স্ট্রিম ডেস্ক

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম জানান, জাহাজ থেকে নামানোর পর তাঁদের হাঁটু গেড়ে উবু হয়ে বসতে বাধ্য করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা মাথা নিচু করে সে অবস্থায় রাখা হয় তাঁদের।
আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ৩টার দিকে রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী থাকার সময়কার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বন্দিদশায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিজের ও সহযাত্রীদের ওপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।
শহিদুল আলম বলেন, ‘আমাদের হাঁটু গেড়ে বসানো হয়। ওইটা আমার জন্য অন্তত বেশ কষ্টকর ছিল। আমার এমনিতেই একটু সমস্যা হয়। কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টা আমরা উবু হয়ে মাথা নিচু করে ওইভাবে ছিলাম।’
তিনি জানান, যেখানে তাঁদের বসানো হয়েছিল, সেটি ছিল দুর্গন্ধময় স্থান। তাঁকে বলা হয়, জায়গাটিতে ইসরায়েলি সেনারা মূত্রত্যাগ করেছিল।
শহিদুল জানান, তাঁর তিউনিসীয় সঙ্গী আলী ফিলিস্তিনি শার্ট পরায় তাকে সেটি খুলতে বলা হয়। তিনি রাজি না হওয়ায় তার ওপর চড়াও হয় সেনারা। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরেক সঙ্গী আদনানও নির্যাতনের শিকার হন।
‘ইসরায়েলকে ভালোবাসি’—এমন কথা বলতে জোরাজুরি করা হয়েছিল আলীকে। কিন্তু তিনি তার বদলে বলেন, ‘আমি ফিলিস্তিনকে ভালোবাসি।’ এরপর তাঁর ওপর আবার চড়াও হয়।
শহিদুল আলম জানান, তাঁর পাসপোর্ট বারবার মাটিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছিল। তিনি তুললে সেটি আবার তাঁর থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ফেলে দেওয়া হতো। এ ঘটনাকে শারীরিক নির্যাতনের চেয়েও বেশি কষ্টদায়ক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, লিয়াকত নামে এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বন্দিকে হামাসের এজেন্ট আখ্যা দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
আটকের পর তারা অনশন শুরু করেছিলেন বলেও জানান শহিদুল। স্বাস্থ্যগত কারণ ছাড়া বাকিরা এই সময় খাবার খাননি বলে জানান তিনি।
বন্দি অবস্থায় তাঁর ৩০০ ডলার খোয়া গেছে বলেও অভিযোগ করেন শহিদুল। এ সময় ইসরায়েলি সেনাদের ‘ছ্যাঁচড়া’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। ইসরায়েলি সেনাদের হাতে বন্দি থাকা অবস্থায় শারীরিক অত্যাচারের চেয়েও মানসিক অত্যাচার বেশি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল আলম জানান, কনশান্স জাহাজে তিনিসহ মোট ৯৩ জন ছিলেন। এটি অন্য জাহাজগুলোর তুলনায় বড় ছিল।
তিনি বলেন, এই জাহাজে মূলত সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ছিলেন। এর বিশেষ কারণ ছিল—ইসরায়েল অবরুদ্ধ এলাকায় সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দিয়েছে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে দেয়নি। হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই দুই পেশাজীবী—সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবাধে কাজ করার সুযোগ থাকা উচিত। কিন্তু ইসরায়েল তা করছে না। নিজেদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করলেও তারা প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে এবং পার পেয়ে যাচ্ছে।
সরাসরি গাজায় গিয়ে অবরোধ ভাঙার কারণ হিসেবে শহিদুল আলম বলেন, ‘যে অবৈধ অবরোধটা করা হয়েছে, সেটাকে আমাদের আক্ষরিকভাবে, ফিজিক্যালি, দৈহিকভাবে এটাকে আমাদের ভাঙার চেষ্টা করতে হবে। সেটা না হলে হবে না। এই মিষ্টি কথা দিয়ে কিচ্ছু হবে না, কিচ্ছু আসে যায় না।’
তবে এই অভিযানে মূলধারার কোনো গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ছিলেন না। সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তাঁদের সমালোচনা করেন শহিদুল আলম।
গাজার পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য বিশ্বজুড়ে অধিকারকর্মীরা একত্রিত হয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম জানান, জাহাজ থেকে নামানোর পর তাঁদের হাঁটু গেড়ে উবু হয়ে বসতে বাধ্য করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা মাথা নিচু করে সে অবস্থায় রাখা হয় তাঁদের।
আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ৩টার দিকে রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী থাকার সময়কার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বন্দিদশায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিজের ও সহযাত্রীদের ওপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।
শহিদুল আলম বলেন, ‘আমাদের হাঁটু গেড়ে বসানো হয়। ওইটা আমার জন্য অন্তত বেশ কষ্টকর ছিল। আমার এমনিতেই একটু সমস্যা হয়। কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টা আমরা উবু হয়ে মাথা নিচু করে ওইভাবে ছিলাম।’
তিনি জানান, যেখানে তাঁদের বসানো হয়েছিল, সেটি ছিল দুর্গন্ধময় স্থান। তাঁকে বলা হয়, জায়গাটিতে ইসরায়েলি সেনারা মূত্রত্যাগ করেছিল।
শহিদুল জানান, তাঁর তিউনিসীয় সঙ্গী আলী ফিলিস্তিনি শার্ট পরায় তাকে সেটি খুলতে বলা হয়। তিনি রাজি না হওয়ায় তার ওপর চড়াও হয় সেনারা। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরেক সঙ্গী আদনানও নির্যাতনের শিকার হন।
‘ইসরায়েলকে ভালোবাসি’—এমন কথা বলতে জোরাজুরি করা হয়েছিল আলীকে। কিন্তু তিনি তার বদলে বলেন, ‘আমি ফিলিস্তিনকে ভালোবাসি।’ এরপর তাঁর ওপর আবার চড়াও হয়।
শহিদুল আলম জানান, তাঁর পাসপোর্ট বারবার মাটিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছিল। তিনি তুললে সেটি আবার তাঁর থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ফেলে দেওয়া হতো। এ ঘটনাকে শারীরিক নির্যাতনের চেয়েও বেশি কষ্টদায়ক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, লিয়াকত নামে এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বন্দিকে হামাসের এজেন্ট আখ্যা দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
আটকের পর তারা অনশন শুরু করেছিলেন বলেও জানান শহিদুল। স্বাস্থ্যগত কারণ ছাড়া বাকিরা এই সময় খাবার খাননি বলে জানান তিনি।
বন্দি অবস্থায় তাঁর ৩০০ ডলার খোয়া গেছে বলেও অভিযোগ করেন শহিদুল। এ সময় ইসরায়েলি সেনাদের ‘ছ্যাঁচড়া’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। ইসরায়েলি সেনাদের হাতে বন্দি থাকা অবস্থায় শারীরিক অত্যাচারের চেয়েও মানসিক অত্যাচার বেশি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল আলম জানান, কনশান্স জাহাজে তিনিসহ মোট ৯৩ জন ছিলেন। এটি অন্য জাহাজগুলোর তুলনায় বড় ছিল।
তিনি বলেন, এই জাহাজে মূলত সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ছিলেন। এর বিশেষ কারণ ছিল—ইসরায়েল অবরুদ্ধ এলাকায় সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দিয়েছে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে দেয়নি। হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই দুই পেশাজীবী—সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবাধে কাজ করার সুযোগ থাকা উচিত। কিন্তু ইসরায়েল তা করছে না। নিজেদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করলেও তারা প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে এবং পার পেয়ে যাচ্ছে।
সরাসরি গাজায় গিয়ে অবরোধ ভাঙার কারণ হিসেবে শহিদুল আলম বলেন, ‘যে অবৈধ অবরোধটা করা হয়েছে, সেটাকে আমাদের আক্ষরিকভাবে, ফিজিক্যালি, দৈহিকভাবে এটাকে আমাদের ভাঙার চেষ্টা করতে হবে। সেটা না হলে হবে না। এই মিষ্টি কথা দিয়ে কিচ্ছু হবে না, কিচ্ছু আসে যায় না।’
তবে এই অভিযানে মূলধারার কোনো গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ছিলেন না। সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তাঁদের সমালোচনা করেন শহিদুল আলম।
গাজার পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য বিশ্বজুড়ে অধিকারকর্মীরা একত্রিত হয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের চূড়ান্ত দিনে রাজধানীর চানখারপুলে সংঘটিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ধান উৎপাদনে কৃষকের সহায়তার জন্য নানা ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। কৃষিকাজকে একটি সম্মানজনক এবং আরামদায়ক পেশায় রূপান্তর করার লক্ষ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কৃষিযন্ত্র আবিষ্কারে ব্রি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
৬ ঘণ্টা আগে
চাকরির গ্রেড উন্নীতের দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন সহকারী শিক্ষকেরা।
৮ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুনে পুড়েছে দেড় হাজারের বেশি ঘর। এতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া পরিবারগুলো ছোট সন্তান নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে বস্তির অন্য অংশে। কিন্তু বিধি বাম। ঘরপোড়া মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগে বস্তির বাড়িওয়ালারা খালি কক্ষগুলোর ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে