দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ নেতারা। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বেলা ১১টায় রাজধানীর ভাটারায় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দলের সব নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলসহ নির্বাহী পরিষদে
চলমান সংকটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে দফায় দফায় জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন তিনি।
আগে একটা গ্রুপ চাঁদাবাজি করতো, এখন আরেকটা গ্রুপ করছে অভিযোগ করে জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দখলদারদের বিপক্ষে কোনো ভূমিকা নিয়েছে কিনা, আমার জানা নেই।
বাংলাদেশের রাজনীতি বর্তমানে এক সংকটময় পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নসহ বেশ কিছু সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ এবং সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
দর্শকসারি থেকে প্রতিবাদ জানানো ওই বয়স্ক ব্যক্তিকে সম্বোধন করে এরপর ডা. তাহের বলেন, ‘আমার সম্মানিত ভাই যেটা বলেছেন, আমি আপনাকে বা সব ডাক্তারকে বোঝাইনি। তারা টাকা নেয় বলি নাই কিন্তু। আপনি ভুল বুঝছেন। আমি বলেছি, ইন্ডাস্ট্রির মালিকদেরকে এখানে টাকা খরচ করতে হয়। ইটস ট্রু। ইউ ক্যান টেক চ্যালেঞ্জ উইথ মি, নট
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, নুরকে রক্তাক্ত করার মধ্য দিয়ে সকল জুলাই যোদ্ধাদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। নুরের ওপর হামলাকারীদের বাঁচার উপায় নাই।
ডা. তাহের বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের জন্য কিছু বিষয় সুরাহা হওয়া খুবই জরুরি। এর মধ্যে জুলাই চার্টারকে (সনদ) আইনগত ভিত্তি দিতে হবে এবং এর ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে।’
অধ্যাপক ইউনূসের উদ্দেশে ডা. তাহের
সংস্কার নিয়ে চূড়ান্ত আলাপ না করেই অধ্যাপক ইউনূস নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ ইসহাক দার।
জুলাই সনদ পর্যালোচনা করে ২৩টি রাজনৈতিক দল এর ওপর নিজেদের মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বরাবর জমা দিয়েছে।
ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ঐক্যে থাকছে না দেশের কওমি ধারার প্রাচীন রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। দলটির সভাপতি বলেছেন, প্রয়োজনে বিএনপির সঙ্গে জোট বাঁধবেন তাঁরা। তবুও কোনোভাবেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে একজোট হবেন না।
জামায়াতের সেমিনারে শিশির মনির
বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার সরাসরি প্রতিফলনই জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি। ‘জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আমাদের করণীয়’ শিরোনামের এক সেমিনারে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকার
জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান স্ট্রিমকে জানিয়েছেন, জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে হবে।
গতকাল শনিবার (১৬ আগস্ট) জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়ার শব্দ, বাক্য গঠন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে তা ২০ আগস্ট বিকেল ৪ টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।