leadT1ad

রাজনৈতিক বিভেদে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন: ফেসবুকে কে কী বলছে

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৫, ১৮: ১৩

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় তর্কবিতর্ক শুরু হয়েছে। সে বিতর্কে অংশ নিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন, এই গুঞ্জনের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার বিভেদ। বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মী ছাড়াও বহু নেটিজেন এ বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। সেই তর্কেরই কিছু চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে। 

‘এখন প্রতিটি শক্তিই পরস্পরকে বেইমান, গাদ্দার মনে করে। আর এখন এসে ড. ইউনূসের জন্য হা-হুতাশ একটু হালকা লাগে বৈকি।’ ২২ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে কথাগুলো লেখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। 

উমামা ফাতেমা আরও বলেন, ‘যখন ঐক্যমতের রাজনীতি করতে হয় ঐ সময় ভাঙনের রাজনীতি করছেন। আর এখন এসে হা-হুতাশ দেখতে হাস্যকর লাগে।’

শুধু উমামাই নয়, জুলাইয়ে সক্রিয় বিভিন্ন ব্যক্তি, বিভিন্ন গোষ্ঠী গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাজনের প্রসঙ্গ তুলেছেন। অনেকে আবার এর বিপরীতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানাচ্ছেন। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলো?  

পদত্যাগের গুঞ্জন  

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘স্যার বলছেন, আমি যদি কাজ করতে না পারি... যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণ-অভ্যুত্থানের পর। দেশের পরিবর্তন, সংস্কার.....। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবে না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’ 

নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবতেছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে, পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’ 

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বলে বিবিসি বাংলাকে জানান নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন। এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন। সবাই তাঁর সাথে আশা করি কো-অপারেট (সাহায্য) করবেন।’

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ 

একই দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানায় দলটি। সেই সঙ্গে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের অব্যাহতির দাবিও জানানো হয়। এর আগে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরাও একই দাবি জানান। 

ইশরাক হোসেনকে মেয়র করবার দাবিতে গত ১৪ মে থেকে নগরভবন সামনের রাস্তা এবং পরে কাকরাইল ও মৎস্যভবন মোড় দখল করে আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। ২১ মে বুধবার ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেন, মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সরকারে থেকে বহু কিছুতে হস্তক্ষেপ করছেন। 

একই দিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এনসিপি। দলটির অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। তাই এই কমিশনের পুনর্গঠন হওয়া প্রয়োজন। এ সময় বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করার অভিযোগে তিন উপদেষ্টাকে পদত্যাগে বাধ্য করার হুঁশিয়ারি দেয় দলটি। তাঁরা হলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইশরাক হোসেন মন্তব্য করেন, তাঁর জীবন থাকতে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না। অন্যদিকে ২০ মে মঙ্গলবার নাহিদ ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে হবে।   

রাজনৈতিক দলগুলোর এই টানাপোড়েনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন। যেখানে এই প্রসঙ্গ এসেছে। 

নেটপাড়ায় দ্বন্দ্ব

এনসিপির মুখ্য সংগঠক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী ২১ মে বুধবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে অভিযোগ করেন, জনগণের পক্ষে সব উদ্যোগে বিএনপি বাধা দিয়েছে।  

তিনি লেখেন, ‘চুপ্পুর অপসারণ, জুলাই ঘোষণাপত্র—যে কোনো জনগণের পক্ষে উদ্যোগে বিএনপি বাধা দিয়েছে কিংবা নীরব থেকেছে। তাঁরা ক্রমাগত পুরনো বন্দোবস্ত ও শাসকগোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় ব্যস্ত। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে তাঁদের অবস্থান ছিল নিশ্চুপ। জনগণের পক্ষে কোনো আন্দোলনে কখনো বিএনপিকে পাওয়া যায়নি; তাঁরা রাজপথে নামে শুধু নিজেদের ক্ষমতার লোভে।’  

ইশরাক হোসেনের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, ‘ঢাকার মানুষকে অবৈধ নির্বাচনের বৈধতা দিতে জিম্মি করে বিএনপি এখন একটি সামান্য মেয়র পদ নিয়েও নাটক করছে। তাঁরা জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে আরেকটি এক-এগারোর পথে হাঁটতে চায়। লক্ষ্য একটাই—পুরনো বন্দোবস্তে ফিরে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতার স্বাদ নেওয়া।’ 

