বেসরকারি সংস্থার ৩ জরিপ বিশ্লেষণ
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক মহল থেকে জনপরিসরে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। গত এক বছরে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের করা তিনটি জরিপ বিশ্লেষণ করে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
স্ট্রিম ডেস্ক
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে জনপরিসরে পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে কথা হচ্ছে। নির্বাচনে কে জিতবে, তা নিয়ে এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তিনটি জরিপ। জরিপের ফল নিয়ে রাজনৈতিক পরিসরে হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা।
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরের মাথায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান নিয়ে গত রোববার (৬ জুলাই) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এবং চলতি বছরের মার্চে বিভিন্ন দলের জনপ্রিয়তা ও নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে জরিপ করেছিল ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশ। অভ্যুত্থান পরবর্তী এসব জরিপে উঠে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামতের চিত্র।
চলতি বছরের ২০ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সানেমের পরিচালিত জরিপমতে, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও তরুণদের একটা বড় অংশ মনে করেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে। জরিপে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২ হাজার তরুণের (নারী ও পুরুষ) মতামতের ভিত্তিতে কোন দল কত ভোট পাবে সে তথ্য প্রকাশ করে সানেম।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক জরিপ চালায় উন্নয়ন গবেষণা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংস্থা ‘ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশ’। জরিপে অংশগ্রহণ করা ১০ হাজার ৬৯৬ জনের মতামতের ভিত্তিতে কোন দল কত শতাংশ ভোট পাবে, সেই তথ্য উঠে আসে। এ ছাড়া দেশের ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার চলতি বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন চান এবং ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চান–এমন তথ্যও উঠে আসে।
২০২৪ সালে সেপ্টেম্বরের ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশের আরেকটি জরিপে উঠে আসে, ৩৪ শতাংশ মানুষ নিশ্চিত নন, কাকে ভোট দেবেন।
গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই গত বছরের ২৯ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে ও অনলাইনে জরিপ পরিচালনা করে ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশ। দেশের ৫০টি জেলায় মাঠপর্যায়ে ৫ হাজার ১১৫ ও অনলাইনে ৬৪টি জেলায় ৩ হাজার ৫৮১ মতামতের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি।
ওই জরিপে দেখা গেছে, মাঠপর্যায়ের ২১ শতাংশ ভোট নিয়ে শীর্ষে আছে বিএনপি। তবে অনলাইন জরিপের ফল বলছে, মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে বিএনপির পক্ষে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে ১০ হাজার ৬৯৬ জন সম্ভাব্য ভোটারের ওপর জরিপ চালিয়ে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশ। ওই জরিপেও ৪২ শতাংশ মানুষের সমর্থন নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বিএনপি। জেনারেশন এক্স প্রজন্মের (৪৫-৬০ বছর) ৪৭ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে সমর্থন দিলেও, জেন-জি প্রজন্মের (১৮-২৮ বছর) সমর্থন অন্য দলগুলোর তুলনায় কমই পেয়েছে দলটি।
সর্বশেষ গত রোববার প্রকাশিত সানেমের জরিপেও একই ধরনের ফলাফল দেখা গেছে। জরিপে অংশ নেওয়া তরুণদের ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ মনে করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে শীর্ষে থাকবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশের ২৯ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, মাঠপর্যায়ের ১৪ শতাংশ মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে অনলাইন জরিপে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে।
চলতি বছরের মার্চে একই সংস্থার করা জরিপে দেখা যায়, জামায়াতের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। এই জরিপে ৩২ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে মত দিয়েছেন। বিশেষ করে জেন-জি প্রজন্মের ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ সমর্থন পায় জামায়াতে ইসলামী।
এরপর গত রোববার প্রকাশিত সানেমের জরিপে দেখা যায়, ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশের গত বছরের ২৯ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে ও অনলাইন জরিপে দেখা যায়, মাঠপর্যায়ে ১১ শতাংশ ভোটার ছাত্র-সমর্থিত নতুন কোনো দলকে ভোট দিতে চান। অনলাইন জরিপে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ শতাংশে।
তবে চলতি বছরের মার্চ মাসের জরিপে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। এনসিপির প্রতি সমর্থন কমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ১৪ শতাংশে।
এরপর সানেমের সর্বশেষ জরিপে দেখা যায় অন্য চিত্র। এই জরিপে ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ তরুণদের সমর্থন পায় নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
অভ্যুত্থানের এক মাস পরের জরিপে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে চান ৫ শতাংশ ভোটার। অন্যদিকে, অনলাইন জরিপের ফল বলছে, আওয়ামী লীগকে ১০ শতাংশ মানুষ এখনো সমর্থন করেন।
চলতি বছরের মার্চ মাসের জরিপে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সমর্থন বেড়ে ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
আর সর্বশেষ সানেমের জরিপে উঠে এসেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি পেলে আওয়ামী লীগ পেতে পারে ১৫ দশমিক ০২ শতাংশ ভোট।
জরিপ তিনটি বিশ্লেষণ করে বোঝা যাচ্ছে, মাঠ পর্যায়ে সর্বোচ্চ সমর্থন বিএনপির পক্ষেই আছে। তবে অনলাইন জরিপ এবং জেন-জি প্রজন্মের সমর্থনে পিছিয়ে আছে দলটি।
ছাত্র-সমর্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতি সম্ভাব্য ভোটারদের সমর্থন থাকলেও দ্বিতীয় দফা জরিপে দেখা গেছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষে সমর্থনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তবে সানেমের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে ভিন্নচিত্র।
অন্যদিকে অনলাইন-অফলাইন দুই জায়গার জরিপেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে জামায়াতে ইসলামী। বিশেষত অনলাইন এবং জেন-জি প্রজন্মের বড় অংশের সমর্থন পেয়েছে দলটি।
অভ্যুত্থানের পরপরই পরিচালিত জরিপে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা তলানিতে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে। দ্বিতীয় দফা ও সর্বশেষ সানেমের জরিপে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
২০১৪ সালের বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন, ২০১৮ সালের ‘রাতের ভোট’ ও ২০২৪-এর ‘ডামি ভোট’-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়নি। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আগের রাজনৈতিক দলগুলোও পুরোদমে রাজনৈতিক মাঠে উপস্থিত আছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতার পালা বদলে কে বসবে নতুন বাংলাদেশের ক্ষমতায়, তা নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। এসব জরিপের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন, তেমনি রাজনৈতিক পরিসরে বেড়েছে আগ্রহ, চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে জনপরিসরে পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে কথা হচ্ছে। নির্বাচনে কে জিতবে, তা নিয়ে এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তিনটি জরিপ। জরিপের ফল নিয়ে রাজনৈতিক পরিসরে হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা।
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরের মাথায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান নিয়ে গত রোববার (৬ জুলাই) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এবং চলতি বছরের মার্চে বিভিন্ন দলের জনপ্রিয়তা ও নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে জরিপ করেছিল ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশ। অভ্যুত্থান পরবর্তী এসব জরিপে উঠে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামতের চিত্র।
চলতি বছরের ২০ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সানেমের পরিচালিত জরিপমতে, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও তরুণদের একটা বড় অংশ মনে করেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে। জরিপে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২ হাজার তরুণের (নারী ও পুরুষ) মতামতের ভিত্তিতে কোন দল কত ভোট পাবে সে তথ্য প্রকাশ করে সানেম।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক জরিপ চালায় উন্নয়ন গবেষণা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংস্থা ‘ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশ’। জরিপে অংশগ্রহণ করা ১০ হাজার ৬৯৬ জনের মতামতের ভিত্তিতে কোন দল কত শতাংশ ভোট পাবে, সেই তথ্য উঠে আসে। এ ছাড়া দেশের ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার চলতি বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন চান এবং ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চান–এমন তথ্যও উঠে আসে।
২০২৪ সালে সেপ্টেম্বরের ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশের আরেকটি জরিপে উঠে আসে, ৩৪ শতাংশ মানুষ নিশ্চিত নন, কাকে ভোট দেবেন।
গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই গত বছরের ২৯ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে ও অনলাইনে জরিপ পরিচালনা করে ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশ। দেশের ৫০টি জেলায় মাঠপর্যায়ে ৫ হাজার ১১৫ ও অনলাইনে ৬৪টি জেলায় ৩ হাজার ৫৮১ মতামতের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি।
ওই জরিপে দেখা গেছে, মাঠপর্যায়ের ২১ শতাংশ ভোট নিয়ে শীর্ষে আছে বিএনপি। তবে অনলাইন জরিপের ফল বলছে, মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে বিএনপির পক্ষে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে ১০ হাজার ৬৯৬ জন সম্ভাব্য ভোটারের ওপর জরিপ চালিয়ে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশ। ওই জরিপেও ৪২ শতাংশ মানুষের সমর্থন নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বিএনপি। জেনারেশন এক্স প্রজন্মের (৪৫-৬০ বছর) ৪৭ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে সমর্থন দিলেও, জেন-জি প্রজন্মের (১৮-২৮ বছর) সমর্থন অন্য দলগুলোর তুলনায় কমই পেয়েছে দলটি।
সর্বশেষ গত রোববার প্রকাশিত সানেমের জরিপেও একই ধরনের ফলাফল দেখা গেছে। জরিপে অংশ নেওয়া তরুণদের ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ মনে করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে শীর্ষে থাকবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশের ২৯ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, মাঠপর্যায়ের ১৪ শতাংশ মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে অনলাইন জরিপে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে।
চলতি বছরের মার্চে একই সংস্থার করা জরিপে দেখা যায়, জামায়াতের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। এই জরিপে ৩২ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে মত দিয়েছেন। বিশেষ করে জেন-জি প্রজন্মের ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ সমর্থন পায় জামায়াতে ইসলামী।
এরপর গত রোববার প্রকাশিত সানেমের জরিপে দেখা যায়, ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশের গত বছরের ২৯ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে ও অনলাইন জরিপে দেখা যায়, মাঠপর্যায়ে ১১ শতাংশ ভোটার ছাত্র-সমর্থিত নতুন কোনো দলকে ভোট দিতে চান। অনলাইন জরিপে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ শতাংশে।
তবে চলতি বছরের মার্চ মাসের জরিপে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। এনসিপির প্রতি সমর্থন কমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ১৪ শতাংশে।
এরপর সানেমের সর্বশেষ জরিপে দেখা যায় অন্য চিত্র। এই জরিপে ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ তরুণদের সমর্থন পায় নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
অভ্যুত্থানের এক মাস পরের জরিপে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে চান ৫ শতাংশ ভোটার। অন্যদিকে, অনলাইন জরিপের ফল বলছে, আওয়ামী লীগকে ১০ শতাংশ মানুষ এখনো সমর্থন করেন।
চলতি বছরের মার্চ মাসের জরিপে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সমর্থন বেড়ে ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
আর সর্বশেষ সানেমের জরিপে উঠে এসেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি পেলে আওয়ামী লীগ পেতে পারে ১৫ দশমিক ০২ শতাংশ ভোট।
জরিপ তিনটি বিশ্লেষণ করে বোঝা যাচ্ছে, মাঠ পর্যায়ে সর্বোচ্চ সমর্থন বিএনপির পক্ষেই আছে। তবে অনলাইন জরিপ এবং জেন-জি প্রজন্মের সমর্থনে পিছিয়ে আছে দলটি।
ছাত্র-সমর্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতি সম্ভাব্য ভোটারদের সমর্থন থাকলেও দ্বিতীয় দফা জরিপে দেখা গেছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষে সমর্থনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তবে সানেমের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে ভিন্নচিত্র।
অন্যদিকে অনলাইন-অফলাইন দুই জায়গার জরিপেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে জামায়াতে ইসলামী। বিশেষত অনলাইন এবং জেন-জি প্রজন্মের বড় অংশের সমর্থন পেয়েছে দলটি।
অভ্যুত্থানের পরপরই পরিচালিত জরিপে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা তলানিতে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে। দ্বিতীয় দফা ও সর্বশেষ সানেমের জরিপে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
২০১৪ সালের বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন, ২০১৮ সালের ‘রাতের ভোট’ ও ২০২৪-এর ‘ডামি ভোট’-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়নি। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আগের রাজনৈতিক দলগুলোও পুরোদমে রাজনৈতিক মাঠে উপস্থিত আছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতার পালা বদলে কে বসবে নতুন বাংলাদেশের ক্ষমতায়, তা নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। এসব জরিপের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন, তেমনি রাজনৈতিক পরিসরে বেড়েছে আগ্রহ, চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এ বছরের প্রথম ছয় মাসে কমপক্ষে ৫২৯টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। যাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৯ জন।
৬ ঘণ্টা আগেকামাল উদ্দিন দুর্জয়ের পরিবার বলছে, তিনি আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু কে, কেন তাঁকে হত্যা করেছে, তা কেউ জানাতে পারেননি।
৬ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে চার দিন ধরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহওয়ার মধ্যে চবির পাঁচ শিক্ষার্থী বেড়াতে এসেছিলেন। তিনজন বৃষ্টির সময় হিমছড়ি সৈকতে গোসলে নেমে ভেসে গেছেন। তাঁদের একজন মারা গেছেন। ভেসে গিয়ে এখনো নিখোঁজ তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুজন।
৮ ঘণ্টা আগেজয়পুরহাট জেলার বাইগুনী গ্রামে এমন ঘটনা এতটাই সাধারণ হয়ে উঠেছে যে, স্থানীয়রা এখন গ্রামটিকে ‘এক কিডনির গ্রাম’ নামে চেনে। ছয় হাজার মানুষের গ্রামটির অনেকেই কমবেশি এই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছেন।
৯ ঘণ্টা আগে