দলটির সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সংঘাতকে কেন্দ্র করে। প্রতিবেদন অনুসারে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৫৭৭টি ঘটনায় ৮৮ জন নিহত ও ৫,৩৩৭ জন আহত হয়েছেন। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ২২১টি সংঘর্ষে ৩৪ জন নিহত ও ১,১৪১ জন আহত হন। এছাড়া, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ৫১টি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ৪১১ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বিএনপি ও এনসিপি’র মধ্যে ১৮টি সংঘর্ষে ১৪০ জন আহত, আওয়ামী লীগ ও এনসিপি’র সংঘর্ষে ২০টি ঘটনায় ১ জন নিহত ও ৫৬ জন আহত, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের সংঘর্ষে ১১টি ঘটনায় ২ জন নিহত ও ১৩ জন আহত এবং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ২৪টি ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া, এনসিপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ১৬টি ঘটনায় ৬২ জন এবং জামায়াতের কোন্দলে ১টি ঘটনায় ৪ জন আহত হন।
জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে ৪টি সংঘর্ষে ৩৩ জন এবং পুলিশের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিভিন্ন দলের মধ্যে অন্যান্য ৮টি সংঘর্ষে ২১ জন নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন।
ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সহিংসতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে ১১টি সংঘর্ষে ৮৬ জন আহত হয়েছেন। ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৩৮টি ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৩২০ জন আহত হন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সরাসরি দলীয় সংঘর্ষের বাইরেও সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের হাতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর অন্তত ১৭১টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় ১২০ জন নিহত এবং দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এসব সহিংসতায় ৭ হাজারেরও বেশি বাড়ি-ঘর, রাজনৈতিক কার্যালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানানো হয়।
বিগত বছরগুলোর সঙ্গে তুলনা
এইচআরএসএস বিগত কয়েক বছরের রাজনৈতিক সহিংসতার পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে প্রাণহানির সংখ্যা আগের বছরগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে।
সংগঠনটির তথ্যমতে, ২০২১ সালে ৪৬০টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৮২ জন নিহত ও ৪,৩৫২ জন আহত হয়েছিলেন। ২০২২ সালে ৭৫৮টি ঘটনায় ৯২ জন নিহত ও ৭,৭৮৯ জন আহত হন। ২০২৩ সালে ৯২১টি ঘটনায় ৯৬ জন নিহত এবং ৯,২১৯ জন আহত হয়েছিলেন, যার অধিকাংশই ছিল তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পাল্টা কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষ। তুলনায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গত ১৩ মাসে ১০৪৭টি ঘটনায় ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৩ মাসে (সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫) দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন অনুসারে, এই সময়ে কমপক্ষে ১ হাজার ৪৭টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৬০ জন নিহত এবং ৮ হাজার ৫০ জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এইচআরএসএস-এর নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ইজাজুল ইসলাম বলেন, এই সময়ে গুম ও ক্রসফায়ারের মতো ঘটনা না ঘটলেও রাজনৈতিক সহিংসতা, গণপিটুনিতে হত্যা, নারী নিপীড়ন, ধর্ষণ, মাজারে হামলা-ভাঙচুর এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাশাপাশি বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু, শ্রমিকদের ওপর হামলা, সভা-সমাবেশে বাধা এবং চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যার মতো অপরাধ জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংগঠনটি বাংলাদেশের ১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ এবং নিজেদের সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
রাজনৈতিক সহিংসতার পরিসংখ্যান
এইচআরএসএস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশিরভাগ সহিংসতা ঘটেছে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার, প্রতিশোধ, দলীয় কমিটি গঠন, চাঁদাবাজি এবং বিভিন্ন স্থাপনা দখলকে কেন্দ্র করে।
নিহত ১৬০ জনের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ১০৪ জন, আওয়ামী লীগের ৩৮ জন, জামায়াতে ইসলামীর ৩ জন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ১ জন, ইউপিডিএফের ১০ জন এবং ৪ জন রাজনৈতিক পরিচয়হীন ব্যক্তি রয়েছেন, যার মধ্যে একজন নারী।
সহিংসতার ঘটনাগুলোর মধ্যে ৮৮৮টিই ঘটেছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল অথবা দলটির সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সংঘাতকে কেন্দ্র করে। প্রতিবেদন অনুসারে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৫৭৭টি ঘটনায় ৮৮ জন নিহত ও ৫,৩৩৭ জন আহত হয়েছেন। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ২২১টি সংঘর্ষে ৩৪ জন নিহত ও ১,১৪১ জন আহত হন। এছাড়া, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ৫১টি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ৪১১ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বিএনপি ও এনসিপি’র মধ্যে ১৮টি সংঘর্ষে ১৪০ জন আহত, আওয়ামী লীগ ও এনসিপি’র সংঘর্ষে ২০টি ঘটনায় ১ জন নিহত ও ৫৬ জন আহত, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের সংঘর্ষে ১১টি ঘটনায় ২ জন নিহত ও ১৩ জন আহত এবং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ২৪টি ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া, এনসিপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ১৬টি ঘটনায় ৬২ জন এবং জামায়াতের কোন্দলে ১টি ঘটনায় ৪ জন আহত হন।
জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে ৪টি সংঘর্ষে ৩৩ জন এবং পুলিশের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিভিন্ন দলের মধ্যে অন্যান্য ৮টি সংঘর্ষে ২১ জন নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন।
ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সহিংসতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে ১১টি সংঘর্ষে ৮৬ জন আহত হয়েছেন। ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৩৮টি ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৩২০ জন আহত হন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সরাসরি দলীয় সংঘর্ষের বাইরেও সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের হাতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর অন্তত ১৭১টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় ১২০ জন নিহত এবং দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এসব সহিংসতায় ৭ হাজারেরও বেশি বাড়ি-ঘর, রাজনৈতিক কার্যালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানানো হয়।
বিগত বছরগুলোর সঙ্গে তুলনা
এইচআরএসএস বিগত কয়েক বছরের রাজনৈতিক সহিংসতার পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে প্রাণহানির সংখ্যা আগের বছরগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে।
সংগঠনটির তথ্যমতে, ২০২১ সালে ৪৬০টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৮২ জন নিহত ও ৪,৩৫২ জন আহত হয়েছিলেন। ২০২২ সালে ৭৫৮টি ঘটনায় ৯২ জন নিহত ও ৭,৭৮৯ জন আহত হন। ২০২৩ সালে ৯২১টি ঘটনায় ৯৬ জন নিহত এবং ৯,২১৯ জন আহত হয়েছিলেন, যার অধিকাংশই ছিল তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পাল্টা কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষ। তুলনায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গত ১৩ মাসে ১০৪৭টি ঘটনায় ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পড়াশোনা করতে এসে মৌলভী বুধপাড়াতেই থিতু হয়েছেন আবদুল ওহাব সোহেল। এ এলাকাতেই বিয়ে করেছেন। তিনি ছিলেন রাবি শিবিরের সেক্রেটারিয়েট মেম্বার। পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীর মতিহার থানার আমির হয়েছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনারদের একজন একটি রাজনৈতিক দলের মতো করে কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
৮ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
৯ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ঘিরে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ অভিযোগ করেছে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের কারণে তারা আজকের (১৪ অক্টোবর) নির্ধারিত প্রজেকশন মিটিং স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে