leadT1ad

খালেদা জিয়া বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় কিনা, দেখে তারেকের ফেরার সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ১৯
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর তারেক রহমান দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্ধৃত করে দেওয়া পোস্টে আরও বলা হয়, পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে শিগগির দেশে ফিরবেন তিনি (তারেক রহমান)।

এর আগে, বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি কমিউনিটি সেন্টারে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে আয়োজিত একটি দোয়া মাহফিলেও মির্জা ফখরুল একই কথা বলেন।

প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এরপর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই তাঁরা অবস্থা খারাপ হয়।

খালেদা জিয়াকে দেখতে যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আসছেন বলে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন। তিনি দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা দেখবেন। দেখার পর তিনি যদি ট্রান্সফারেবল হন, যদি ট্রান্সফারের প্রয়োজন পড়ে, যদি মেডিকেল বোর্ড মনে করে, তখন তাঁকে যথাযথভাবে চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।’

এর আগে গত জানুয়ারিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। প্রায় চার মাস লন্ডনে অবস্থানের পর গত ৬ মে দেশে ফেরেন। তারেক রহমান এক-এগারোর পর ২০০৮ সালে কারাগার থেকে বেরিয়ে সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। তারপর আর তিনি দেশে ফেরেননি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন মামলায় তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিল হয়। এরপর তাঁর দেশে ফেরার আলোচনা শুরু হয়। তারেক রহমান শিগগির ফিরবেন, এমন কথা বললেও সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ জানাচ্ছেন না বিএনপির নেতারা।

এর মধ্যে খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে উঠলে গত শুক্রবার শোনা যাচ্ছিল, তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার লন্ডন থেকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহ–স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সবার মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।’

পরে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বারবার বলা হয়েছে, তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে এক দিনের মধ্যে তাঁকে ‘ট্রাভেল পাস’ দেওয়া হবে।

আজ সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তারেক রহমান দেশে ফেরার পর তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে কারও কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি বা শঙ্কা নেই। সরকার সবাইকে সুরক্ষিত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত