leadT1ad

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, চার পুলিশ বরখাস্ত

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাজশাহী

বৃহস্পতিবার রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় বিচারক আব্দুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটে।

রাজশাহীতে নিজ বাসায় বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৭) হত্যা এবং তাঁর মা তাসমিন নাহার লুসীকে (৪৪) হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আটক হয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা লিমন মিয়ার (৩৪) বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করেন। তাঁরা নগরের রাজপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন। ইতোমধ্যে তাঁদের থানা থেকে প্রত্যাহার করে আরএমপির পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত ও প্রত্যাহার হওয়া চারজন হলেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু শাহাদাত, কনস্টেবল আব্দুস সবুর, মাহফুজার রহমান ও মিঠু সরদার। আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলার কারণে এই চারজনকে প্রত্যাহার ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মুখপাত্র বলেন, ‘এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। সেটা দ্বিগুণও হয়ে যেতে পারে। কার কার দায়িত্বে অবহেলা ছিল, সে বিষয়ে ইনকোয়ারি চলছে। সেটার পরেই বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।’

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে খুন হয় বিচারক আব্দুর রহমানের নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে তাওসিফ। এসময় আহত হন বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীও। এছাড়া হামলাকারী নিজেও ধস্তাধস্তিতে আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি করার পর অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই সময় লিমন একটি টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে কথা বলেন। পরে এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ ঘটনায় রাজশাহীর আদালতে একটি বিবিধ মামলা হয়েছে। হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় আদালত শনিবার আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে শোকজ করেছেন। আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এ দিন আসামি লিমনেরও পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এর আগে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) জানিয়েছে, বিচারক আব্দুর রহমানের মেয়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) পড়াশোনা করেন। আব্দুর রহমান এক বছর আগে শ্রম আদালতের বিচারক হয়ে রাজশাহী আসেন, এর আগে তিনি সিলেট মহানগর দায়রা জজ ছিলেন। আব্দুর রহমান-লুসি দম্পতির মেয়েও বিবাহিত। নগরের নয়াবাজার খাদরা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত