গাজাগামী মানবিক সহায়তা বহনকারী ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)-এর নৌবহর দখল এবং তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ জাহাজে থাকা সব অধিকারকর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে স্বাধীন গণমাধ্যমসংস্থা দৃক।
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে স্বামী শহিদুল আলম আটক হওয়ার পরও নিজেকে একা মনে হয়নি বলে জানিয়েছেন লেখক, কলামনিস্ট ও দৃক পিকচার লাইব্রেরির পরিচালক রেহনুমা আহমেদ।
দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ সব অ্যাক্টিভিস্টকে অপহরণ করে ইসরায়েলের একটি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দৃকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও গবেষক সায়দিয়া গুলরুখ।
ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে গাজা অভিমুখী জাহাজ থেকে আটক হওয়া বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহিদুল আলম। এ সংবাদে তাঁর সহকর্মীরাই শুধু নন, উদ্বিগ্ন সমগ্র বাংলাদেশ। শহিদুলের কাজ ও ব্যক্তিত্বের ধরন প্রসঙ্গে লিখেছেন তাঁর সহকর্মী তানভীর মুরাদ তপু।
২০২৫ সালের ৮ অক্টোবরের ভোর। ভূমধ্যসাগরের উত্তাল ঢেউ ঠেলে এগোচ্ছিল ‘কনশানস’ নামের জাহাজটি। তাতে ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। সেই সময় তিনি নিজের শেষ বার্তাটি ধারণ করেন মোবাইল ফোনে। শান্ত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশ থেকে আসা একজন ফটোগ্রাফার ও লেখক।
ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে গাজা অভিমুখী ১১টি জাহাজের একটি ‘কনশানস’ থেকে আটক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। বুধবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার কিছুক্ষণ পরে তিনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে আটক হওয়ার ভিডিওটি পোস্ট করেন।
ইসরায়েলি অবোরধ ভাঙতে গাজা অভিমুখী ‘কনশানস’ জাহাজটি আগামীকাল বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোর নাগাদ ‘রেড জোন’ তথা বিপজ্জনক এলাকায় পৌঁছাতে পারে। আলোকচিত্রী শহীদুল আলম আজ মঙ্গলবার তার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন। শহীদুল আলম নিজেও কনশানস জাহাজে আছেন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা-র সর্বশেষ পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আল-জাজিরা-র প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি নৌবাহিনী আন্তর্জাতিক জলসীমায় এই বেসামরিক নৌবহরটির বেশিরভাগ জাহাজ আটক করেছে।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্র শিল্পী শহীদুল আলমদের বহনকারী জাহাজ ‘কনসায়েন্স’সহ আরও ৯টি জাহাজের একটি বহর গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শহীদুল আলমদের জাহাজটিকে মিডিয়া ফ্লোটিলা বলা হচ্ছে কারণ এর যাত্রীদের বেশিরভাগই মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে ত্রাণ নিয়ে রওনা করা নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মূল বহরের একটি বাদে সব নৌযান বৃহস্পতিবারের মধ্যেই আটক করেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। এখনো ভেসে চলা নৌযানটির নাম ম্যারিনেট। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এ নৌযানটিতে ছয়জন আরোহী রয়েছেন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা অভিমুখী আন্তর্জাতিক সহায়তা বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ১৩টি নৌযান আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই ঘটনায় সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ ৩৭টি দেশের দুই শতাধিক মানবাধিকারকর্মীকে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমও এই বহরের একটি জাহাজে রয়েছেন।
দৃকের সঙ্গে কাজ করছি গত ডিসেম্বর থেকে। ২০২৪ সালের ‘জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা সেবায় স্বাস্থ্যখাতের ভূমিকা’ শীর্ষক একটা গবেষণা দিয়ে কাজের শুরু। কাজের আগে আমার রেহনুমা আহমেদ কিংবা শহীদুল আলমের সঙ্গে সেভাবে পরিচয় বা চেনাজানা ছিল না। আমি চিনতাম না তাঁদের, আমাকেও তাঁরা চিনতেন না। তারপর থেকে দৃকের কাজে
ফিলিস্তিনমুখী সহায়তা বহনকারী জাহাজ ‘কনসিয়েন্সে’ আছেন আলোকচিত্রী ও সামাজিক আন্দোলনকর্মী শহিদুল আলম। সেখান থেকে পাঠানো এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ঝড়-ঝঞ্ঝা পেরিয়েও তাঁরা এগিয়ে চলেছেন গাজার উদ্দেশে, আর প্রতিটি মুহূর্তে নজর রাখছেন কী ঘটতে পারে সামনে।
ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজামুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরের গতিরোধ করে সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০০ জন বা আরও বেশি অ্যাকটিভিস্টকে আটক করেছে। বুধবার রাতে আটকের এই ঘটনা ঘটে গাজা উপত্যকা থেকে ৭০-৭৫ নটিকাল মাইল দূরে আন্তর্জাতিক পানিসীমায়। এতে ফ্লোটিলার আয়োজকরাসহ কয়েকটি
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ এখন গাজার উপকূল থেকে মাত্র ১৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে। বহরটিতে ৫০টির বেশি জাহাজ রয়েছে। এর যাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশের আলোকচিত্রী শিল্পী শহীদুল আলম ও সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গসহ প্রায় ৪৫টি দেশের ৫০০-র বেশি কর্মী অংশ নিয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী বহরটি আটকানোর হুমকি দিয়েছে। পূ