সুমন সাজ্জাদ
‘দৌড়াও, ভয় পেও না, আমি আছি।’—কথাগুলো বলেছিলেন মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। বিধ্বস্ত বিমানের ভয়াবহতার সামনে দাঁড়িয়ে আগলে রেখেছিলেন শিশুদের। দেখিয়ে দিচ্ছিলেন বেরিয়ে যাওয়ার পথ।
মাহরীনের সামনে তখন ছোট ছোট শিশু। ভয় আর আতঙ্কে কুঁকড়ে যাওয়া তাদের মুখ। তারা জানে না স্বপ্নের মতো এক স্কুলে নেমে আসছে দুঃস্বপ্নের বিভীষিকা।
সংবাদসূত্রে জানা গেছে অন্তত বিশজন শিশুকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু আগুনের নির্দয় শিখা গ্রাস করেছে তাঁকেই। মারা গেছেন মাহরীন।
শরীরের ৮৫ ভাগ দগ্ধ হয়ে একই ঘটনায় মারা গেছেন মাহরীনের সহকর্মী মাসুকা বেগম। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সময় তিনি ক্লাসরুমে পড়াচ্ছিলেন। মাসুকার লক্ষ্য ছিল শিক্ষক হওয়া। যিনি মনে করতেন শিক্ষার্থীরা তাঁর ‘সন্তান’।
করুণ কঠিন এই বাস্তবতায় বসে ভাবছিলাম, বিপদের ওই মুহূর্তে কী ভাবছিল মাহরীনের মন?
মৃত্যুশয্যায় শুয়ে থাকা মাহরীনকে আমরা বলতে শুনেছি, ‘বাচ্চারা চোখের সামনে পুড়ে মরছে, আমি কি চুপ থাকতে পারি’, ‘ওরাও তো আমার সন্তান, ওদের রেখে কী করে আসি।’ ঠিক এইখানে এসে শিক্ষকের সঙ্গে মিশে যায় এক দরদি মায়ের মন।
মাহরীনের কথাগুলো কানে বাজছে। বেদনায় নড়ে উঠছে আমাদের মনের নিভৃততম কুঠুরি।
মাহরীন যেন মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা সত্য/ তবু শেষ সত্য নয়।’ এই সমাজের হতাশা, ক্ষয়, বিষাদ, তিক্ততার মাঝখানেও আলো আছে, ভালোবাসা আছে। হয়তো শিক্ষকদের কেউ কেউ সেই ‘আলোর ফেরিওলা’। তাঁরা প্রধানত শিক্ষাই ফেরি করেন, কিন্তু একই সঙ্গে শেখান জীবনের ধারাপাত।
নিজে একজন শিক্ষক হিসেবে কেবলই পেশাগত টানে শিক্ষকের জন্য এই গৌরবগাথা রচনা করছি? তা নয়। বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, শিক্ষক এক তাৎপর্যপূর্ণ অংশ। তাঁরা যেমন প্রশ্ন করতে শিখিয়েছেন, তেমনি শিখিয়েছেন নেতৃত্ব ও দায়িত্ব গ্রহণের কথা।
আমাদের মনে পড়বে শহিদ সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহাকে। ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গুলির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মমুহূর্তে জে সি দেব, মুনীর চৌধুরীর মতো শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষকদের হত্যা করা হয়েছিল। কারণ ভাবাদর্শিকভাবে পূর্ববাংলার জনগণের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন তাঁরা।
২০০৭ সালে ঘোষিত জরুরি অবস্থার সময়ও আমরা দেখেছি শিক্ষকেরা সহমর্মী হয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জেল খেটেছেন। জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
ব্যত্যয় ঘটেনি ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানেও। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে গেছেন অনেক শিক্ষক। পুলিশের গুলির সামনে কেউ কেউ দাঁড়িয়ে গেছেন ঢাল হয়ে।
বাংলাদেশে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর এই সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সে কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে কেন্দ্র করে আহমদ ছফা লিখতে পেরেছিলেন যদ্যপি আমার গুরু’র মতো বই। সেখানে দেখা গেছে, স্নেহ ও শাসনে শিক্ষক হতে পারেন পথপ্রদর্শক এক বন্ধু।
বাংলাদেশের সমাজে শিক্ষককে বলা হয় ‘বিবেক’; শিক্ষকের জ্ঞান, বুদ্ধি ও প্রজ্ঞার পাশাপাশি জুড়ে দেওয়া হয় ‘বিবেকে’র প্রসঙ্গ। তাঁরা শুধু শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা দেন না, পাঠ্য বিষয়ের পৃষ্ঠাতেই আটকে ফেলেন না জীবনের ছক। শিক্ষকেরা জাতির জন্য বিবেকের পাঠশালাও। অন্তত ভারতীয় উপমহাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এরকমই—গুরু পরম ধর্ম।
আমরা তাই শিক্ষকের নেতৃত্ব ও দায়িত্বশীলতায় আনন্দিত হই। আমরা তাঁকে মহিমান্বিত করি। কখনো কোনো কারণে কারও মধ্যে সামান্য শিথিলতা দেখলে ক্ষুব্ধও হই। অর্থাৎ, আমরা শিক্ষককে ভাবতে চাই সর্বগুণের আধার হিসেবে।
অন্য কোনো পেশার মানুষের কাছে আমাদের এই প্রত্যাশা থাকে কিনা সন্দেহ। এমন অনেক পেশার মানুষকে আমরা চিনি, যাঁদের জীবনে ব্যক্তিগত আদর্শ হলেন একজন শিক্ষক। পেশাজীবী মানুষটি হয়তো একজন আমলা কিংবা একজন স্থপতি, অথচ জীবনের আদর্শিক স্তরে রেখে দিয়েছেন একজন স্কুল শিক্ষকের প্রতিচ্ছবি।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, শিক্ষকেরা মেলে ধরেন জীবনের প্রশস্ত পটভূমি। বাড়ির আঙিনা পেরিয়ে স্কুলের চত্বরে এলে খুলে যায় অবশিষ্ট দুনিয়া।
মাহরীনের আত্মত্যাগের ঘটনার দিকে চোখ ফিরিয়ে বারবার মনে পড়ল, বাংলাদেশি সমাজের জন্য শিক্ষকদের দায়-দায়িত্বের কোনো সীমানা নেই। সংবেদনশীল মন নিয়ে যাঁরা শিক্ষকতাকে গ্রহণ করেন তাঁরা স্বেচ্ছায় দায়িত্বের বোঝাটিকে আরেকটু ভারী করে ফেলেন। হয়তো কখনো কখনো নিজের জীবনকেও বিপন্ন করে ফেলেন।
মাহরীন রেখে গেলেন শিক্ষকের দায়িত্বশীলতার এক মানবিক নজির। তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষত ও ক্ষতির পরিমাণ অপরিমেয়। মাহরীনের নিজেরও দুজন সন্তান আছে। অথচ নিজেকে বিপন্ন করে মাহরীন হয়ে উঠলেন পরম আশ্রয়। ছোট ছোট শিক্ষার্থীর জীবন রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে তিনি শিশুদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে বাঁচিয়ে রাখলেন।
একজন শিক্ষক হিসেবে ভাবছি, শ্লোকের মতো করে আমাদের মনে রাখতে হবে মাহরীনের অমোঘ উচ্চারণ, ‘দৌড়াও, ভয় পেও না, আমি আছি।’ পরম নির্ভরতা হয়ে এই ‘থাকা’, এই ‘আছিময়তা’ই হয়তো বড় শিক্ষকের গুণ।
আর তাই মাহরীনকে আমাদের মনে রাখতে হবে।
লেখক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক
‘দৌড়াও, ভয় পেও না, আমি আছি।’—কথাগুলো বলেছিলেন মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। বিধ্বস্ত বিমানের ভয়াবহতার সামনে দাঁড়িয়ে আগলে রেখেছিলেন শিশুদের। দেখিয়ে দিচ্ছিলেন বেরিয়ে যাওয়ার পথ।
মাহরীনের সামনে তখন ছোট ছোট শিশু। ভয় আর আতঙ্কে কুঁকড়ে যাওয়া তাদের মুখ। তারা জানে না স্বপ্নের মতো এক স্কুলে নেমে আসছে দুঃস্বপ্নের বিভীষিকা।
সংবাদসূত্রে জানা গেছে অন্তত বিশজন শিশুকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু আগুনের নির্দয় শিখা গ্রাস করেছে তাঁকেই। মারা গেছেন মাহরীন।
শরীরের ৮৫ ভাগ দগ্ধ হয়ে একই ঘটনায় মারা গেছেন মাহরীনের সহকর্মী মাসুকা বেগম। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সময় তিনি ক্লাসরুমে পড়াচ্ছিলেন। মাসুকার লক্ষ্য ছিল শিক্ষক হওয়া। যিনি মনে করতেন শিক্ষার্থীরা তাঁর ‘সন্তান’।
করুণ কঠিন এই বাস্তবতায় বসে ভাবছিলাম, বিপদের ওই মুহূর্তে কী ভাবছিল মাহরীনের মন?
মৃত্যুশয্যায় শুয়ে থাকা মাহরীনকে আমরা বলতে শুনেছি, ‘বাচ্চারা চোখের সামনে পুড়ে মরছে, আমি কি চুপ থাকতে পারি’, ‘ওরাও তো আমার সন্তান, ওদের রেখে কী করে আসি।’ ঠিক এইখানে এসে শিক্ষকের সঙ্গে মিশে যায় এক দরদি মায়ের মন।
মাহরীনের কথাগুলো কানে বাজছে। বেদনায় নড়ে উঠছে আমাদের মনের নিভৃততম কুঠুরি।
মাহরীন যেন মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা সত্য/ তবু শেষ সত্য নয়।’ এই সমাজের হতাশা, ক্ষয়, বিষাদ, তিক্ততার মাঝখানেও আলো আছে, ভালোবাসা আছে। হয়তো শিক্ষকদের কেউ কেউ সেই ‘আলোর ফেরিওলা’। তাঁরা প্রধানত শিক্ষাই ফেরি করেন, কিন্তু একই সঙ্গে শেখান জীবনের ধারাপাত।
নিজে একজন শিক্ষক হিসেবে কেবলই পেশাগত টানে শিক্ষকের জন্য এই গৌরবগাথা রচনা করছি? তা নয়। বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, শিক্ষক এক তাৎপর্যপূর্ণ অংশ। তাঁরা যেমন প্রশ্ন করতে শিখিয়েছেন, তেমনি শিখিয়েছেন নেতৃত্ব ও দায়িত্ব গ্রহণের কথা।
আমাদের মনে পড়বে শহিদ সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহাকে। ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গুলির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মমুহূর্তে জে সি দেব, মুনীর চৌধুরীর মতো শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষকদের হত্যা করা হয়েছিল। কারণ ভাবাদর্শিকভাবে পূর্ববাংলার জনগণের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন তাঁরা।
২০০৭ সালে ঘোষিত জরুরি অবস্থার সময়ও আমরা দেখেছি শিক্ষকেরা সহমর্মী হয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জেল খেটেছেন। জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
ব্যত্যয় ঘটেনি ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানেও। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে গেছেন অনেক শিক্ষক। পুলিশের গুলির সামনে কেউ কেউ দাঁড়িয়ে গেছেন ঢাল হয়ে।
বাংলাদেশে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর এই সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সে কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে কেন্দ্র করে আহমদ ছফা লিখতে পেরেছিলেন যদ্যপি আমার গুরু’র মতো বই। সেখানে দেখা গেছে, স্নেহ ও শাসনে শিক্ষক হতে পারেন পথপ্রদর্শক এক বন্ধু।
বাংলাদেশের সমাজে শিক্ষককে বলা হয় ‘বিবেক’; শিক্ষকের জ্ঞান, বুদ্ধি ও প্রজ্ঞার পাশাপাশি জুড়ে দেওয়া হয় ‘বিবেকে’র প্রসঙ্গ। তাঁরা শুধু শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা দেন না, পাঠ্য বিষয়ের পৃষ্ঠাতেই আটকে ফেলেন না জীবনের ছক। শিক্ষকেরা জাতির জন্য বিবেকের পাঠশালাও। অন্তত ভারতীয় উপমহাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এরকমই—গুরু পরম ধর্ম।
আমরা তাই শিক্ষকের নেতৃত্ব ও দায়িত্বশীলতায় আনন্দিত হই। আমরা তাঁকে মহিমান্বিত করি। কখনো কোনো কারণে কারও মধ্যে সামান্য শিথিলতা দেখলে ক্ষুব্ধও হই। অর্থাৎ, আমরা শিক্ষককে ভাবতে চাই সর্বগুণের আধার হিসেবে।
