leadT1ad

নারী হওয়ায় রায়ে বিশেষ সুবিধা পাবেন না শেখ হাসিনা: প্রসিকিউটর

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৯
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইনে আসামিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে আসামি নারী হওয়ায় দণ্ডের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ সুবিধা পাবেন না ও পলাতক থাকলে আত্মসমর্পণের আগে আপিলের সুযোগ নেই।

আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের আইনি কাঠামো ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম এসব কথা বলেন।

পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের আইনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে উল্লেখ করে প্রসিকিউটর তামীম বলেন, ‘প্রথমত, আন্তর্জাতিক আইন অর্থাৎ রোম সংবিধির প্রযোজ্যতা এখানে নিশ্চিত করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। দ্বিতীয়ত, দণ্ডের পাশাপাশি (কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড) আসামিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ভিকটিম, আহত বা নিহতদের পরিবারকে হস্তান্তরের বিধান সংযোজিত করা হয়েছে।’

প্রধান আসামি শেখ হাসিনা নারী হিসেবে রায়ের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ সুবিধা পাবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর বলেন, ‘জামিন প্রদানের ক্ষেত্রে নারীকে... প্রিভিলেজ (বিশেষ সুবিধা) দেওয়া আছে। কিন্তু রায় প্রদানের ক্ষেত্রে নারীকে আমাদের সাধারণ আইনেও কোনো আলাদা প্রিভিলেজ দেওয়া হয় নাই। আর আমাদের এই আইনেও কোনো আলাদা প্রিভিলেজ নেই। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করেই শাস্তি প্রদান করা হবে।’

পলাতক আসামিদের আপিল প্রক্রিয়া নিয়ে প্রসিকিউটর তামিম বলেন, ‘আইনে পরিষ্কার করে বলা আছে যে, যদি আসামি পলাতক হয় তাহলে রায় প্রদানের পর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তিনি আপিল করতে পারবেন; যদি তিনি গ্রেপ্তার হন অথবা তিনি ট্রাইব্যুনালে এসে সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করেন।’ তিনি স্পষ্ট করেন, পলাতক আসামিরা আত্মসমর্পণ বা গ্রেপ্তার হওয়ার আগে আপিল করতে পারবেন না এবং তাদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবীও আপিল করতে পারবেন না।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত