.png)

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে অনিশ্চয়তার পরিবেশ। এরই মধ্যে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর একটি দাবি—তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় দেখতে চায়। আপাতদৃষ্টিতে এটি একটি কৌশলগত রাজনৈতিক অবস্থান মনে হলেও

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি আপিলের ওপরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিভ বিভাগের বেঞ্চে এ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন থেকে উদ্ভূত আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই আপিল শুনানি শুরু করেন আইনজীবী শরীফ ভূইয়া।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকে ১৯টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ এসব বিষয়ের মধ্যে কিছু বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে বারবার দেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের অভিযোগ ওঠেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলে খায়রুল হক ছিলেন মূল কারিগর।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সবমিলিয়ে পাঁচ দিন আলোচনা হয়েছে। এর পরেও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। ফলে রোববার (২০ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটি সমন্বিত প্রস্তাব উত্থাপন করেছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারবিষয়ক আলোচনা
প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, নিম্নকক্ষের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের (যেহেতু ডেপুটি স্পিকার বিরোধীদল থেকে হবে) সমন্বয়ে কমিটি গঠিত হবে। এই কমিটির সভাপতি হবেন রাষ্ট্রপতি, তবে তিনি ভোট দিতে পারবেন না। এভাবে গঠিত কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে