leadT1ad

তত্ত্বাবধায়ক বাতিল ও পঞ্চদশ সংশোধনী: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

হাইকোর্ট ভবন। ছবি: বাসস

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এই শুনানি চলছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে রয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে আনা কয়েকটি বিষয় অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি (লিভ টু আপিল মঞ্জুর) দেন সর্বোচ্চ আদালত। নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে গত ৩ নভেম্বর এই লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছিল। আপিলে পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরোটা বাতিল চাওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি–সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে বাতিল করা হয়। রায়ে বলা হয়, এই অনুচ্ছেদ দুটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামো তথা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। একইসঙ্গে সংবিধানে গণভোটের বিধান (১৪২ অনুচ্ছেদ) পুনর্বহাল করেন আদালত।

হাইকোর্টের রায়ে সংবিধানের ৭ক, ৭খ এবং ৪৪(২) অনুচ্ছেদও বাতিল ঘোষণা করা হয়। তবে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পুরোটা বাতিল করা হয়নি। রায়ে বলা হয়, জাতির পিতার স্বীকৃতি ও ২৬ মার্চের ভাষণসহ বাকি বিধানগুলোর বিষয়ে আগামী জাতীয় সংসদ জনগণের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন বা পরিমার্জন করতে পারবে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট উল্লেখ করেন, গণতন্ত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ, যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিকশিত হয়। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে বিগত তিনটি নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতেই ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ সংঘটিত হয়েছে বলে আদালত মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। দীর্ঘদিন পর এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং পরবর্তী সময়ে রায় ঘোষণা করেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে এখন আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত