স্ট্রিম প্রতিবেদক
দাবি মানা না হলে জুলাই জাতীয় সনদে সই না করার সিদ্ধান্তে ‘অটল’ থাকার কথা জানিয়েছে বামপন্থী চার দল—বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ। দলগুলোর নেতারা বলছেন, যেসব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে পৌঁছেছে, কেবল সেসব বিষয়েই সবার স্বাক্ষর নেওয়া যেতে পারে। ভিন্নমতগুলো অতিরিক্ত প্রতিবেদন হিসেবে সনদে সংযুক্ত থাকতে পারে।
জুলাই সনদ নিয়ে চার দলেরই দাবি ও আলাপ অভিন্ন বলে আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) স্ট্রিমকে জানান সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা শুধু তখনই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব, যদি সব দলের ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে স্বাক্ষর হয়। এখন তো স্বাক্ষর হয়েছে ঘোরতর বিরোধী মত, নোট অব ডিসেন্টসহ। এইখানে আমরা চার দল কোনোভাবেই স্বাক্ষর করব না।’
কমিশনের দেওয়া সবশেষ তারিখের (৩১ অক্টোবর) মধ্যে স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে কি না, জানতে চাইলে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমাদের চার দলের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব না। যতক্ষণ পর্যন্ত সংশোধন করা না হবে এবং আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অবশ্যই না।’
এর আগে গত শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এক অনুষ্ঠানে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে তৈরি জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এ সই করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট। আর আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে বেলা একটার দিকে ওই সনদে সই করে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দল গণফোরাম।
তবে উত্থাপন করা বিভিন্ন দাবি না মানার অভিযোগে ওই অনুষ্ঠানে যায়নি জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা তরুণদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একই অভিযোগে চার বাম দল সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদের নেতারাও সনদ সইয়ের অনুষ্ঠানে যাননি, সইও করেননি।
অবশ্য সনদে স্বাক্ষর ইস্যুতে এনসিপি ও চার বামপন্থী দলের দাবি ভিন্ন। গতকাল (১৮ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সনদে স্বাক্ষর না করা বাকি দলগুলোর সঙ্গে আমাদের অবস্থান এক নয়। বাহাত্তরের সংবিধান যদি পরিবর্তন না হয়, পুরোনো ফ্যাসিস্ট কাঠামো যদি রয়ে যায়, তাহলে এই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে। আমরা সেটা কোনোভাবেই হতে দিব না।’
আর বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূল নীতিকে বাদ দেওয়া, অঙ্গীকারনামায় মৌলিক অধিকার পরিপন্থি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করাসহ আরও কয়েকটি অভিযোগে বামপন্থী চার দল সনদে স্বাক্ষর না করার কথা জানিয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর বামপন্থী দলগুলো সনদে স্বাক্ষর করার শর্তে সাত দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। দলগুলো থেকে বলা হচ্ছে, এই সনদে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভিত্তিকে একপ্রকার ‘অস্বীকার’ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন স্ট্রিমকে বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে শুরুতেই বলেছি, যেসব বিষয়ে সবার ঐকমত্য রয়েছে কেবলমাত্র সেসব বিষয়েই সবার স্বাক্ষর নেওয়া যেতে পারে। ভিন্নমতগুলো অতিরিক্ত হিসেবে সনদে সংযুক্ত থাকতে পারে। এ ছাড়া সনদের পটভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি।’
মুশতাক আরও বলেন, ‘আমরা গণভোট ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে একমত হলেও জুলাই সনদ স্বাক্ষর ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার মেথডে একমত না।’
এ দিকে শুরুতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র যুক্ত না করে শেষ সময়ে এসে যুক্ত করার কারণে কমিশনের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘ঘোষণাপত্র যুক্ত করার ব্যাপারে আমাদের আলাদা করে দাবি জানানোর তো কিছু নেই। ওনারা কি করে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেন? ওনাদের তো শাস্তি হওয়া উচিত।’
দাবি মানা না হলে জুলাই জাতীয় সনদে সই না করার সিদ্ধান্তে ‘অটল’ থাকার কথা জানিয়েছে বামপন্থী চার দল—বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ। দলগুলোর নেতারা বলছেন, যেসব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে পৌঁছেছে, কেবল সেসব বিষয়েই সবার স্বাক্ষর নেওয়া যেতে পারে। ভিন্নমতগুলো অতিরিক্ত প্রতিবেদন হিসেবে সনদে সংযুক্ত থাকতে পারে।
জুলাই সনদ নিয়ে চার দলেরই দাবি ও আলাপ অভিন্ন বলে আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) স্ট্রিমকে জানান সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা শুধু তখনই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব, যদি সব দলের ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে স্বাক্ষর হয়। এখন তো স্বাক্ষর হয়েছে ঘোরতর বিরোধী মত, নোট অব ডিসেন্টসহ। এইখানে আমরা চার দল কোনোভাবেই স্বাক্ষর করব না।’
কমিশনের দেওয়া সবশেষ তারিখের (৩১ অক্টোবর) মধ্যে স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে কি না, জানতে চাইলে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমাদের চার দলের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব না। যতক্ষণ পর্যন্ত সংশোধন করা না হবে এবং আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অবশ্যই না।’
এর আগে গত শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এক অনুষ্ঠানে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে তৈরি জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এ সই করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট। আর আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে বেলা একটার দিকে ওই সনদে সই করে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দল গণফোরাম।
তবে উত্থাপন করা বিভিন্ন দাবি না মানার অভিযোগে ওই অনুষ্ঠানে যায়নি জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা তরুণদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একই অভিযোগে চার বাম দল সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদের নেতারাও সনদ সইয়ের অনুষ্ঠানে যাননি, সইও করেননি।
অবশ্য সনদে স্বাক্ষর ইস্যুতে এনসিপি ও চার বামপন্থী দলের দাবি ভিন্ন। গতকাল (১৮ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সনদে স্বাক্ষর না করা বাকি দলগুলোর সঙ্গে আমাদের অবস্থান এক নয়। বাহাত্তরের সংবিধান যদি পরিবর্তন না হয়, পুরোনো ফ্যাসিস্ট কাঠামো যদি রয়ে যায়, তাহলে এই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে। আমরা সেটা কোনোভাবেই হতে দিব না।’
আর বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূল নীতিকে বাদ দেওয়া, অঙ্গীকারনামায় মৌলিক অধিকার পরিপন্থি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করাসহ আরও কয়েকটি অভিযোগে বামপন্থী চার দল সনদে স্বাক্ষর না করার কথা জানিয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর বামপন্থী দলগুলো সনদে স্বাক্ষর করার শর্তে সাত দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। দলগুলো থেকে বলা হচ্ছে, এই সনদে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভিত্তিকে একপ্রকার ‘অস্বীকার’ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন স্ট্রিমকে বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে শুরুতেই বলেছি, যেসব বিষয়ে সবার ঐকমত্য রয়েছে কেবলমাত্র সেসব বিষয়েই সবার স্বাক্ষর নেওয়া যেতে পারে। ভিন্নমতগুলো অতিরিক্ত হিসেবে সনদে সংযুক্ত থাকতে পারে। এ ছাড়া সনদের পটভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি।’
মুশতাক আরও বলেন, ‘আমরা গণভোট ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে একমত হলেও জুলাই সনদ স্বাক্ষর ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার মেথডে একমত না।’
এ দিকে শুরুতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র যুক্ত না করে শেষ সময়ে এসে যুক্ত করার কারণে কমিশনের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘ঘোষণাপত্র যুক্ত করার ব্যাপারে আমাদের আলাদা করে দাবি জানানোর তো কিছু নেই। ওনারা কি করে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেন? ওনাদের তো শাস্তি হওয়া উচিত।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে ‘অস্পষ্ট, বিভ্রান্তিকর ও বালখিল্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
২ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী সদর উপজেলার একটি মসজিদের ভেতর ছাত্রশিবিরের সংগঠনিক কার্যক্রম চালানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে সরকারের ‘গড়িমসি’ এবং ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন থেকে নির্বাচন কমিশনের সরে আসার সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি আগামী নভেম্বরের মধ্যে গণভোট এবং সেই ফলাফলের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের প্রতি
৪ ঘণ্টা আগেজামায়াতসহ সমমনা আটটি দল রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ২৭ অক্টোবরের ভেতর দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
৮ ঘণ্টা আগে