জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। রাজনৈতিক দলগুলোর যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সরকার হতাশাজনক উদাসীনতা দেখাচ্ছে জানিয়ে দাবি আদায়ের ২য় ধাপে ১১ দিনের কর্মসূচি দিয়েছে তারা।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নিতে বলছেন তারা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, বিএনপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। এর মধ্য দিয়ে নতুন গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু হবে।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, কমিশনের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য পাঁচটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জামায়াতের একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই পাঁচটি প্রস্তাবের মধ্য থেকে সমঝোতার পথ খুঁজে পাওয়া যাব
জুলাই সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে চারটি মূল বিকল্প সুপারিশ পেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষমতা কমিশনের নেই এবং কমিশন কোনো কিছু জোর করে চাপিয়ে দেবে না। তিনি বলেন, কমিশন কেবল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারকে সুপারিশ করতে পারে।
'নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থার প্রবর্তন বিপ্লব নয়, ক্যু হিসেবে গণ্য হবে' উল্লেখ করে জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
আগামীকাল আরও ১৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের গণপরিষদ, সংবিধান সংস্কার সভা, গণভোট ও অধ্যাদেশের জারির মত ভিন্ন-ভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে আটটি রাজনৈতিক দল। একইসঙ্গে সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরের পর সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কমিশনের সভাপতি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগের মতামত নিতে পারেন বলেও পরামর্শ দিয়েছে।
জুলাই সনদের আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তির জন্য আগামী নির্বাচন অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এমন মন্তব্য করেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক
কমিশনের সঙ্গে আইনজ্ঞদের বৈঠক
ঐক্যমত কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, 'আজকে জুলাই সদস বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা আইনজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে নানা ধরনের পরামর্শ এসেছে। তবে, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এখন পর্যন্ত মোট ২৬টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ পর্যালোচনা করে এর ওপর নিজেদের মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বরাবর জমা দিয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বেলা ১টা পর্যন্ত ২৫তম ও ২৬তম দল হিসেবে কমিশনের কাছে মতামত জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও নাগরিক ঐক্য।
জুলাই সনদ পর্যালোচনা করে ২৩টি রাজনৈতিক দল এর ওপর নিজেদের মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বরাবর জমা দিয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার ওপর মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে সংলাপের অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) জামায়াতে ইসলামীসহ খেলাফত মজলিস, এলডিপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং বাসদ-মার্কসবাদী তাদের মতামত জমা দিয়েছে। এর আগে গতকাল বিএনপি, এবি পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস,
জুলাই সনদের ভিত্তিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি। সনদের সাংবিধানিক মর্যাদা, আইনগত ভিত্তি ও এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দ্রুত বৈঠক শুরুর তাগিদ দিয়েছে তারা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে। এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সনদের পটভূমি, ৮৪টি ঐকমত্যের বিষয় এবং বাস্তবায়নের ৮টি অঙ্গীকারনামা। স্ট্রিম এই খসড়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছে। চলুন শুনি, তারা কে কী বলছেন।