leadT1ad

আমার সৌভাগ্য, আমার ভার

মালিহা মাহবুব
মালিহা মাহবুব

মা-বাবার সঙ্গে ক্যাপিটাল হিলের সামনে লেখক। ছবি: লেখকের সৌজন্যে

সকালের সূর্যের আলো নরম পাতলা পর্দার ফাঁক গলে আসছিল। আর সেই আলো যেন মায়ের তাওয়ার ওপর থেকে ওঠা ধোঁয়ায় আটকে যাচ্ছিল। সেই তাওয়ায় মা পরোটার জন্য পাতলা গোল করে আটা সেঁকছিলেন। ঘি আর জিরা ভাজার গন্ধ পাকিয়ে পাকিয়ে রান্নাঘরে ঘুরছিল। সে গন্ধ মিশে যাচ্ছিল বাবার কাঁচের গ্লাস থেকে ঢালা দুধ-চায়ের হালকা মিষ্টি গন্ধের সাথে। আমি রান্নাঘরের আড়াআড়ি পা ঝুলিয়ে বসেছিলাম। আমার আঙুলে লেগে থাকা মাখন গলে পড়ছিল। বাবা তখন আন্তর্জাতিক রাজনীতির সর্বশেষ জটিলতাগুলো শান্ত ও ধীর কন্ঠে বুঝিয়ে বলছিলেন। তাঁর কথাগুলো ছিল মানচিত্রের মতো। সেইসব মানচিত্র আমি সকালের খবরের কাগজ পড়তে পারার আগেই মনে মনে আঁকতাম। চিহ্নিত করতাম দেশের সীমানা আর আর রাজনৈতিক জোটগুলো। ‘এজন্যই কূটনৈতিক সম্পর্ক এত জরুরি, মালিহা,’ মানচিত্রের দিকে আঙুল দেখিয়ে তিনি বললেন। প্রায় নিঃশ্বাস বন্ধ করে আমি মাথা নাড়লাম। তিনি যে পৃথিবীটা আমার জন্য খুলে দিচ্ছিলেন, আমি তার প্রতিটি কথা, প্রতিটি বাঁক শুষে নিতে ব্যাগ্র ছিলাম আমি।

এই সবকে সৌভাগ্য বলে বোঝার বয়স তখনও হয়নি। আমি শুধু জানতাম যে আমার ওপর সবার মনোযোগ আছে। কখনও কাউকে জিজ্ঞাসা না করেও আমি জানতাম যে আমার মাথার উপরের ছাদটা অটুট থাকবে। আমাকে না খালি পেটে ঘুমাতে যেতে হবে না। আমি জানতাম যে আমার এই ছোট তখনও দূর্বল কাঁধের ওপর পৃথিবীর বোঝা বইতে হবে না। আমার মন, আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা, আর আমার ভেতরের আকাঙ্ক্ষা—এগুলো সব পুরোদমে কাজ করতে পারত। কারণ কিছু মানুষের হাত আমার জীবনের সব দিক সামলে রাখত। এই সত্যিটা আমি চোখ বুজে উপেক্ষা করতে পারতাম না।

আমি সবসময় জানতাম যে আমি কী চাই। এমনকী পৃথিবীটাকে পুরোপুরি বোঝার আগেই, নিজেকে বোঝারও আগে, আমি জানতাম আমি কী করতে চাই। আমার চাই অর্জন। চাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে। তাই এখন যখন আমি নিজের পরিচয় দিই, তখন কেবল বলি না, ‘হাই, আমার নাম মালিহা’। আমি বলি, ‘হাই, আমার নাম মালিহা। আর আমি ক্যাপিটল হিলে কাজ করছি’। যারা আমাকে চেনেন, তারা আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষার রূপ সম্পর্কে জানেন। সেই আকাঙ্ক্ষার তৃপ্তি নেই। এর তীব্রতা প্রায় বিব্রতকর। আমি স্কুলে ভালো ফল করেছি। কলেজের প্রতি সেমিস্টারে আমি কমপক্ষে তিনটি করে চাকরি করেছি। শুধুমাত্র গত এক বছরেই আমি দুবার জাতিসংঘে গেছি। আমি জানি পরিশ্রম করা মানে কী। আমি জানি, সম্ভাবনার সবটুকু সীমা অতিক্রম করে যাওয়া মানে কী। আর আমি জানি নিরলস হওয়া মানে কী।

আমার তখন চৌদ্দ বছর বয়স। সেই সময় ভয় পাওয়ার মতো একটা খবর পেলাম। আমার আক্কেল দাঁতগুলো তুলে ফেলতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই, আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। জীবনে এটাই ছিল আমার অস্ত্রোপচারের সবচেয়ে কাছাকাছি কোন অভিজ্ঞতা। আমার ভয় ছিল যে হয়তো ব্যথা করবে। হয়তো চেতনানাশকের প্রভাবে পরে লজ্জা পাওয়ার মতো কোন কথা বলে ফেলব। হয়তো ডাক্তার কোনো ভুল করে ফেলবেন। সেই বুধবার সকালে আমি ছয়টায় উঠলাম। বাবা আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি গাড়ির পেছনের সিটে বসলাম। আমরা অপেক্ষা করার ঘরে বসলাম। আমার হাতে একটি স্যালাইনের নল ঢুকিয়ে দেওয়া হোল। কী ঘটছে তা পুরোপুরি বোঝার আগেই ঘুমিয়ে পড়লাম। যখন আমার ঘুম ভাঙল, তখন আমার চারটে নেই!

বাড়ি ফেরার পথে কান্না থামাতে পারছিলাম না। বেচারা বাবা যতই সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন, আমার কান্না যেন ততই বাড়ছিল। এক সময় তিনি রাস্তার পাশে গাড়ি থামালেন। বাবা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন যে হয়তো ভুল কিছু হয়েছে। হয়তো আমি ব্যথা পাচ্ছি। হেঁচকি তুলে কাঁদতে কাঁদতেই বলি, আমি ঠোঁটে কোন সার পাচ্ছি না। আর ঠোঁট না থাকলে তো আর কংগ্রেসে লড়া যায় না ।

আমার তীব্র আকাঙ্ক্ষা বোঝানোর জন্য প্রায়ই এই গল্পটা বলি। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে, এমনকি চেতনানাশকের ঘোরে, অস্ত্রোপচার থেকে সদ্য ওঠার পরেও—আমি ঠিক কী করতে চেয়েছিলাম, তা জানতাম। যদি আমার জীবনটাকে একটা মানচিত্র ভাবা হয়, তবে সেই মানচিত্রে এই ঘটনাই হতো আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা চিহ্নিত করার মতো জায়গা। আমার মনে হয়, আমি যেন একটা প্রমাণ হাতে নিয়ে কাউকে দেখাতে পারি—সেটা আলোর সামনে ধরলেই আমার ভেতরের জোরটা ঝলমল করে উঠবে, বলবে—দেখো, এটাই আমি; এটাই আমার আবেগ; আমি সত্যিই একজন অসাধারণ ও যোগ্য মানুষ।

তবুও, শুধু সেই আকাঙ্ক্ষাই আমাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসেনি। আমি কঠোর পরিশ্রমী, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং নিরলস। কিন্তু তা দিয়েই সবকিছু ব্যাখ্যা করা যাবে না। আমাকে এমন সুবিধা পেয়েছি যা অদৃশ্য, যা বলা যায় না কিন্তু যা খুব প্রভাবশালী। আমার বাবা-মা আমাকে ভালবাসেন। তাঁরা আমাকে টিকে থাকার জন্য যা প্রয়োজন সব জোগান দিয়েছেন, আমাকে আগলে রেখেছেন, সব প্রয়োজনে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই আমি কোনো ভয় ছাড়াই আমার স্বপ্নের পেছনে ছুটতে পেরেছি। আমার পায়ের নিচের মাটি যদি নড়বড়ে হতো, তাহলে কি আমি এভাবে উপরে উঠতে পারতাম? আমার জন্য যদি ভিত্তিটা আগে থেকেই তৈরি না করা থাকত, তাহলে কি আমি আজকের আমিটা হতে পারতাম?

গত গ্রীষ্মে বাংলাদেশে গেলাম। তখন আমার জীবন আর অন্যদের জীবনের মধ্যেকার পর্দাটা প্রায় অলক্ষ্যে পাতলা হয়ে গেল। আমার কাকার বুয়ার মেয়ে কয়েক দিনের জন্য সাহায্য করতে এসেছিল। সে আমার ছোট কাজিনের বড় হবে না বয়সে। খুব বেশি হলে বছর সবেমাত্র বারো বয়স। কিন্তু এমন পরিশ্রম আর নির্ভুল কাজ চোখে পড়ার মতো ছিল। আমি প্রতি রাতে বাড়ি ফিরে দেখতাম যে আমার বিছানা পাতা আছে। মাঝে মাঝে, আমার দাদি তাকে ফল কেটে আমাকে দিতে বলতেন। আর সে আমার দরজায় আলতো করে টোকা দিয়ে মিষ্টি হেসে বলত, ‘আপু, ভেতরে আসব?’ আমি তার চোখের দিকে তাকাতে পারতাম না। তার মধ্যে এমন কিছু ছিল যা আমাকে আমার নিজের কথা মনে করিয়ে দিত। সে চলত সাবধানে, ভেবেচিন্তে, কোনো কাজ অসম্পূর্ণ রাখতে অনিচ্ছুক। এই সব আমার কাছে বেদনাদায়ক রকম পরিচিত মনে হয়েছিল। আমি সেই পরিশ্রমী মনোভাব চিনতে পেরেছিলাম। ঠিক এটার জন্যই সবাই সবসময় আমার প্রশংসা করেছে। সূক্ষ্মতার প্রতি আমার মনোযোগ, সবকিছু আমার ভাবনার সাথে মিলতে হবে, কোনো কাজ আধাআধি করতে না পারা। কিন্তু যে গুণগুলো আমাকে ব্যতিক্রমী করেছে, তার ক্ষেত্রে এগুলো ছিল কেবলই প্রত্যাশিত ।

যখন আমি তার কথা ভাবি, আমার নিজের মায়ের কথা মনে পড়ে। তখন একটা শব্দই মনে আসে—নিরন্তর। তিনি কখনও থামেন না, কখনও টলেন না। যাই হোক না কেন, তিনি সবসময়ই আমার সেই নাছোড়বান্দা, দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির মা। আমি তার ভালোবাসার ব্যাকুলতা নিয়ে ভাবি। আমার আর আমার ভাই-বোনদের ক্ষেত্রে সেই ভালবাসার ব্যাকুলতা যেন এক শক্তিতে পরিণত হয়। এমন কিছু নেই যা তিনি আমার জন্য করবেন না। এইটা আমি শরীরের প্রতিটি কোষে অনুভব করি। আমার জন্য তার আত্মত্যাগ অসংখ্য। আমি তার ভালোবাসার গভীরতা জানি, আমি তা অনুভব করি যখন তিনি আমার চুল আঁচড়ে দেন, যখন তিনি আমার কপালে চুমু খান। যখন তিনি আমাকে নিজের হাতে ভাত খাইয়ে দেন, ভাতের প্রতিটি গ্রাসে তা অনুভব করি। ভাতের প্রতিটি কণা তার ভালোবাসার প্রতিধ্বনি তোলে।

কিন্তু আমার মায়ের ভালোবাসার একটা সুবিধা আছে। তিনি সেটাকে বাস্তব রূপ দিতে পারেন। তিনি আমার মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করতে পারেন, আমাকে স্কুলে পাঠাতে পারেন, প্রতি ঈদে একটা নতুন পোশাক কিনে দিতে পারেন। আর আমি ভাবি সেই সব মায়েদের কথা যারা তা পারেন না। আমি ভাবি, তারাও কি আমার মায়ের সেই একই কোমল ব্যাকুলতা অনুভব করেন, সেই ব্যাকুলতা যা আমি দূরে রাখলে তাকে জাগিয়ে রাখে, ফোনে আমার কণ্ঠস্বর শুনলে আমাকে স্পর্শ করতে পারবেন না ভেবে তার বুকে যে ব্যথা হয়? আমি ভাবি, এই ভালোবাসা বুকে ধারণ করে সেটা বাস্তব করবার কোন উপায় না থাকার অনুভুতিটা কেমন হতে পারে! অন্য কেউ তার ভাগ্যটা নিয়ন্ত্রণ করবে এই কথা জেনেও নিজের মেয়েকে দূরে যেতে দিতে কেমন লাগে?

এখন যখন আমি মা-কে ছেড়ে দূরে থাকি। প্রতিবার বাড়ি ফিরলে তিনি আমার মুখটা দু'হাতে ধরে বলেন, ‘তুমি কাছে থাকলেই আমার মনটা শান্ত হয়।‘ প্রতিবারই আমি চোখ ঘুরিয়ে বলি, ‘মা, আমি বড় হয়ে গেছি।’ কিন্তু বাংলাদেশে, আমি হাসতে পারিনি। আমি সেই কথাগুলো বলতে পারিনি। সেই ছোট্ট মেয়েটির কথা মনে পড়েছিল। মনে পড়েছিল তার মা-এর কথা। সেই মা হয়তো দূরে কোথাও আছেন। সেই মায়ের হাত হয়তো তাঁর মেয়েকে স্পর্শ করতে না পারার ব্যাথায় কাতর। যার হৃদয়ে ঠিক সেই একই মরিয়া ভালোবাসা মাথা কুটে মরছে যা আমার মা আমার জন্য অনুভব করেন।

আমার মতো অসংখ্য মেয়ে আছে। তাদের আকাঙ্ক্ষা, আগ্রহ, বুদ্ধিমত্তা এবং সাহসের কোন কমতি নেই। সেই মেয়েদের আছে পালতে দেওয়ার মত ধারণা। আছে অবিচল প্রতিশ্রুতি। আমি তাদের দেখেছি বাংলাদেশের সর্বত্র—বাজারে, সরু গলিপথে, উঠোনের কোণায়। সেখানে তারা নীরবে কাজ করে। আমি আয়না ছাড়াও নিজেকে দেখতে পাই। আমি পাশ দিয়ে যাওয়া একটা মেয়েকে দেখি। সে আবর্জনা কুড়োচ্ছে। তার চোখে কিছু একটা দেখতে পাই। খুব পরিচিত কিছু। একই রকম স্ফুলিঙ্গ। সে কেন ঘাসের উপর অন্যদের আবর্জনা কুড়োচ্ছে, আর আমি ফুটপাথে দাঁড়িয়ে আছি। এর কি কোনো কারণ আছে? আমার আর তার মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হলো একটা সুযোগ। নিতান্ত ভাগ্যের হেরফের। ভাগ্য তার থেকে আমার পথ আলাদা করে দিয়েছে। কিন্তু আসলে আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তার ওই জীবন প্রাপ্য নয়, ঠিক তেমনই আমিও এই জীবনটার যোগ্য নই।

আমি যা শিখলাম তা হোল, সৌভাগ্য শুধু একটি উপহার নয়; এটি একটি দায়িত্ব। এটি একটি কর্তব্য। আমি যেখানে আছি, তা সুযোগ পাওয়ার কারণে। সেই সুযোগের সাথে আসে বাধ্যবাধকতা। সেই বাধ্যবাধকতা হোল, যারা ততটা ভাগ্যবান নয়, তাদের কাছে সুযোগের পরিধি বাড়িয়ে দেওয়া। যারা এই সুযোগ পায়নি, তাদের এড়িয়ে গিয়ে চুপচাপ সুযোগের সুফল উপভোগ করাটা অকল্পনীয়। একা জেতা মানে জেতা নয়। এই বছরের শুরুর দিকে, একজন মানুষ আমাকে একটা কথা বলেছিলেন। এই মানুষটা সারা জীবন উদ্বাস্তুদের সাহায্য করার জন্য কাজ করেছেন, তিনি আমাকে এমন কিছু বলেছিলেন যা আমার মস্তিষ্কে গেঁথে গেছে। কথাটা হোল, যখন মানুষ সাহায্যের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, তখন ঈশ্বর তাদের কাছে তোমাকে পাঠান। তোমাকে। তোমার সফলতা, তোমার সুযোগ, তোমার সৌভাগ্য গ্রহণ করো আর তা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দাও। এগুলো কেবল নিজের জন্য ধরে রাখার জিনিস নয়। তুমি আয়নায় নিজেকে দেখে নিজের অর্জন, নিজের সাফল্য দেখে তুমি কি হাসতে পারো? তবে তোমার দায়িত্ব হলো সেই আলো তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যারা সেই সুযোগ পায়নি।

হ্যাঁ, আমি আমার সাফল্যে গর্বিত। হ্যাঁ, আমি আমার ভেতরের স্পৃহা নিয়ে গর্বিত। চৌদ্দ বছর বয়সী আমি ঠোঁট অসার হয়ে যাওয়া নিয়ে কেঁদেছিলাম। সেই অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডেও আমি গর্বিত। কিন্তু আমি এও জানি যে, এর কোনোটাই বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। আকাঙ্ক্ষা এবং কঠোর পরিশ্রম গুরুত্বপূর্ণ। এই কথা সত্য। কিন্তু শুধু সেগুলোই যথেষ্ট নয়। আর এই সত্যটা বোঝা, মর্মে মর্মে তা বোঝা—এটাই আমার কাজের একটা অর্থ এনে দেয়। এটাই আমাকে প্রেরণা যোগায় সম্ভাবনা তৈরি করতে, অন্যদের ওপরে তুলতে হাত বারিয়ে দিতে। এই অনুভবই আমাকে উদ্দিপ্ত করে আর সব মেয়ের মাঝে যে স্ফুলিঙ্গ দেখি, তা উপেক্ষা না করতে। তাকে হারিয়ে যেতে না দিতে। সৌভাগ্য যে আছে তা জানার আনন্দ আছে। তা জানার একটা ভারও আছে। আর তা হোল এই যে, সৌভাগ্য কেবল আমার একার নয়। যাদের কাছে আমি পৌঁছাতে পারি, এই সৌভাগ্যে আংশিকভাবে তাদেরও অধিকার আছে।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি , যুক্তরাষ্ট্র

Ad 300x250

সম্পর্কিত