আজ সোমবার (৮ আগস্ট) সকাল সকাল ১০টার পর বদরুদ্দীন উমরের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের আনা হয়। দুপুর ১২টা ৪৫ পর্যন্ত তাঁর মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হবে।
তাঁর প্রতিটি নতুন গ্রন্থ আগের চিন্তাগুলোকে আরও বিকশিত করে, ধরে রাখে চিন্তার সংগতি। বাংলাদেশের বিগত দেড় শ বছরের রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাকরণ বুঝতে উমরকে লাগবেই।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জুলাই গণহত্যার এক মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন কিংবদন্তি গণবুদ্ধিজীবী, লেখক, চিন্তাবিদ ও গবেষক এবং বামপন্থী রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর। তিনি এই মামলায় জবানবন্দি দিতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান, পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রাসঙ্গিক নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।
সকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা ৪৫ পর্যন্ত বদরুদ্দীন উমরের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য থাকবে।
গণসংহতি আন্দোলনের গভীর শোক
বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বদরুদ্দীন উমর, আবুল হাশিম, আবুল কাসেম
বাংলাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, চিন্তক ও বামপন্থী রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন। তাঁর ৯৪ বছরের জীবনাবসানের সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে তৈরি হলো এক অপূরণীয় শূন্যস্থান।
মহাপ্রয়াণে শোকাঞ্জলি
উজ্জ্বল নক্ষত্র বদরুদ্দীন উমর (১৯৩১) আর নেই। তিনি কেবল উপনিবেশ-পরবর্তী বাংলাদেশের একজন মার্কসবাদী ইতিহাসবিদই ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন বিপ্লবী তাত্ত্বিক এবং রাজনীতিবিদও। লেখালেখি ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মধ্য দিয়ে শ্রেণিসংগ্রাম, জাতীয়তাবাদ ও রাষ্ট্রগঠনের প্রচলিত ধারণাকে তিনি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। নিজের
শোকাঞ্জলি
অধ্যাপক উমরের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সখ্যতা। তাঁর শেষ দিনগুলোর কথা মনে পড়লে আজও মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। তিনি ছিলেন অসম্ভব রসবোধ সম্পন্ন একজন মানুষ। বাইরে থেকে তাঁকে কিছুটা কাঠখোট্টা মনে হলেও, তাঁর ভেতরের সূক্ষ্ম রসবোধ ছিল অসাধারণ। প্রায়ই তিনি মজা করে বলতেন, ‘আমি তো ইয়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছি, আজরাইল আমার
শোকাঞ্জলি
বদরুদ্দীন উমরের কাজগুলো কেউ মুছে দিতে পারবে না। তিনি ১১৫টি বই লিখেছেন। বেশির ভাগ মানুষ তাঁর এতগুলো বই পড়েননি। কিছু কিছু সাক্ষাৎকার হয়তো পড়েছে। কিন্তু তারা সমালোচনা করার ব্যাপারে খুব তৎপর। যাইহোক, আমি তাঁর প্রধান প্রধান বইগুলো পড়ার চেষ্টা করেছি। ফলে আমি তার সমগ্র কাজকে বিবেচনায় নিয়ে বলতে পারি, বাংলা
শোকবার্তায় জানানো হয়, স্বাধীনচেতা, নির্ভীক কণ্ঠস্বরের এই বুদ্ধিজীবীর এই মুহূর্তে পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া জনমনে হতাশার সৃষ্টি করেছে। জনগণের সম্মান ও নিদারুণ বেদনাকে মর্মে মর্মে উপলব্ধি এবং সেটিকে প্রতিবাদের ভাষায় মূর্ত করতে পারতেন বদরুদ্দীন উমর।
শোকবার্তায় মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বদরুদ্দীন উমর ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আবুল হাশিম উপমহাদেশের প্রভাবশালী মুসলিম জাতীয়তাবাদী নেতা ছিলেন। বদরুদ্দীন উমর একজন খ্যাতিমান লেখক, গবেষক ও বামপন্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর নয় মাস গত হয়েছে। এই সময়ে বাঙলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির মধ্যে অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। এই পরিবর্তনের সব থেকে উল্লেখযোগ্য দিক হলো বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের একটানা পনেরো বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট চরিত্রের যে পরিচয় ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ প
তাঁর মৃত্যুর বছর তাঁকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়, কিন্তু তিনি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, তিনি সরকারি ও বেসরকারি কোনো পুরস্কার গ্রহণ করেননি এবং এই পুরস্কার গ্রহণ করাও তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধকব্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত বদরুদ্দীন উমরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার সকালে তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।