leadT1ad

সঙ্গে নেই আমন্ত্রণপত্র, সংলাপে বসতে দিল না ইসি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৪
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন

জাতীয় নির্বাচন ও আচরণবিধি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপ ছিল ৬ রাজনৈতিক দলের। তবে সেখানে হাজির হন ইসলামী ঐক্যজোটের দুই অংশের নেতারা। বাদানুবাদেও জড়ান। শেষপর্যন্ত আমন্ত্রণপত্রের হার্ডকপি না থাকায় বের হয়ে যেতে হয় একপক্ষকে।

ঘটনাটি আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসির সম্মেলন কক্ষে সংলাপ শুরুর আগের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনসহ ইসির চার কমিশনার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

সভাকক্ষে থাকা ইসির এক কর্মকর্তা স্ট্রিমকে জানান, সংলাপ শুরুর কয়েক মিনিট আগে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হলরুমে প্রবেশ করে। তবে সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল হাসানাত আমিনীসহ দলের আরেক অংশের প্রতিনিধি দল। সেখানে দুপক্ষ জড়ায় তর্ক-বিতর্কে। এ সময় আমিনীর অংশকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বলে আখ্যা দেন সাখাওয়াত হোসেন রাজী। তিনি বলেন, ‘তারা (আমিনীর অংশ) বিগত নির্বাচনে ফ্যাসিবাদকে বৈধতা দিয়েছে। তাই তারা থাকলে আমরা সংলাপে অংশ নেব না।’

এরপর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উভয়পক্ষের আমন্ত্রণপত্র পরীক্ষা করতে চান। রাজীর অংশ এ সময় আমন্ত্রণপত্রের হার্ডকপি দেখাতে পারলেও আমিনীর অনুসারীরা দেখান মোবাইলে থাকা সফটকপি। পরে সচিব ঘোষণা করেন, ‘হার্ডকপি না থাকলে আপনাদের চলে যেতে হবে।’ এ সময় আমিনীর পক্ষ অনুরোধ করলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়নি। শেষপর্যন্ত সম্মেলনকক্ষ থেকে বের হয়ে যায় আমিনীর অংশ।

বিষয়টি নিয়ে আমিনী পক্ষের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসেন অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন একতরফা সিদ্ধান্তে তাঁদের বের করে দিয়েছে। অথচ তাঁদের নামে দল নিবন্ধিত এবং তাঁদেরই আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছিল। ব্ল্যাকমেইল করে অন্য অংশ আমন্ত্রণপত্র নিয়েছে।

আর মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী সংলাপ শেষে ঢাকা স্ট্রিমের সঙ্গে আলাপে পুরো ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দলের নতুন নেতৃত্বের বিষয়ে ইসিকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এই তালিকা হালনাগাদ করেনি। তাই আজকে, আমাদেরই একাংশ, যারা আওয়ামী লীগের দোসর, তারা আমাদের আগে এসে বসে পড়েছিল।’

সাখাওয়াত হোসাইন রাজী আরও বলেন, ‘যদি হালনাগাদ করা হতো তবে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে আমন্ত্রণ যেতো না। এই সমস্যাও হতো না।’

ইসলামী ঐক্যজোট ছাড়া সংলাপে অংশ নেয় গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত