তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, এই ঘোষণায় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা নতুন এক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রূপান্তরের সূচনা করবে। এটা হবে একটি প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ, যা গড়ে উঠবে সমতা, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে।

জুলাই ঘোষণাপত্রে পরিপূর্ণতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আয়োজনে মঙ্গলবার পৃথক সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে দলটি। সমাবেশ থেকে জুলাই সনদকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তের দাবি জানিয়েছে জামায়াত।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ ঐতিহাসিক ‘৩৬ জুলাই’। গত বছরের এই দিন ক্ষমতা ছেড়ে ভারত চলে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিজয় হয় ছাত্র-জনতার। পরে এই দিনটিকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।

গত এক বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদসহ নানা বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক সামিনা লুৎফার বক্তব্য শুনুন স্ট্রিম প্লে-তে।

সকাল সাতটায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এসেছেন রেখা বেগম। সঙ্গে এনেছেন বারো বছর বয়সী ছেলে সুলাইমানকে। সুলাইমানের এক পা ভালো হলেও অন্য পায়ে ইলিজারভ ফ্রেম (ভাঙা হাড় সোজা রাখা ও জোড়া লাগাতে ব্যবহৃত যন্ত্র) লাগানো।

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন, ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। এদিনই রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিকেল ৫টায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি ও আহত যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

আগামী ৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে চূড়ান্ত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের আয়োজন করছে সরকার। সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট (পিআইডি) থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ই আগস্টের মধ্যেই তা ঘোষিত হবে। ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণ–আকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটা বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।