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট দেন। সেখানে কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি অভিযোগ করেন, ‘এই যে কথায় কথায় ভোটের ভয় দেখান, আমাদের জনসমর্থন নাই, সময় নাই, লোকবল নাই। আপনাদের তো সব আছে। তারপরও কেন নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে প্রশাসন, আদালত সব বগলে নিতে চান হাসিনার মতো? নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাস নাই কেন? আমরা নির্বাচনকে ভয় পাই না। আপনারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতিকে ভয় পান। আমরা নির্বাচন পেছানোর অংক কষি না। আপনারা পুরোনো নির্বাচন কাঠামো বজায় রাখার অংক কষেন।’

২৩ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলম একটি পোস্ট দেন। সেখানে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়ার পাশাপাশি গণহত্যার বিচারের রোডম্যাপ চান, দেশের মৌলিক সংস্কারের রোডম্যাপ চান, জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা খুনি হাসিনার বিচারের রোডম্যাপ চান। এত বড় একটা গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপির মত বড় দল সবকিছু বাদ দিয়ে খালি নির্বাচন নিয়ে কথা বললে আমরা আশাহত হই, বাংলাদেশ আশাহত হয়।’   

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটায় ইশরাক হোসেন নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে দাবি করেন, ‘আমি বিএনপির প্রার্থী হওয়ায় বৈষম্যের শিকার এবং ন্যায্য আইনী অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এটা বুঝতে পেরেই  ঢাকার সাধারণ জনগণ এনসিপির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। এবং এখনই এটা প্রতিরোধ না করলে আবারও হাসিনা মার্কা জাতীয় নির্বাচন হতে পারে সেটাও বুঝে ফেলেছে।’

এই পোস্টে তিনি এনসিপিকে বিএনপির মতো হতে ২০ থেকে ২৫ বছর সঠিক পথে রাজনীতি করে আসার পরামর্শ দেন। 

বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট দেন। সেখানে কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি অভিযোগ করেন, ‘জুলাই ঐক্য বেচে সব থেকে বেশি অনৈক্য আর ঘৃণা ছড়িয়েছে গোষ্ঠীটি। চিন্তা করবেন না। আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে যাইনি। আছি সর্বত্র। রাজুতে ঐক্য হয়না, ঐক্য মানসিকতায়।’  

ফেসবুকেই আবার বিভেদ ভুলে ঐক্যের ডাক

২২ মে গুলশানে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনের পর দলটির মিডিয়া সেল থেকে বলা হয়, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। অথচ আগামীর বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি এই ঐক্যকে বজায় রেখে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের কোন বিকল্প নেই।’

তবে এই অভিযোগও করা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারছে না।

২২ মে বিকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট দেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে আগের যে কোনো বিভাজনমূলক বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘আগেকার যেকোনো বক্তব্য ও শব্দচয়ন, যা বিভাজনমূলক ছিল, সেগুলোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সরকারে আর এক দিনও থাকলে অভ্যুত্থানের সকল শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করতে চাই।’

এ সময় তিনি আরও লেখেন, ‘পুরাতন বন্দোবস্তের বিভেদকামী শ্লোগান ও তকমাবাজি, যা বৃহত্তর জনগোষ্টীকে হত্যাযোগ্য করে তোলে, সেগুলো পরিহার করলেই আশা করি ভবিষ্যত রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।’   

একই দিন রাত আটটায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে ঐক্যের আহ্বান জানান এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি লেখেন, ‘জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে। এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন নিজের ফেসবুকে গণতান্ত্রিক যাত্রা সমুন্নত রাখার প্রত্যয় জারি করে লেখেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধীরা নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শের বৈচিত্র্যের ওপরে বাংলাদেশকে প্রাধান্য দিয়েছে। জুলাইতে তার সর্বোচ্চ সমাবেশ ঘটেছে। জুলাইয়ের বেঁচে ফেরা যোদ্ধারা এদেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন হতে দেবে না। গণতান্ত্রিক এই যাত্রাকে ব্যাহত হতে দেবে না। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’  

এদিন বিকাল সাড়ে চারটা নাগাদ নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান লেখেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল পক্ষকে মান, অভিমান ও ক্ষোভ একদিকে রেখে, জাতীয় স্বার্থে দূরদর্শী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানাই। যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করি।’ 

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টায় জামায়াতে ইসলামীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়, ‘ডা. শফিকুর রহমান দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন।’

বলা ভালো, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ও রাজনৈতিক বিভেদ প্রসঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতের তুলনায় এনসিপির নেতাকর্মীদের ফেসবুকে সক্রিয়তা বেশি।       

Ad 300x250

পরিবারের দাবি মৃতদেহ সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছে কর্তৃপক্ষ, সরকার বলছে ভিন্ন কথা

চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা

ইসলামি শক্তির ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে

আগুনের লেলিহান শিখা পেরিয়ে যেভাবে সেদিন আমরা সূর্যকে খুঁজে পেলাম

আরও ১২ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা

সম্পর্কিত