leadT1ad

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা

শহিদুলের জন্য আমার অনুভূতি পৃথিবীজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে: রেহনুমা আহমেদ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

রেহনুমা আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত।

শহিদুল আলম ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন, কিন্তু আমি নিজেকে একা মনে করছি না। কেননা, শহিদুলের জন্য আমি যেভাবে ভালোবাসা, উদ্বেগ, গর্ব আর ক্ষোভ অনুভব করছি, পৃথিবীর অনেক মানুষ একই অনুভূতির কথা আমাকে জানিয়েছেন।

লেখক, কলামিস্ট ও দৃক পিকচার লাইব্রেরির পরিচালক রেহনুমা আহমেদ স্ট্রিমকে পাঠানো এক বার্তায় এ সব কথা বলেন। তিনি শহিদুল আলমের জীবনসঙ্গী।

রেহনুমা আহমেদ বলেন, ‘আমি জানি, শহিদুল আলমও নিজেকে একা মনে করছেন না। “কনশানস্” জাহাজে কারও কাছেই কোন অস্ত্র ছিল না— তাঁরা ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী, চিকিৎসক ও নাবিক। জাহাজের যাত্রীরা নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জন্য ভালোবাসা ও সংহতির বার্তা নিয়ে যাচ্ছিলেন, ইসরায়েল এটি জানতো। তারপরও তারা কনশানস্–কে আটকে সবাইকে অপহরণ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, এই অপহরণের কারণ হলো— ইসরায়েল গাজার ওপর চলমান অবরোধ চালিয়ে যেতে চায়—যা ইসারায়েলি গণহত্যারই অংশ। মানবতার প্রকৃত রূপ এখন গাজায়। বিশ্বের বাকিদের মানবতা ফিরে পেতে হলে আমাদের গাজার তীরে পৌঁছতে হবে, ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে হবে।

বুধবার সকালে বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলম তাঁর ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি জানান, কনশানস্ নামে যে জাহাজে শহিদুল ছিলেন, সেটি ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে এবং তাঁকে অপহরণ করেছে।

রেহনুমা ও শহিদুল আজীবন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য নানা তৎপরতা চালিয়ে আসছেন। ছবি: সংগৃহীত।
রেহনুমা ও শহিদুল আজীবন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য নানা তৎপরতা চালিয়ে আসছেন। ছবি: সংগৃহীত।

শহিদুল ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন–এর সদস্য হিসেবে গাজার মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। জানা গেছে, গাজার উপকূল থেকে মাত্র ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায়, ইসরায়েলি নৌকমান্ডোরা যুদ্ধজাহাজ ও হেলিকপ্টার থেকে তাদের জাহাজে চড়ে বসে। জাহাজে থাকা ২৫ দেশের সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকারকর্মীসহ ৯৬ জন যাত্রীর সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাহাজটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে। এখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রত্যাবাসন করা হবে। যেমনটা পূর্ববর্তী নৌবহরের শতশত অধিকার কর্মীর ক্ষেত্রে হয়েছিল।

শহিদুলদের ‘থাউজ্যান্ড মাদলিনস টু গাজা’ জাহাজ বহরে ছোট-বড় মোট ১১টি জাহাজ ছিল। তার মধ্যে তিনটির ওপর ইসরায়েলি আক্রমণের খবর জানা গেছে। আয়োজক সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) জানিয়েছে, তাদের জাহাজগুলো গাজার জন্য বহন করছিল প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের জরুরি ত্রাণসামগ্রী। এসব ত্রাণের মধ্যে ছিল ওষুধ, শ্বাসযন্ত্র ও পুষ্টি সহায়ক খাদ্য, যা গাজার ক্ষুধার্ত হাসপাতালগুলোতে পৌঁছানোর কথা ছিল।

Ad 300x250

সম্পর্কিত