অন্য কোনো পেশার মানুষের কাছে আমাদের এই প্রত্যাশা থাকে কিনা সন্দেহ। এমন অনেক পেশার মানুষকে আমরা চিনি, যাঁদের জীবনে ব্যক্তিগত আদর্শ হলেন একজন শিক্ষক। পেশাজীবী মানুষটি হয়তো একজন আমলা কিংবা একজন স্থপতি, অথচ জীবনের আদর্শিক স্তরে রেখে দিয়েছেন একজন স্কুল শিক্ষকের প্রতিচ্ছবি।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, শিক্ষকেরা মেলে ধরেন জীবনের প্রশস্ত পটভূমি। বাড়ির আঙিনা পেরিয়ে স্কুলের চত্বরে এলে খুলে যায় অবশিষ্ট দুনিয়া।
মাহরীনের আত্মত্যাগের ঘটনার দিকে চোখ ফিরিয়ে বারবার মনে পড়ল, বাংলাদেশি সমাজের জন্য শিক্ষকদের দায়-দায়িত্বের কোনো সীমানা নেই। সংবেদনশীল মন নিয়ে যাঁরা শিক্ষকতাকে গ্রহণ করেন তাঁরা স্বেচ্ছায় দায়িত্বের বোঝাটিকে আরেকটু ভারী করে ফেলেন। হয়তো কখনো কখনো নিজের জীবনকেও বিপন্ন করে ফেলেন।
মাহরীন রেখে গেলেন শিক্ষকের দায়িত্বশীলতার এক মানবিক নজির। তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষত ও ক্ষতির পরিমাণ অপরিমেয়। মাহরীনের নিজেরও দুজন সন্তান আছে। অথচ নিজেকে বিপন্ন করে মাহরীন হয়ে উঠলেন পরম আশ্রয়। ছোট ছোট শিক্ষার্থীর জীবন রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে তিনি শিশুদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে বাঁচিয়ে রাখলেন।
একজন শিক্ষক হিসেবে ভাবছি, শ্লোকের মতো করে আমাদের মনে রাখতে হবে মাহরীনের অমোঘ উচ্চারণ, ‘দৌড়াও, ভয় পেও না, আমি আছি।’ পরম নির্ভরতা হয়ে এই ‘থাকা’, এই ‘আছিময়তা’ই হয়তো বড় শিক্ষকের গুণ।
আর তাই মাহরীনকে আমাদের মনে রাখতে হবে।
লেখক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক
বহু প্রত্যাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন, ভোট দিচ্ছেন, হাস্যজ্জ্বোল ছবি দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেসব ছবি দেখছি আর কত কিছু যে মনে পড়ছে!
৩ ঘণ্টা আগেতাঁর প্রতিটি নতুন গ্রন্থ আগের চিন্তাগুলোকে আরও বিকশিত করে, ধরে রাখে চিন্তার সংগতি। বাংলাদেশের বিগত দেড় শ বছরের রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাকরণ বুঝতে উমরকে লাগবেই।
১ দিন আগেউজ্জ্বল নক্ষত্র বদরুদ্দীন উমর (১৯৩১) আর নেই। তিনি কেবল উপনিবেশ-পরবর্তী বাংলাদেশের একজন মার্কসবাদী ইতিহাসবিদই ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন বিপ্লবী তাত্ত্বিক এবং রাজনীতিবিদও। লেখালেখি ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মধ্য দিয়ে শ্রেণিসংগ্রাম, জাতীয়তাবাদ ও রাষ্ট্রগঠনের প্রচলিত ধারণাকে তিনি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। নিজের
২ দিন আগেঅধ্যাপক উমরের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সখ্যতা। তাঁর শেষ দিনগুলোর কথা মনে পড়লে আজও মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। তিনি ছিলেন অসম্ভব রসবোধ সম্পন্ন একজন মানুষ। বাইরে থেকে তাঁকে কিছুটা কাঠখোট্টা মনে হলেও, তাঁর ভেতরের সূক্ষ্ম রসবোধ ছিল অসাধারণ। প্রায়ই তিনি মজা করে বলতেন, ‘আমি তো ইয়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছি, আজরাইল আমার
২ দিন আগে