leadT1ad

বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি হচ্ছে না, বললেন জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৪
হামিদুর রহমান আযাদ। সংগৃহীত ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট আয়োজন নিয়ে বিএনপি আলোচনায় বসতে ‘রাজি হচ্ছে না’ বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। তাঁরা বলেছেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। জামায়াত যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে রাজি এবং প্রয়োজনে অন্য রাজনৈতিক দলকেও আলোচনায় বসতে উদ্বুদ্ধ করবে।’

আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ‘নির্বাচনী ইশতেহারে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

সংস্কারের বিষয়গুলো জনগণকে জানাতে গণভোটের প্রয়োজন বলে মনে করেন হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি বলেন, ‘গণভোটটা এই জন্যই দরকার যে, সংস্কারের বিষয়গুলোতে আসলে কী আছে জনগণকে জানতে হবে, কিছুটা হয়তো জনগণ জানে, গণভোটের মাধ্যমে আরও ব্যাপকভাবে জানার সুযোগ আছে।’

তিনি বলেন, ‘গণভোট হলে নির্বাচন কমিশন ও সরকার সংস্কারের বিষয়গুলো উন্মুক্ত করবে, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি এসব বিষয়ে প্রচারণা চালাবে। এসবের মধ্য দিয়ে গণভোটের ব্যাপারে জনগণ পরিষ্কার ধারণা পাবে।’

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে মানুষের ফোকাস থাকে দল ও প্রার্থী-কেন্দ্রিক। আমাদের দেশে ভোটকেন্দ্র দখল হয়। দুটো ভোট দিতে গেলে টাইম ম্যানেজমেন্ট হবে না, ভোট কাস্টিং কম হবে। পরে আবার বলবে, জনগণ জুলাই চার্টারের পক্ষে রায় দেয় নাই।’

আলোচনার সমান্তরালে জামায়াতের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে এই নেতা বলেন, ‘ডেমোক্রেসিতে (গণতন্ত্র) আলোচনা এবং রাজপথে ভয়েস রেইজ করা (আওয়াজ তোলা)—এই দুটোই চলে। আমরা তো ভায়োলেন্স (সহিংসতা) করছি না।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ইশতেহার প্রণয়নে কীভাবে নাগরিক প্রত্যাশার অধিকতর ও কার্যকর প্রতিফলন করতে পারে, সে বিষয়ে এই সংলাপের আয়োজন করে ট্রেস কনসাল্টিং নামে একটি প্লাটফর্ম।

সংলাপে আরো অংশ নিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ট্রেস-এর প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন এবং ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। অনুষ্ঠানে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ছাড়াও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, ডাকসু-জাকসু ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত