leadT1ad

বড় দলের নেতারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে স্যাটেল করে চলতেন: সামান্তা শারমিন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ০১
আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা (সেটেলমেন্ট) করে চলতেন। অথচ এখন এসে তাঁরা তরুণ প্রজন্মকে ‘ক্রিমিনালাইজ’ করে বক্তব্য দিচ্ছেন। যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হয় ‘ক্রিমিনালাইজ’ করাটা একটা সময়ে আদালত পর্যন্ত গড়াবে বলে সতর্ক করেন তিনি।

শনিবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় নারীশক্তি আয়োজিত ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন রূপরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সামান্তা শারমিন বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে চার-পাঁচ জন তরুণ একটা ফোরামে সবার মধ্যে বসে যুক্তি-তর্ক করেছে সেটা ছিল বড় দলগুলোর মাথাব্যথার কারণ। জেন-জিদের রক্তের ওপর এই সরকার দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু আমরা দেখি, জেন-জিদের আজকে ক্রিমিনালাইজ করা হচ্ছে। এটা শুধু এখন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মুখের কথা দ্বারা করা হচ্ছে। জুলাই সনদ যদি আইনি ভিত্তি না পায় এবং বাস্তবায়ন না হয় তাহলে এই ক্রিমিনালাইজ করাটা একটা সময় কোর্ট পর্যন্ত গড়াবে।’

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কখনোই স্বাধীন ছিল না উল্লেখ করে সামান্তা বলেন, 'এমন কোনো ব্যবস্থা আমরা এখনও করতে পারি নাই যে সুপ্রিম কোর্টকে স্বাধীন করতে পারব। সুপ্রিম কোর্ট কখনোই স্বাধীন ছিল না। শুধু কোর্ট না বরং নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনও পরাধীন। এসব কমিশন সংস্কার না করে বর্তমান অবস্থায় রাখা প্রচলিত স্ট্যাবলিশমেন্টের জন্য দরকার; বড় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও দরকার।'

বড় দলগুলোর মধ্যে এক বছর আগেও হতাশা দেখা গেছে উল্লেখ করে সামান্তা বলেন, ‘আজ রাজনৈতিক দলগুলো বড় বড় কথা বলে। ঠিক এক বছর আগেও তাদের মধ্যে হতাশা দেখেছি আমরা। তাদের মধ্যে বিপ্লবী চেতনা কখনোই দেখা যায়নি। তারা নিজেরাও সেটা বিশ্বাস করতো না যে গণঅভ্যুত্থান হবে। কিন্তু আমাদের পুরো সময়টাই ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে। আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম কখনোই এজন্য ছিল না যে একটা শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে আরেকটা একইরকম শাসনব্যবস্থা দাঁড় করানো।'

বড় দলগুলোর সমালোচনা করে সামান্তা বলেন, ‘পুরাতন ফ্যাসিবাদী কাঠামোতে রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের নিয়ে যেতে চায়। অথচ সেসব রাজনৈতিক নেতারা নিয়মমতো চলেন, খান, ঘুমান সবই করেন। কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক অবদান নেই তাদের।

তাদের ভাবনা হচ্ছে কীভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত, দালাল, ঋণগ্রস্তদের নেতা বানানো যায়।'

আমাদের প্রথম কাজটাই ছিল গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। অথচ গণপরিষদ নির্বাচনে সবাই ঐকমত্য হয়েও সেটা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না পুরাতন কাঠামোর জন্যই দাবি করেন সামান্তা।

জাতীয় নারীশক্তির এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নারী নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত